রাফিয়াকে দেখেই হালিমের অন্তর আনন্দে ছলকে উঠেছিল। তারপর চোখে পানি দেখে ও কথা শুনে চোখে পানি এসে গেছে। সে থেমে যেতে ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে হাতজোড় করে বলল, এই চার বছর খুব সুখে ছিলাম, না দুঃখে ছিলাম, তা আল্লাহ ভালো জানেন। একটা কথা বলি, তোমার বিরহ আমাকেও কম দুঃখ দেয় নি। আমার সাধনা সফল করার জন্য সেই দুঃখ সহ্য করেছি। আল্লাহ যেদিন আমার সাধনা সফল করালেন। সেই দিনই তিনি তোমাকে দেখালেন। সেজন্য আমিও তাঁর পাক দরবারে শতকোটি শুকরিয়া জানাচ্ছি। এতদিন যোগাযোগ রাখি নি, তোমার আমার প্রেমের পরীক্ষা করার জন্য। যদিও পূর্ণ বিশ্বাস ছিল, আমাদের প্রেম খাঁটি এবং আল্লাহ আমাদের মিলন করাবেন। তিনি আমার সেই বিশ্বাসেরও সফলতা দেখালেন। সেজন্য আর একবার তাঁর পাক দরবারে শতকোটি শুকরিয়া জানাচ্ছি। এতকিছু পাওয়ার পরও মনে হচ্ছে, দীর্ঘ চার বছর তোমাকে কাঁদিয়ে খুব অন্যায় করেছি। সেজন্য অনুতপ্ত হৃদয়ে ক্ষমা চাইছি।
রাফিয়া আর স্থির থাকতে পারল না। চোখের পানি ফেলতে ফেলতে তার জোড় করা হাত দু’হাতে ধরে বলল, তোমাকে ভুল বুঝে ও তোমার কাছে কৈফিয়ৎ চেয়ে আমিও অন্যায় করেছি। তুমিও আমাকে ক্ষমা করে দাও।