আয়াতঃ 094.005
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
So verily, with the hardship, there is relief,
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
Fa-inna maAAa alAAusri yusran
YUSUFALI: So, verily, with every difficulty, there is relief:
PICKTHAL: But lo! with hardship goeth ease,
SHAKIR: Surely with difficulty is ease.
KHALIFA: With pain there is gain.
৫। সুতারাং প্রতিটি কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব ; ৬১৯১
৬। নিশ্চয়ই,প্রতিটি কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব।
৬১৯১। বিশেষ গুরুত্ব বুঝানোর জন্য এই আয়াতটিকে পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে। পৃথিবীর জীবন হচ্ছে “সংগ্রামের জীবন” যা দুঃখ,কষ্টে পরিপূর্ণ। যেখানেই বাঁধা, প্রতিবন্ধকতা, অশান্তি, যন্ত্রণা, সংগ্রাম, সেখানেই আল্লাহ্ তাঁর বান্দার জন্য সমাধানের পথ প্রশস্ত করেছেন ; সংগ্রামের বোঝা লাঘব করেছেন দুঃখ-কষ্টের উপশম করেছেন; সুখ ও শান্তির পথ উম্মুক্ত করেছেন। পৃথিবীর জীবন সংগ্রামকে, দুঃখ-কষ্টকে, বাঁধা -বিপত্তিকে তখনই সুখ-শান্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব, যদি আমরা আল্লাহ্র নির্দ্দেশিত পথে অটল থাকি, আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে দৃঢ় থাকি এবং ধৈর্য্য অবলম্বন করে একমাত্র আল্লাহ্র উপরেই নির্ভরশীল হই। দুঃখের বোঝার লাঘব বা সংগ্রামের সমাধান যে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ঘটবে এ কথা ভাবার অবসর নাই। কষ্টের যে স্বস্তি বা সমাধান আল্লাহ্ তা তার বান্দার জন্য সরবরাহ করে থাকেন সত্য, তবে বান্দাকে তা ধৈর্য্য, অধ্যাবসায় ও বিশ্বাসের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। সে কারণেই বলা হয়েছে ” কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব।” রাসুলকে (সা) সম্বোধনের মাধ্যমে এ এক বিশ্বজনীন উপদেশ।
আয়াতঃ 094.006
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
Verily, with the hardship, there is relief (i.e. there is one hardship with two reliefs, so one hardship cannot overcome two reliefs).
إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
Inna maAAa alAAusri yusran
YUSUFALI: Verily, with every difficulty there is relief.
PICKTHAL: Lo! with hardship goeth ease;
SHAKIR: With difficulty is surely ease.
KHALIFA: Indeed, with pain there is gain.
৫। সুতারাং প্রতিটি কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব ; ৬১৯১
৬। নিশ্চয়ই,প্রতিটি কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব।
৬১৯১। বিশেষ গুরুত্ব বুঝানোর জন্য এই আয়াতটিকে পুণরাবৃত্তি করা হয়েছে। পৃথিবীর জীবন হচ্ছে “সংগ্রামের জীবন” যা দুঃখ,কষ্টে পরিপূর্ণ। যেখানেই বাঁধা, প্রতিবন্ধকতা, অশান্তি, যন্ত্রণা, সংগ্রাম, সেখানেই আল্লাহ্ তাঁর বান্দার জন্য সমাধানের পথ প্রশস্ত করেছেন ; সংগ্রামের বোঝা লাঘব করেছেন দুঃখ-কষ্টের উপশম করেছেন; সুখ ও শান্তির পথ উম্মুক্ত করেছেন। পৃথিবীর জীবন সংগ্রামকে, দুঃখ-কষ্টকে, বাঁধা -বিপত্তিকে তখনই সুখ-শান্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব, যদি আমরা আল্লাহ্র নির্দ্দেশিত পথে অটল থাকি, আল্লাহ্র প্রতি বিশ্বাসে দৃঢ় থাকি এবং ধৈর্য্য অবলম্বন করে একমাত্র আল্লাহ্র উপরেই নির্ভরশীল হই। দুঃখের বোঝার লাঘব বা সংগ্রামের সমাধান যে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে ঘটবে এ কথা ভাবার অবসর নাই। কষ্টের যে স্বস্তি বা সমাধান আল্লাহ্ তা তার বান্দার জন্য সরবরাহ করে থাকেন সত্য, তবে বান্দাকে তা ধৈর্য্য, অধ্যাবসায় ও বিশ্বাসের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। সে কারণেই বলা হয়েছে ” কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব।” রাসুলকে (সা) সম্বোধনের মাধ্যমে এ এক বিশ্বজনীন উপদেশ।
আয়াতঃ 094.007
অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।
So when you have finished (from your occupation), then stand up for Allâh’s worship (i.e. stand up for prayer).
فَإِذَا فَرَغْتَ فَانصَبْ
Fa-itha faraghta fainsab
YUSUFALI: Therefore, when thou art free (from thine immediate task), still labour hard,
PICKTHAL: So when thou art relieved, still toil
SHAKIR: So when you are free, nominate.
KHALIFA: Whenever possible you shall strive.
৭। সুতারাং যখনই তুমি [ বর্তমান কর্তব্য থেকে ] অবসর পাবে, তবুও কঠোর পরিশ্রম করে যাবে। ৬১৯২
৬১৯২। “যখনই অবসর পাও” – অর্থাৎ রাসুল (সা) যখনই তাঁর কর্তব্য কর্ম থেকে অবসর পান, দ্বীনের প্রচারই ছিলো রাসুলের (সা) সর্বাপেক্ষা বড় কর্তব্য কর্ম। সে এক বিশাল কর্ম জগত। ধর্মের প্রচার করা, সমাজের পাপকে সনাক্ত করে তার কলূষতা থেকে সমাজকে মুক্ত করা, মানুষের মাঝে সততা ও নৈতিক মূল্যবোধের জন্ম দেয়া এবং মানুষকে সৎকর্মে উদ্বুদ্ধ করা – আরবের সেই অন্ধকারময় যুগে তা ছিলো এক বিশাল দায়িত্ব যার প্রকৃত স্বরূপ অনুভব ও অনুধাবন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তা সত্বেও এই বিশাল কর্মযজ্ঞের অবসরে আল্লাহ্ তাঁকে নির্জনে ‘এবাদত ‘ করতে হুকুম দিয়েছেন। বাইরের পৃথিবীতে আল্লাহ্র বাণী প্রচার ও শিক্ষা দেয়া হচ্ছে তাঁর জন্য কর্তব্য কর্ম। এই কর্তব্যের অবসরে বা বিরতি কালে তাঁকে আধ্যাত্মিক জগতের সাথে যোগযোগ করতে বলা হয়েছে যেনো তিনি আল্লাহ্র নিবিড় সান্নিধ্য লাভ করতে পারেন।