আয়াতঃ 083.003
এবং যখন লোকদেরকে মেপে দেয় কিংবা ওজন করে দেয়, তখন কম করে দেয়।
And when they have to give by measure or weight to men, give less than due.
وَإِذَا كَالُوهُمْ أَو وَّزَنُوهُمْ يُخْسِرُونَ
Wa-itha kaloohum aw wazanoohum yukhsiroona
YUSUFALI: But when they have to give by measure or weight to men, give less than due.
PICKTHAL: But if they measure unto them or weight for them, they cause them loss.
SHAKIR: But when they measure out to others or weigh out for them, they are deficient.
KHALIFA: But when giving them the measures or weights, they cheat.
১। যারা প্রবঞ্চনা করে, তাদের দুর্ভাগ্য।
২। যারা লোকের নিটক থেকে মেপে নেয়ার সময়ে পুর্ণমাত্রায় গ্রহণ করে,
৩। কিন্তু যখন তারা অন্যকে দেয়, সে প্রাপ্য মাপ ও ওজনে কম দেয়। ৬০১১
৬০১১। মাপে কম দেয়ার অর্থ অন্যকে ঠকানো বা প্রতারণার মাধ্যমে লাভবান হওয়ার প্রবণতা। মাপে কম দেয়া বাক্যটিকে সঙ্কীর্ণ অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে এর অর্থ ব্যপক ও গভীর ভাবে ব্যবহৃত হবে। কারণ ৩নং আয়াতে ‘মাপ ‘ ও ‘ওজন’ দুটি শব্দ একই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে। ওজন হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যে ভাবে জিনিষকে ওজন করে থাকে বাটখারার সাহায্যে। ‘মাপ’ হচ্ছে যে কোন প্রাপ্য বস্তুর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হওয়া। পরবর্তী দুটি আয়াতে মাপে কম দেয়ার প্রকৃত মানসিকতাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই মানসিকতার সাথে অন্যের প্রতি অন্যায় করায় প্রবণতা জড়িত থাকে – আর তা হচ্ছে অন্যকে তার ন্যায্য প্রাপ্য অপেক্ষা কম দেয়া এবং নিজের বেলাতে যা প্রাপ্য তা থেকে বেশী দাবী করা। এরূপ মানসিকতা ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রভূত প্রচলিত যা সচারচর আমাদের দেশে দৃষ্টি গোচর হয়। কিন্তু এই মানসিকতা জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রচলিত আছে তবে তার ধরণ হবে আলাদা। যেমন গৃহে,বা সামাজিক অনুষ্ঠানে, বা অফিসে, আদালতে কোন ব্যক্তি বা গ্রুপ বিশেষ সম্মান বা সেবা দাবী করতে পারেন, কিন্তু তার বিনিময়ে তাদের করণীয় কর্তব্য সম্বন্ধে তারা হন অমনোযোগী। এও এক ধরণের প্রতারণা। একটি ছোট উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটিকে এভাবে তুলে ধরা যায়। আমাদের দেশের উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারীরা যারা পদবলে উচ্চ সম্মানের ও সুযোগ সুবিধার দাবীদার। কিন্তু যে পদাধিকার বলে তিনি এ সব ভোগ করেন, তিনি সে পদের জন্য অর্পিত কর্তব্য ও দায়িত্ব সম্বন্ধে অমনোযোগী। যার ফলে তাঁর কর্তব্য স্থলে ফাইলের পাহাড় গড়ে ওঠে। এটাও ঐ মাপে কম দেয়ার মানসিকতা থেকে উদ্ভুদ পরিস্থিতি। এটা একধরণের বিকৃত স্বার্থপরতা এবং দ্বিগুণ অন্যায়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আধ্যাত্মিক জগতের জন্য এ হচ্ছে এক বিপর্যয়কারী প্রক্রিয়া। যে লোক শুধুমাত্র নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করবে, অন্যকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে সে কিভাবে আল্লাহ্র করুণা ও রহমতের আশা করতে পারে ? ইংরেজীতে এক অতি মূল্যবান উপদেশ আছে, তা হচ্ছে, ” Do as you would be done by” এই সূরাতে আরও বিশদ ভাবে বলা হয়েছে যে, “অন্যেরা তোমার প্রাপ্য পরিশোধ করুক বা না করুক,তোমার নিকট অন্যের যা প্রাপ্য তা পূর্ণভাবে পরিশোধ করবে” সুতারাং এ ব্যাপারে ব্যক্তিগত দায় দায়িত্ব অত্যন্ত বেশী।
আয়াতঃ 083.004
তারা কি চিন্তা করে না যে, তারা পুনরুত্থিত হবে।
Think they not that they will be resurrected (for reckoning),
أَلَا يَظُنُّ أُولَئِكَ أَنَّهُم مَّبْعُوثُونَ
Ala yathunnu ola-ika annahum mabAAoothoona
YUSUFALI: Do they not think that they will be called to account?-
PICKTHAL: Do such (men) not consider that they will be raised again
SHAKIR: Do not these think that they shall be raised again
KHALIFA: Do they not know that they will be resurrected?
৪। তারা কি চিন্তা করে না যে [ মরণের পরে ] তাদের হিসাবের জন্য ডাকা হবে ? ৬০১২
৫। মহা দিবসে ?
৬। যে দিন [ সকল ] মানুষকে দাঁড়াতে হবে জগত সমূহের প্রভুর সম্মুখে ?
৬০১২। পৃথিবীর নিয়ম হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত প্রতারকদের প্রতারণা সর্বসমক্ষে প্রকাশ না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত সে সামাজিক ও সম্মানের যোগ্য ও আইনের উর্দ্ধে বলে বিবেচিত হয়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতারকদের অবস্থান আলাদা। প্রতিটি আত্মা আল্লাহ্র রূহুর অংশ [ ১৫ : ২৯] যা সৃষ্টির আদিতে থাকে পূত ও পবিত্র। আত্মার এই হচ্ছে প্রকৃত রূপ। কেউ কি সেই আত্মাকে প্রতারণার দ্বারা কলুষিত করতে চায় ? তারা কি জানে না তাদের সকল কাজের জন্য শেষ বিচারের দিনে, জবাবদিহিতা বিদ্যমান ? যিনি সেই বিচার দিনের বিচারক তাঁর অজ্ঞাত কিছুই নাই, সেই মহাপ্রভু আল্লাহ্ সকলের অধিকার রক্ষা করেন। পৃথিবীর কেউ না জানলেও আল্লাহ্ সকলের সকল কর্ম সম্বন্ধে সম্যক ওয়াকিবহাল। সুতারাং তারা কি পুণরুত্থানের ভয় করে না ?
আয়াতঃ 083.005
সেই মহাদিবসে,
On a Great Day,
لِيَوْمٍ عَظِيمٍ
Liyawmin AAatheemin