৪। সুতারাং সেই সব এবাদতকারীদের [ মুসুল্লী ] জন্য দুর্ভাগ্য,
৫। যারা তাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন, ৬২৮৩,
৬২৮৩। এবাদত ও সালাত বা নামাজ এক কথা নয়। সালাত বা নামাজ হচ্ছে এবাদতের অংশ। এবাদতের পরিধি বহু বিস্তৃত ও ব্যপক। যা ব্যক্তির সমগ্র জীবন ব্যপী বিরাজ করে। এবাদত শুধু মাত্র নামাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এবাদত হচ্ছে আল্লাহ্র ইচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন ব্যক্তির চরিত্রে। আল্লাহ্ যা হুকুম করেছেন তা উপলব্ধি করতে হবে এবং তা চিন্তায়, কথায় ও কাজে প্রতিফলিত করতে হবে। সেই সাথে একান্ত আন্তরিকতার সাথে আল্লাহ্র সান্নিধ্য আত্মার মাঝে উপলব্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে সালাত। সালাত হচ্ছে ব্যক্তির সমগ্র জীবনের এবাদতের প্রতিফলন। সুতারাং যারা মনে করেন পাঁচ ওয়াক্ত যান্ত্রিক ভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই তারা দ্বীনের হুকুম পালন করেছেন তাদের জন্য আল্লাহ্ বলেছেন, “দুর্ভোগ”। আর যারা সালাত সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন তারা ঐ একই দুর্ভাগাদের কাতারে সারিবদ্ধ। সুতারাং সমাজের প্রতি, পরিবারের প্রতি, জাতির প্রতি, প্রতিবেশীর প্রতি কোনও কর্তব্য কর্ম না করে শুধু মৌখিক সালাতের মাধ্যমে কেউ আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না।
আয়াতঃ 107.005
যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;
Who delay their Salât (prayer) from their stated fixed times,
الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ
Allatheena hum AAan salatihim sahoona
YUSUFALI: Who are neglectful of their prayers,
PICKTHAL: Who are heedless of their prayer;
SHAKIR: Who are unmindful of their prayers,
KHALIFA: who are totally heedless of their prayers.
৪। সুতারাং সেই সব এবাদতকারীদের [ মুসুল্লী ] জন্য দুর্ভাগ্য,
৫। যারা তাদের সালাত সম্বন্ধে উদাসীন, ৬২৮৩,
৬২৮৩। এবাদত ও সালাত বা নামাজ এক কথা নয়। সালাত বা নামাজ হচ্ছে এবাদতের অংশ। এবাদতের পরিধি বহু বিস্তৃত ও ব্যপক। যা ব্যক্তির সমগ্র জীবন ব্যপী বিরাজ করে। এবাদত শুধু মাত্র নামাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এবাদত হচ্ছে আল্লাহ্র ইচ্ছার পূর্ণ প্রতিফলন ব্যক্তির চরিত্রে। আল্লাহ্ যা হুকুম করেছেন তা উপলব্ধি করতে হবে এবং তা চিন্তায়, কথায় ও কাজে প্রতিফলিত করতে হবে। সেই সাথে একান্ত আন্তরিকতার সাথে আল্লাহ্র সান্নিধ্য আত্মার মাঝে উপলব্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে সালাত। সালাত হচ্ছে ব্যক্তির সমগ্র জীবনের এবাদতের প্রতিফলন। সুতারাং যারা মনে করেন পাঁচ ওয়াক্ত যান্ত্রিক ভাবে নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই তারা দ্বীনের হুকুম পালন করেছেন তাদের জন্য আল্লাহ্ বলেছেন, “দুর্ভোগ”। আর যারা সালাত সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন তারা ঐ একই দুর্ভাগাদের কাতারে সারিবদ্ধ। সুতারাং সমাজের প্রতি, পরিবারের প্রতি, জাতির প্রতি, প্রতিবেশীর প্রতি কোনও কর্তব্য কর্ম না করে শুধু মৌখিক সালাতের মাধ্যমে কেউ আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না।
আয়াতঃ 107.006
যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
Those who do good deeds only to be seen (of men),
الَّذِينَ هُمْ يُرَاؤُونَ
Allatheena hum yuraoona
YUSUFALI: Those who (want but) to be seen (of men),
PICKTHAL: Who would be seen (at worship)
SHAKIR: Who do (good) to be seen,
KHALIFA: They only show off.
৬। যারা [ উহা মানুষ ] দেখুক তাই [ শুধু ] চায়, ৬২৮৪
৬২৮৪। ‘উহা ‘ অর্থ এ স্থলে ‘সালাত’। দেখুন সূরা [ ৪ : ১৪২ ] আয়াত যেখানে বলা হয়েছে : “বস্তুতঃ তারা যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন দাঁড়ায়, একান্ত শিথিলভাবে লোক দেখানোর জন্য।” আয়াত সমূহ থেকে এই সত্য স্পষ্ট যে তিন ধরণের লোকের নামাজ বা সালাত আল্লাহ্র নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। ১) যারা সমাজের জন্য কোন সৎ কাজ করে না [ ১০৭ : ২-৩ ] ; ২) যারা সালাত সম্বন্ধে উদাসীন ; [ [ ১০৭ : ৫] ৩) যারা মোনাফেক অর্থাৎ লোক দেখানোর জন্য নামাজ পড়ে [ ১০৭ : ৬-৭]।
আয়াতঃ 107.007
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
And refuse Al-Mâ’ûn (small kindnesses e.g. salt, sugar, water, etc.).
وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
WayamnaAAoona almaAAoona
YUSUFALI: But refuse (to supply) (even) neighbourly needs.
PICKTHAL: Yet refuse small kindnesses!
SHAKIR: And withhold the necessaries of life.
KHALIFA: And they forbid charity.
৭। যারা [ এমনকি ] প্রতিবেশীর প্রয়োজনীয় [ সাহায্য ] দিতেও অস্বীকার করে ৬২৮৫
৬২৮৫। যারা মোনাফেক তাদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই আয়াতে তুলে ধরা হয়েছে। মোনাফেকরা লোক দেখানো কাজ করতে ভালোবাসে। তারা আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করে না। তাদের চিন্তা ভাবনাতে একটাই উদ্দেশ্য থাকে আর তা হচ্ছে পরিচিত জনের নিকট সম্মানীয় হয়ে নাম যশঃ কুড়ানো। এদের পরীক্ষার একটি উপায় এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রতিদিনের জীবনে আমাদের চারিপার্শ্বে বহু ঘটনা ঘটে যেখানে দেখা যায় প্রতিবেশী সামান্য সাহায্য প্রার্থী হলে বিমুখ করা হয়। চারিপার্শ্বে যারা থাকেন তাদের প্রতি সামান্য দয়া ও সহানুভূতি প্রদর্শনে তারা অপারগ হয়। এই সামান্য দয়া, সহানুভূতি ও সাহায্যের হাত প্রসারে সামান্যই ব্যয় করতে হয়। কিন্তু গ্রহীতার জন্য তা অনেক। এদের প্রতি আল্লাহ্ বলেছেন, ” যারা প্রতিবেশীর প্রয়োজনীয় ছোট খাট সাহায্য দানে বিরত থাকে।” কিন্তু এরা নিজেকে দাতা বলে প্রচার করতে ভালোবাসে এদের সকলের জন্য আছে দুভোর্গ।