হাদিস নম্বরঃ ৪৩৩০ | 4330 | ٤۳۳۰
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ “সে (ইয়াকুব (আঃ) বলল, না, তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটি কাহিনী সাজিয়ে দিয়েছে।“ (১২ঃ ১৮)। سولت সুন্দর করে সাজিয়ে শোভনীয় করে দেখান।
৪৩৩০। মূসা (রহঃ) … আয়শা (রাঃ) এর মাতা উম্মে রুমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন, (অপবাদ রটনার সময়) আয়শা (রাঃ) আমাদের ঘরে জ্বরে আক্রান্ত ছিল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সম্ভবত এ অপবাদের কারনে জ্বর হয়েছে। আয়শা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ। তিনি উঠে বসলেন এবং বললেন, আমার এবং আপনার উদাহরন ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) এবং তার পুত্র ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর ন্যায়। তার ভাইয়েরা কাহিনী সাজাল। তখন ইয়াকুব (আলাইহিস সালাম) বলেছিলেন, পূর্ণ ধৈর্য্যই শ্রেয়। তোমরা যা বলছ সে বিষয়ে একমাত্র আল্লাহ ই আমার সাহায্য স্থল।
হাদিস নম্বরঃ ৪৬০১ | 4601 | ٤٦۰۱
পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৪৬০১। খালিদ ইবনু ইয়াযীদ কাহিলী (রহঃ) … আবূ উবায়দা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) কে আল্লাহ তা’আলার বাণী إِنَّا أَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি বললেন, কাউছার একটি নহর যা তোমাদের নাবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রদান করা হয়েছে। এর দু’টো পাড় রয়েছে। উভয় পাড়ে বিছানো রয়েছে খোখলা মোতি। এর পাত্রের সংখ্যা তারকারাজির অনুরূপ। (অন্য সনদে) যাকারিয়া (রহঃ) … আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৬০২ | 4602 | ٤٦۰۲
পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৪৬০২। ইয়াকূব ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কাউছার সম্পর্কে বলেছেন যে, এ এমন একটি কল্যাণ যা আল্লাহ তাঁকে দান করেছেন্। বর্ণনাকারী আবূ বিশর (রহঃ) বলেন, আমি সাঈদ ইবনু জুবায়র (রহঃ) কে বললাম, লোকেরা মনে করে যে, কাউছার হচ্ছে জান্নাতের একটি নহর। এ কথা শুনে সাঈদ (রহঃ) বললেন, জান্নাতের নহরটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেয়া কল্যানের একটি।
হাদিস নম্বরঃ ৪৬০৩ | 4603 | ٤٦۰۳
পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
সুরা কাফিরুন
বলা হয় لَكُمْ دِيْنُكُمْ তোমাদের দ্বীন তোমাদের, অর্থাৎ কুফর। আর وَلِيَ دِيْنِ আমাদের দ্বীন ইসলাম। এখানে دِيْنِيْ বলা হয়নি। পূর্বের আয়াতগুলো نঅক্ষরের উপর যেহেতু শেষ করা হয়েছে, তাই পূর্বের আয়াতগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করার জন্য ياঅক্ষরটিকে মুছে ফেলে এ আয়াতটিকেও ن অক্ষরের ওপর সমাপ্ত করা হয়েছে। যেমন অন্য স্থানে আল্লাহ্ তা‘আলা يَهْدِيْنِ এবং يَشْفِيْنِ ব্যবহার করেছেন। (মুজাহিদ ব্যতীত) অপরাপর মুফাসসির বলেছেন, لَآ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُوْنَ -এর মর্মার্থ হচ্ছেঃ তোমরা বর্তমানে যার ‘ইবাদাত কর, আমি তার ‘ইবাদাত করি না এবং অবশিষ্ট জীবনেও আমি তোমাদের এ আহবানে সাড়া দেব না। وَلَآ أَنْتُمْ عَابِدُوْنَ مَآ أَعْبُدُ এবং তোমরাও তাঁর ‘ইবাদাতকারী নও- ‘যাঁর ‘ইবাদাত আমি করি।’ তারা ঐ সমস্ত লোক, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা‘আলা অন্যত্র ইরশাদ করেছেনঃ ‘‘তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা তাদের অনেকের ধর্মদ্রোহিতা ও অবিশ্বাসই বর্ধিত করবে।’’
৪৬০৩। হাসান ইবনু রাবী (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ সূরা নাযিল হবার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন তখনই তিনি সালাত (নামায/নামাজ)-এর পর নিম্নোক্ত দোয়াটি পাঠ করেছেনঃ سُبْحَانَكَ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي “হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, তুমিই আমার রব। সকল প্রশংসা তোমারই জন্য নির্ধারিত। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ক্ষমা কর”।
হাদিস নম্বরঃ ৪৬০৪ | 4604 | ٤٦۰٤
পরিচ্ছদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৪৬০৪। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূরা নাস্র নাযিল হাবার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا وَبِحَمْدِكَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي (হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র, তুমিই আমার রব, সমস্ত প্রশংসা তোমারই জন্য নির্দিষ্ট। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও)। দোয়াটি রুকু-সিজদার মধ্যে বেশী বেশী পাঠ করতেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৬০৫ | 4605 | ٤٦۰۵
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ্র বাণীঃ ورأيت الناس يدخلون في دين الله أفواجا “এবং তুমি মানুষকে দলে দলে আল্লাহ্র দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবে” (১১০ঃ ২)
৪৬০৫। আবদুল্লাহ ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমর (রাঃ) লোকদেরকে আল্লাহর বাণী إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّهِ وَالْفَتْحُ এর ব্যাখ্যা সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করার পর তারা বললেন, এ আয়াতে শহর এবং প্রাসাদসমূহের বিজয়ের কথা বলা হয়েছে। এ কথা শুনে উমর (রাঃ) বললেন, হে ইবনু আব্বাস! তুমি কি বল? তিনি বললেন, এ আয়াতে ওফাত অথবা মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দৃষ্টান্ত এবং তাঁর শান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৬০৬ | 4606 | ٤٦۰٦