আয়াতঃ 083.032
আর যখন তারা বিশ্বাসীদেরকে দেখত, তখন বলত, নিশ্চয় এরা বিভ্রান্ত।
And when they saw them, they said: ”Verily! These have indeed gone astray!”
وَإِذَا رَأَوْهُمْ قَالُوا إِنَّ هَؤُلَاء لَضَالُّونَ
Wa-itha raawhum qaloo inna haola-i ladalloona
YUSUFALI: And whenever they saw them, they would say, “Behold! These are the people truly astray!”
PICKTHAL: And when they saw them they said: Lo! these have gone astray.
SHAKIR: And when they saw them, they said: Most surely these are in error;
KHALIFA: Whenever they saw them, they said, “These people are far astray!
২৮। ইহা একটি প্রস্রবণ, যা হতে আল্লাহ্র সান্নিধ্য প্রাপ্তরা পান করবে।
২৯। যারা পাপে আসক্ত, তারা তো বিশ্বাসীদের উপহাস করতো।
৩০। এবং তারা যখন বিশ্বাসীদের নিকট দিয়ে যেতো তারা তখন পরস্পরকে চক্ষু টিপে ইশারাতে [ ঠাট্টা করতো ];
৩১। আর যখন তারা আপন জনদের নিকটে ফিরে আসতো,তখন তারা কৌতুক পরিহাস করতে করতে আসতো ;
৩২। এবং যখনই তাদের দেখতো, তখনই তারা [পাপীরা ] বলতো, ” দেখো ! এরাই তারা যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।” ৬০২৭
৬০২৭। যারা দুষ্ট প্রকৃতির এবং পাপী তারা পার্থিব জীবনে নিজেদের সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে থাকে। তারা সৎ এবং পূণ্যাত্মাদের ব্যঙ্গ বিদ্রূপ করে থাকে। তাদের এই বিদ্রূপের ভাষা হয় নিম্নরূপ : ১) তারা মুমিন ব্যক্তিদের উপহাস করে কারণ তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে থাকে। ২) প্রকাশ্যে যখন মুমিন ব্যক্তিরা যাতায়াত করতেন তখন দুষ্ট লোকেরা পরস্পর চক্ষু টিপে ইশারা করে তাঁদের দেখাতেন অপমান করার জন্য। ৩) নিজ গৃহে দূবৃত্তরা মুমিনদের সম্বন্ধে কটুক্তি করতো। এবং ৪) যেখানে যে অবস্থায়ই তারা মুমিনদের দেখতে পেতো তারা মুমিনদের বোকা এবং পথ ভ্রষ্টরূপে সম্বোধন করতো। যদিও প্রকৃতপক্ষে তারাই বোকা। পরলোকের জীবনে তাদের সকল দুষ্কৃতি,কূটকৌশল,কটুক্তি, মিথ্যা, সব কিছুই তাদের সামনে প্রকাশ করে দেয়া হবে। সেদিন তাদের অবস্থান হবে নীচে এবং মুমিনদের উচ্চে।
আয়াতঃ 083.033
অথচ তারা বিশ্বাসীদের তত্ত্বাবধায়করূপে প্রেরিত হয়নি।
But they (disbelievers, sinners) had not been sent as watchers over them (the believers).
وَمَا أُرْسِلُوا عَلَيْهِمْ حَافِظِينَ
Wama orsiloo AAalayhim hafitheena
YUSUFALI: But they had not been sent as keepers over them!
PICKTHAL: Yet they were not sent as guardians over them.
SHAKIR: And they were not sent to be keepers over them.
KHALIFA: “They have no such thing as (invisible) guards.”
৩৩। অথচ তাদের তো মোমেনদের তত্বাবধায়ক করে পাঠানো হয় নাই। ৬০২৮
৬০২৮। পৃথিবীর জীবনে দুষ্কৃতিকারী ও পাপিষ্ঠদের ব্যবহারে মনে হবে তারা হচ্ছে শ্রেষ্ঠ, সুতারাং পূণ্যাত্মাদের সম্বন্ধে কটুক্তি করার ও সমালোচনা করার অধিকার তাদের আছে। কে তাদের মুমিনদের তত্বাবধায়ক করে পাঠিয়েছে ? বরং তারা তাদের নিজেদের ভবিষ্যত সম্বন্ধে চিন্তা করুক।
আয়াতঃ 083.034
আজ যারা বিশ্বাসী, তারা কাফেরদেরকে উপহাস করছে।
But this Day (the Day of Resurrection) those who believe will laugh at the disbelievers
فَالْيَوْمَ الَّذِينَ آمَنُواْ مِنَ الْكُفَّارِ يَضْحَكُونَ
Faalyawma allatheena amanoo mina alkuffari yadhakoona
YUSUFALI: But on this Day the Believers will laugh at the Unbelievers:
PICKTHAL: This day it is those who believe who have the laugh of disbelievers,
SHAKIR: So today those who believe shall laugh at the unbelievers;
KHALIFA: Today, those who believed are laughing at the disbelievers.
৩৪। সেই দিন বিশ্বাসীরা, অবিশ্বাসীদের উপহাস করবে; ৬০২৯
৬০২৯। পরলোকের দৃশ্য হবে সম্পূর্ণ উল্টো। সেদিন মুমিনগণই পাপীষ্ঠদের উপহাস করবে।
আয়াতঃ 083.035
সিংহাসনে বসে, তাদেরকে অবলোকন করছে,
On (high) thrones, looking (at all things).
عَلَى الْأَرَائِكِ يَنظُرُونَ
AAala al-ara-iki yanthuroona
YUSUFALI: On Thrones (of Dignity) they will command (a sight) (of all things).
PICKTHAL: On high couches, gazing.
SHAKIR: On thrones, they will look.
KHALIFA: On luxurious furnishings they watch.
৩৫। তারা [ মর্যদার ] সিংহাসনে উপবেশন করে অবলোকন করবে [সকল জিনিষ ] ৬০৩০।
৬০৩০। ৩৫ নং আয়াতটি পূর্বের ২৩ নং আয়াতের পুণরাবৃত্তি। কিন্তু এখানে অর্থের বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। পূণ্যাত্মারা তাদের উচ্চে আসন থেকে লক্ষ্য করবেন যে, প্রকৃত মূল্যবোধ পৃথিবীতে উপহাসের বস্তু হলেও পরলোকে তা মহিমাতে উদ্ভাসিত হবে। তাঁরা আরও লক্ষ্য করবেন যে দাম্ভিক, মিথ্যা অহংকারী পার্থিব জীবনে যত মর্যদাবানই হোক না কেন পরলোকে তাদের সকলের মর্যদা হানি করা হবে এবং হীন,নীচ বলে প্রতিপন্ন করা হবে। নিজেদের কর্মফলেই এদের নিজেদের অধঃপতনের কারণ।