وَلَسَوْفَ يُعْطِيكَ رَبُّكَ فَتَرْضَى
Walasawfa yuAAteeka rabbuka fatarda
YUSUFALI: And soon will thy Guardian-Lord give thee (that wherewith) thou shalt be well-pleased.
PICKTHAL: And verily thy Lord will give unto thee so that thou wilt be content.
SHAKIR: And soon will your Lord give you so that you shall be well pleased.
KHALIFA: And your Lord will give you enough; you will be pleased.
৫। আর শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক প্রভু তোমাকে এমন অনুগ্রহ দান করবেন, যাতে তুমি অবশ্যই খুশী হবে। ৬১৮০
৬১৮০। রাসুল (সা) কে সম্বোধন করে বিশ্ব মানবকে আল্লাহ্ বলছেন, যে আল্লাহ্র রাস্তায় কাজ করে অবশ্যই সে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করবে। যদি আমরা আমাদের ইচ্ছা ; চাওয়া-পাওয়া ও আবেগ, অনুভূতিকে সেই বিশ্বস্রষ্টার বিশ্বজনীন ইচ্ছার সাথে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হই,তবে আল্লাহ্ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে, আমাদের সকল দ্বিধা -দ্বন্দ, ভয়, আশঙ্কা, ইত্যাদি সব কিছু হৃদয় থেকে দূর হয়ে যাবে এবং আমাদের হৃদয় আত্মপ্রসাদ, সন্তুষ্টি এবং আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। আল্লাহ্ আশ্বাস দিয়েছেন,” তুমি অবশ্যই খুশী হবে।”
আয়াতঃ 093.006
তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।
Did He not find you (O Muhammad (Peace be upon him)) an orphan and gave you a refuge?
أَلَمْ يَجِدْكَ يَتِيمًا فَآوَى
Alam yajidka yateeman faawa
YUSUFALI: Did He not find thee an orphan and give thee shelter (and care)?
PICKTHAL: Did He not find thee an orphan and protect (thee)?
SHAKIR: Did He not find you an orphan and give you shelter?
KHALIFA: Did He not find you orphaned and He gave you a home?
৬। তিনি কি তোমাকে এতিম অবস্থায় পান নাই ৬১৮১ এবং তোমাকে আশ্রয় [ ও ভালোবাসা ] দেন নাই ? ৬১৮২
৬১৮১। এই আয়াতে আল্লাহ্ রাসুলকে (সা) অতীত থেকে বর্তমানকে বা ভবিষ্যতকে বিচার করতে আহ্বান করেছেন। অতীতে আল্লাহ্ রাসুলের প্রতি দয়া প্রর্দশন করেছেন, সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আশ্বাস দান করেছেন যে অবশ্যই ভবিষ্যতও রাসুলের (সা) জন্য উজ্জ্বল। পুণরায় এই আয়াতটি রাসুলের (সা) পটভূমিতে বিশ্বজনীন উপদেশ। রাসুলের (সা) জীবনীকে রূপক হিসেবে উপস্থাপন করে আল্লাহ্ আমাদের সম্মুখে সার্বজনীন উদাহরণ স্থাপন করেছেন। রাসুলের জীবনের তিনটি ঘটনাকে এই সূরাতে উপস্থাপন করা হয়েছে। বাহ্যিক এই ঘটনাগুলির আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম।
৬১৮২। ১) রাসুলকে (সা) এখানে ‘এতিম ‘ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। এই এতিম শব্দটি তাঁর জন্য প্রকৃত অর্থে ও রূপক অর্থে উভয় অর্থে প্রযোজ্য। যিনি হবেন বিশ্ব নবী, আল্লাহ্ তাঁকে ‘এতিম ‘ করে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। পিতা আবদুল্লা তার জন্মের পূর্বেই পরলোক গমন করেন। তিনি তাঁর সন্তান ও বিধবা স্ত্রীর জন্য খুব সামান্য সম্পত্তি-ই রেখে যেতে পেরেছিলেন। রাসুলের মাতা আমিনা বেগম ছিলেন, ভগ্নস্বাস্থ্যের অধিকারী। প্রকৃত পক্ষে রাসুলকে লালন পালন করেন তাঁর দুধ মা ধাত্রী হালিমা। রাসুলের মা পরলোক গমন করেন তিনি যখন কেবলমাত্র ছয় বৎসর। এর পরে তার পিতব্য আবু তালেব তার অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন ও পিতৃস্নেহে লালন পালন করেন। এভাবেই তিনি ছিলেন একজন ‘এতিম ‘বালক,কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তিনি যে আদর ও ভালোবাসা লাভ করেছিলেন তা সাধারণ পিতামাতার থেকেও অধিক ছিলো। এভাবেই আল্লাহ্ অসহায়ের সহায় হন। রাসুলের উদাহরণের মাধ্যমে আল্লাহ্ বলেছেন যে, মানুষ যখন এতিমের ন্যায় অসহায় হয়ে পড়ে, তখন আল্লাহ্র ভালোবাসা তাকে আশ্রয় দান করে। আধ্যাত্মিক জগতে আমাদের কোনও পিতা-মাতা নাই। সে জগতের আশ্রয়দাতা, প্রতিপালক একমাত্র আল্লাহ্। আল্লাহ্র করুণাই একমাত্র ভরসা।
আয়াতঃ 093.007
তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।
And He found you unaware (of the Qur’ân, its legal laws, and Prophethood, etc.) and guided you?
وَوَجَدَكَ ضَالًّا فَهَدَى
Wawajadaka dallan fahada
YUSUFALI: And He found thee wandering, and He gave thee guidance.
PICKTHAL: Did He not find thee wandering and direct (thee)?
SHAKIR: And find you lost (that is, unrecognized by men) and guide (them to you)?
KHALIFA: He found you astray, and guided you.
৭। এবং তিনি তোমাকে পথহারা অবস্থায় দেখেন ও পথ -নির্দ্দেশ দান করেন ৬১৮৩।
৬১৮৩। মহানবী যখন পৃথিবীতে আগমন করেন, তখন সমগ্র আরব পৌত্তলিকতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলো এবং তাঁর পরিবারই ছিলো কাবা ঘরে পৌত্তলিক মূর্তি গুলির তত্ত্বাবধায়ক। তাঁর পবিত্র হৃদয় এসব গ্রহণে অস্বীকার করে, কিন্তু সঠিক পথের ঠিকানা তিনি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। আল্লাহ্ তাঁকে সঠিক পথের নির্দ্দেশ দান করেন। নবুয়ত লাভের পূর্ব থেকেই রাসুলুল্লাহ্ (সা) মানুষের নৈতিক অধঃপতন দেখে বিচলিত হতেন, মানুষকে রক্ষার উপায় খুঁজতেন, তাঁর সেই সময়কার মানসিক অবস্থা এই আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহ্ তাঁকে সঠিক পথের নির্দ্দেশ দান করেন। রাসুলের (সা) জীবনে কোনও পাপ ছিলো না তা ছিলো পূত ও পবিত্র। কিন্তু আমাদের মত সাধারণ যারা তারা পাপের গোলক ধাঁধাতে বিভ্রান্ত ও দিশাহারা হয়ে ঘুরে বেড়াই। আমাদের কর্মের উদ্দেশ্য চিন্তাধারা, উপলব্ধি সবই হয়ে পড়ে বিভ্রান্ত। সে ক্ষেত্রে আল্লাহ্ আমাদেরও সঠিক পথের সন্ধান দেবেন যদি আমরা একান্ত নিবেদিত হৃদয়ে তাঁর কাছে সাহায্যের আবেদন করি।