YUSUFALI: And its enlightenment as to its wrong and its right;-
PICKTHAL: And inspired it (with conscience of) what is wrong for it and (what is) right for it.
SHAKIR: Then He inspired it to understand what is right and wrong for it;
KHALIFA: Then showed it what is evil and what is good.
৭। শপথ, [ মানুষের ] আত্মার এবং উহার যে সৌষ্ঠব ও বিন্যাস দান করা হয়েছে তার, ৬১৫২
৮। এবং [শপথ ] উহার পাপ পূণ্যের জ্ঞানের ;
৬১৫২। মানুষ অন্য প্রাণী থেকে শ্রেষ্ঠ কারণ আল্লাহ্ তার মাঝে রূহু বা আত্মার অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন। ঐশ্বরিক এই অবদানের জন্যই মানুষ শ্রেষ্ঠ। আল্লাহ্ তাঁকে শারীরিক ও মানসিক উভয় ভাবেই সৌন্দর্যমন্ডিত করেছেন, পুর্ণাঙ্গ করেছেন। সে জীবনের যে কোন পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে সক্ষম। প্রকৃতিকে জয় করে নিজের আয়ত্বে আনতে সক্ষম। দেখুন [৩২ : ৯] আয়াত। আল্লাহ্ মানুষকে বিবেক ও বুদ্ধি দান করেছেন। আরও দান করেছেন অনুভূতি ও উপলব্ধি ক্ষমতা। একমাত্র মানুষই পারে পাপ ও পূণ্যের মাঝে, ধর্ম ও অর্ধমের মাঝে, ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে, সত্য ও মিথ্যার মাঝে পার্থক্য করতে। এই বিশেষ ক্ষমতাই হচ্ছে স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ দান মানুষের জন্য। [ ১ – ৬ ] আয়াতে শপথের মাধ্যমে আমাদের বিশ্বভূবনের সাধারণ কিন্তু অত্যাচার্য বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে প্রথমে, তারপরে ৭ নং আয়াতে মানুষের জন্য আল্লাহ্র যে অসাধারণ নেয়ামত তারই শপথ করা হয়েছে। এই শপথ গুলির মাধ্যমে বলা হয়েছে যে, মানুষ অবশ্যই উপলব্ধি করবে যে, তাঁর সাফল্য, সমৃদ্ধি, আত্মিক মুক্তি সব কিছুই নির্ভর করবে তাঁর নিজস্ব কর্ম প্রচেষ্টার উপরে। যে আত্মাকে পাপ ও অন্যায় থেকে পবিত্র রাখতে পারে সেই সফলকাম। এ কথা মনে রাখতে হবে যে, মানুষ জন্মগ্রহণ করে পূত পবিত্র আত্মা নিয়ে আর তা রীপুর দহন মুক্ত হয়ে পূত পবিত্র রাখা মানুষের কর্তব্য। যদি সে তা না পারে, যদি সে পাপ ও অন্যায় দ্বারা আত্মাকে কলুষিত করে, তবে তার পতন অবশ্যাম্ভবী। পরলোকে তার জন্য শাস্তি অবধারিত যার পরিমাণ হবে আত্মার কলুষতার পরিমাণ অনুযায়ী।
আয়াতঃ 091.009
যে নিজেকে শুদ্ধ করে, সেই সফলকাম হয়।
Indeed he succeeds who purifies his ownself (i.e. obeys and performs all that Allâh ordered, by following the true Faith of Islâmic Monotheism and by doing righteous good deeds).
قَدْ أَفْلَحَ مَن زَكَّاهَا
Qad aflaha man zakkaha
YUSUFALI: Truly he succeeds that purifies it,
PICKTHAL: He is indeed successful who causeth it to grow,
SHAKIR: He will indeed be successful who purifies it,
KHALIFA: Successful is one who redeems it.
৯। সেই-ই সফলকাম যে তার [ আত্মাকে ] পরিশুদ্ধ করে,
১০। এবং সেই-ই ব্যর্থ হয়েছে যে তা দুর্নীতিগ্রস্থ করেছে ৬১৫৩ ;
৬১৫৩। [ ৯ – ১০ ] নং আয়াতটি হচ্ছে এই সূরার সারাংশ বা শপথের মূল বা মূল বক্তব্য। এই বক্তব্যকে সামুদ জাতির উদাহরণের সাহায্যে শক্তিশালী করা হয়েছে। নীচের আয়াত দেখুন।
আয়াতঃ 091.010
এবং যে নিজেকে কলুষিত করে, সে ব্যর্থ মনোরথ হয়।
And indeed he fails who corrupts his ownself (i.e. disobeys what Allâh has ordered by rejecting the true Faith of Islâmic Monotheism or by following polytheism, etc. or by doing every kind of evil wicked deeds).
وَقَدْ خَابَ مَن دَسَّاهَا
Waqad khaba man dassaha
YUSUFALI: And he fails that corrupts it!
PICKTHAL: And he is indeed a failure who stunteth it.
SHAKIR: And he will indeed fail who corrupts it.
KHALIFA: Failing is one who neglects it.
৯। সেই-ই সফলকাম যে তার [ আত্মাকে ] পরিশুদ্ধ করে,
১০। এবং সেই-ই ব্যর্থ হয়েছে যে তা দুর্নীতিগ্রস্থ করেছে ৬১৫৩ ;
৬১৫৩। [ ৯ – ১০ ] নং আয়াতটি হচ্ছে এই সূরার সারাংশ বা শপথের মূল বা মূল বক্তব্য। এই বক্তব্যকে সামুদ জাতির উদাহরণের সাহায্যে শক্তিশালী করা হয়েছে। নীচের আয়াত দেখুন।
আয়াতঃ 091.011
সামুদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ মিথ্যারোপ করেছিল।
Thamûd (people) denied (their Prophet) through their transgression (by rejecting the true Faith of Islâmic Monotheism, and by following polytheism, and by committing every kind of sin).
كَذَّبَتْ ثَمُودُ بِطَغْوَاهَا
Kaththabat thamoodu bitaghwaha
YUSUFALI: The Thamud (people) rejected (their prophet) through their inordinate wrong-doing,
PICKTHAL: (The tribe of) Thamud denied (the truth) in their rebellious pride,
SHAKIR: Samood gave the lie (to the truth) in their inordinacy,
KHALIFA: Thamoud’s disbelief caused them to transgress.
১১। সামুদ জাতি [ তাদের নবীকে ] প্রত্যাখান করেছিলো, তাদের অপরিমিত পাপ কাজের দ্বারা ৬১৫৪।
৬১৫৪। এই সূরাতে সামুদ জাতির কাহিনী পরোক্ষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মূল কাহিনী আছে সূরা [ ৭: ৭৩ – ৭৯ ] আয়াতে। দেখুন টিকা ১০৪৪। সামুদ জাতির নিকট সালেহ্ নবীকে প্রেরণ করা হয়। নবী সালেহ্কে এমন এক জাতির সাথে মোকাবিলা করতে হয়েছিলো, যারা উদ্ধত, একগুঁয়ে ভাবে গরীবের অধিকার হরণ করতো। অনাবৃষ্টি বা খরার সময়ে তারা গরীবদের তৃণভূমি ও পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করতো যেনো তাদের পশুরা তা ব্যবহার করতে না পারে। আল্লাহ্র এই অকৃপণ দানকে তারা শুধু তাদের নিজস্ব ভোগের জন্যই ব্যবহার করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলো, তারা গরীবের অধিকারকে অস্বীকার করতো।