১৮৯৫ : আন্নার কাছে শেষ মার খেয়ে গোগ্যাঁ পুনরায় তাহিতিতে ফিরে যাবেন বলে মনস্থির করেন। সত্যিই তিনি তাহিতিতে ফিরে আসেন। এবার তিনি গভীরতর অরণ্যে বসবাস শুরু করেন। য়ামায়ার সন্ধান পেয়েছিলেন কিনা জানা যায় না।
১৮৯৭ : কন্যা এলিনের মৃত্যুসংবাদে শিল্পী মূৰ্ছাতুর হয়ে পড়েন। ঐ আঘাতে তিনি তার জীবনের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রূপক চিত্র আঁকতে বসেন। তার বিষয়বস্তু–আমরা কোথা থেকে আসছি-আমরা কি? ও কোথায় যাচ্ছি? পুরো এক বছর দিবারাত্র পরিশ্রম করে ঐ মহান চিত্রটি শেষ করেন।
১৮৯৮ : পূর্বকথিত ছবি আঁকা শেষ হলে আর্সেনিক সেবনে শিল্পী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন; কিন্তু সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
১৮৯৯-০৩ : ফরাসী সরকারের পাব্লিক ওয়ার্কসে কেরানীর চাকরি নেন। প্রচণ্ড ঝড়ে তার বাড়িটি ভেঙে যায়। Le Sourire পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ লেখার জন্য তার তিন মাস কারাদণ্ড হয়। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল করার পূর্বেই ১৯০৩ সালের ৮ই মে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর এক মাস আগে বন্ধু চালর্স মরিসকে লেখা চিঠির একটি পংক্তি তার সমাধিক্ষেত্রে উৎকীর্ণ হবার যোগ্যঃ
“A mans work is the explanation of that man.”
পারীতে এক সাহিত্যিক বন্ধু তাঁর শিল্পে বর্বরতা দেখে আপত্তি জানানোতে শিল্পী বলেছিলেন, “তোমাদের সভ্যতা হচ্ছে একটা ব্যাধি। আমার বর্বরতা সেই রোগমুক্তির মহৌষধ।”
বর্তমানে গোগ্যাঁ পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদলের অন্যতম।