৬৩০৮। আল্লাহ্র সাথে মানুষের সম্পর্ক হচ্ছে স্রষ্টা ও সৃষ্টির। স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্ক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত।
১) আল্লাহ্ আমাদের প্রভু, সৃষ্টিকর্তা এবং প্রতিপালক। আল্লাহ্ মানুষকে প্রতিপালন করেন এবং অনুগ্রহ দান করেন। তিনি মানুষকে বিভিন্ন নেয়ামতে ধন্য করে থাকেন যার সাহায্যে সে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধনে সক্ষম হয় এবং মন্দ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
২) আল্লাহ্ হচ্ছেন বিশ্বভূবনের অধিপতি, সুতারাং মানুষেরও অধিপতি ও শাসক। পৃথিবীর যে কোন অধিপতি থেকে তিনি প্রচন্ড শক্তিশালী। আল্লাহ্ মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনার ক্ষমতা রাখেন -যে পথে মানুষের জন্য কল্যাণ নিহিত আছে। তিনি মানুষকে জীবনধারণের জন্য বিধান দান করেছেন।
৩) “মানুষের ইলাহ্ ” অর্থাৎ মানুষের একমাত্র উপাস্য, পৃথিবীর কর্মজগত শেষ করে প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ্র নিকট ফিরে যেতে হবে কর্ম জীবনের জবাবদিহিতার জন্য [২ : ১৫৬ ]।
সে বিচার সভায় আল্লাহ্-ই হবেন একমাত্র বিচারক। পরলোকের জীবনে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভই হচ্ছে মানুষের ইহ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আল্লাহ্-ই মানুষের একমাত্র উপাস্য বা ইলাহ্। এ সব দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেই মানুষ শুধুমাত্র আল্লাহ্র নিকট তার ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সর্ব নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করবে।
আয়াতঃ 114.003
মানুষের মা’বুদের
”The Ilâh (God) of mankind,
إِلَهِ النَّاسِ
Ilahi alnnasi
YUSUFALI: The god (or judge) of Mankind,-
PICKTHAL: The god of mankind,
SHAKIR: The god of men,
KHALIFA: “The god of the people.
১। বল, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ৬৩০৭ মানব জাতির প্রভু ও প্রতিপালকের ৬৩০৮, –
২। মানব জাতির রাজা [ এবং শাসন কর্তার ],
৩। মানব জাতির ‘ইলাহের ‘ নিকট। ৬৩০৮
৬৩০৭। সূরা ফালাক, বাইরের পৃথিবীর বিপদ বিপর্যয় থেকে নিজেকে নিরাপদ করার জন্য আল্লাহ্র সাহায্য প্রার্থনার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে। এই সূরাতে আভ্যন্তরীন বিপদ বিপর্যয় থেকে অর্থাৎ আত্মর বিপদ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য আল্লাহ্র নিরাপত্তা প্রার্থনা করা হয়েছে। সূরা ফালাকে জাগতিক বিপদ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার শিক্ষা রয়েছে, সূরা নাসে পারলৌকিক বিপদ আপদ ও মুসীবত থেকে আশ্রয় প্রার্থনার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
৬৩০৮। আল্লাহ্র সাথে মানুষের সম্পর্ক হচ্ছে স্রষ্টা ও সৃষ্টির। স্রষ্টা ও সৃষ্টির সম্পর্ক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত।
১) আল্লাহ্ আমাদের প্রভু, সৃষ্টিকর্তা এবং প্রতিপালক। আল্লাহ্ মানুষকে প্রতিপালন করেন এবং অনুগ্রহ দান করেন। তিনি মানুষকে বিভিন্ন নেয়ামতে ধন্য করে থাকেন যার সাহায্যে সে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ সাধনে সক্ষম হয় এবং মন্দ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
২) আল্লাহ্ হচ্ছেন বিশ্বভূবনের অধিপতি, সুতারাং মানুষেরও অধিপতি ও শাসক। পৃথিবীর যে কোন অধিপতি থেকে তিনি প্রচন্ড শক্তিশালী। আল্লাহ্ মানুষকে সঠিক পথে পরিচালনার ক্ষমতা রাখেন -যে পথে মানুষের জন্য কল্যাণ নিহিত আছে। তিনি মানুষকে জীবনধারণের জন্য বিধান দান করেছেন।
৩) “মানুষের ইলাহ্ ” অর্থাৎ মানুষের একমাত্র উপাস্য, পৃথিবীর কর্মজগত শেষ করে প্রতিটি মানুষকে আল্লাহ্র নিকট ফিরে যেতে হবে কর্ম জীবনের জবাবদিহিতার জন্য [২ : ১৫৬ ]।
সে বিচার সভায় আল্লাহ্-ই হবেন একমাত্র বিচারক। পরলোকের জীবনে আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভই হচ্ছে মানুষের ইহ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আল্লাহ্-ই মানুষের একমাত্র উপাস্য বা ইলাহ্। এ সব দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করেই মানুষ শুধুমাত্র আল্লাহ্র নিকট তার ইহলৌকিক ও পারলৌকিক সর্ব নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করবে।
আয়াতঃ 114.004
তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে,
”From the evil of the whisperer (devil who whispers evil in the hearts of men) who withdraws (from his whispering in one’s heart after one remembers Allâh) ,
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
Min sharri alwaswasi alkhannasi
YUSUFALI: From the mischief of the Whisperer (of Evil), who withdraws (after his whisper),-
PICKTHAL: From the evil of the sneaking whisperer,
SHAKIR: From the evil of the whisperings of the slinking (Shaitan),
KHALIFA: “From the evils of sneaky whisperers.
৪। আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতার [ খান্নাসের ] অনিষ্ট থেকে, ৬৩০৯
৫। যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, –
৬৩০৯। মানুষকে আল্লাহ্ স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দান করেছেন। তার ফলে মানুষের স্বাধীনতা আছে ভালো বা মন্দকে গ্রহণ করার। এই স্বাধীনতার সুযোগ গ্রহণ করে থাকে শয়তান। সে মানুষের হৃদয়ের মাঝে আত্মগোপন করে থাকে এবং মনের ভিতর থেকে কৌশলে পরোক্ষ ভাবে প্রতারণাপূর্ণ কুমন্ত্রণা দান করে, যেনো মানুষ তার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অপব্যবহার করে। মানুষকে মন্দ পথে চালিত করার এই শক্তি হচ্ছে শয়তানের শক্তি অথবা মানুষ রূপে বিরাজিত শয়তান রূপ মানুষ অথবা জ্বিন যারা ভবিষ্যতের রঙ্গীন স্বপ্ন দ্বারা মানুষকে প্রতারিত করে বিপথে চালিত করে [ ৬ : ১১২ ]। এরা মানুষের অন্তরে কুমন্ত্রণা দেয় গোপনে এবং মানুষকে প্রলুব্ধ করে সরে দাঁড়ায় – এর ফলে তাদের আমন্ত্রণ মানুষের নিকট আরও মনোহর মনে হয়।