আয়াতঃ 082.004
এবং যখন কবরসমূহ উম্মোচিত হবে,
And when the graves are turned upside down (and they bring out their contents)
وَإِذَا الْقُبُورُ بُعْثِرَتْ’
Wa-itha alqubooru buAAthirat
YUSUFALI: And when the Graves are turned upside down;-
PICKTHAL: And the sepulchres are overturned,
SHAKIR: And when the graves are laid open,
KHALIFA: The graves are opened.
৪। যখন কবরসমূহকে উল্টিয়ে দেয়া হবে ৬০০১
৬০০১। সূরা [ ৮১ : ১ – ১৪ ] আয়াতগুলিতে কবর উম্মোচনের উল্লেখ করা হয় নাই। এই সূরাতে কবর উম্মোচনের উল্লেখ করা হয়েছে এই কারণে যে তা দ্বারা এই সত্যকেই প্রকাশ করা হয়েছে যে, সেদিন পৃথিবীর সকল কিছুই লন্ডভন্ড হয়ে পড়বে এমনকি যে মৃত্যুকে আমরা পৃথিবীর মানুষ মনে করি অপরিবর্তনীয়, সেই মৃত্যুর কঠিন নিয়মও পরিবর্তিত হয়ে পড়বে। যদিও আমাদের ধারণা মৃত্যুই হচ্ছে জীবনের শেষ এবং পৃথিবীর দুঃখ-যন্ত্রণার সমাপ্তির মাধ্যমে পরম শান্তি লাভ। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে মৃত্যুর মাধ্যমে আত্মা পরম শান্তি লাভ করতে পারবে না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে মৃত্যু হচ্ছে নূতন পৃথিবীর নূতন জীবনের সিংহ দুয়ার। মৃত্যুর সিংহ দূয়ারকে অতিক্রম করেই পরলোকের জীবনে প্রবেশ করতে হবে।
আয়াতঃ 082.005
তখন প্রত্যেকে জেনে নিবে সে কি অগ্রে প্রেরণ করেছে এবং কি পশ্চাতে ছেড়ে এসেছে।
(Then) a person will know what he has sent forward and (what he has) left behind (of good or bad deeds).
عَلِمَتْ نَفْسٌ مَّا قَدَّمَتْ وَأَخَّرَتْ
AAalimat nafsun ma qaddamat waakhkharat
YUSUFALI: (Then) shall each soul know what it hath sent forward and (what it hath) kept back.
PICKTHAL: A soul will know what it hath sent before (it) and what left behind.
SHAKIR: Every soul shall know what it has sent before and held back.
KHALIFA: Every soul will find out what caused it to advance, and what caused it to regress.
৫। [তখন ] প্রতিটি আত্মা জানতে পারবে [ মৃত্যুর ] পূর্বে সে কি প্রেরণ করেছে এবং [ মৃত্যুর পরে ] পিছনে কি রেখে এসেছে। ৬০০২
৬০০২। ” পূর্বে সে কি প্রেরণ করেছে এবং পিছনে কি রেখে এসেছে ” – এর অর্থ হতে পারে, যে কাজ মানুষ সম্পাদন করেছে এবং যে কাজ সে করে নাই। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক জগতের মঙ্গলের জন্য যে সৎ কাজ সে সম্পাদন করে সে কাজই হচ্ছে ” অগ্রে পাঠানো” কাজ। এবং পার্থিব যে সব বস্তু বা কর্ম তার জন্য ছিলো গর্ব অহংকার ও দম্ভের বস্তু, সে সকল কাজ তাকে পৃথিবীতেই রেখে যেতে হবে অথবা এভাবেও বলা যায় যে, পৃথিবীর জীবনে যা কাঙ্খিত ও গুরুত্বপূর্ণ তা পরলোকের জীবনে কোন গুরুত্বই বহন করবে না বরং পৃথিবীর গুরুত্বহীন কর্ম সমূহ সেদিন বিশেষ সম্মানের সাথে বিবেচিত হবে। সেদিন সম্পূর্ণ ধারণা যাবে পাল্টে, ” প্রথম হবে সর্বশেষ এবং সর্বশেষ হবে প্রথম।”
আয়াতঃ 082.006
হে মানুষ, কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম পালনকর্তা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করল?
O man! What has made you careless concerning your Lord, the Most Generous?
يَا أَيُّهَا الْإِنسَانُ مَا غَرَّكَ بِرَبِّكَ الْكَرِيمِ
Ya ayyuha al-insanu ma gharraka birabbika alkareemi
YUSUFALI: O man! What has seduced thee from thy Lord Most Beneficent?-
PICKTHAL: O man! What hath made thee careless concerning thy Lord, the Bountiful,
SHAKIR: O man ! what has beguiled you from your Lord, the Gracious one,
KHALIFA: O you human being, what diverted you from your Lord Most Honorable?
৬। হে মানুষ ! কি তোমাকে তোমার মহান প্রতিপালক সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করেছিলো ? –
৭। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন সুঠাম সুন্দর করে ৬০০৩ এবং সুসামঞ্জস্যপূর্ণতা দান করেছেন ৬০০৪।
৬০০৩। দেখুন অনুরূপ আয়াত [ ১৫ : ২৯]। আল্লাহ্ মানুষকে শুধু সৃষ্টিই করেন নাই, তিনি তাঁকে সৃষ্টি করেছেন অনুপম সৌন্দর্য মন্ডিত করে। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যই নয়, সেই সাথে তিনি মানুষকে দান করেছেন অপার সম্ভাবনাময় মানসিক দক্ষতা, যার সাহয্যে সে তাঁর মহত্তর লক্ষ্যে উত্তীর্ণ হতে পারে, যে উদ্দেশ্যে স্রষ্টা তাঁকে সৃষ্টি করেছেন।
৬০০৪। দেখুন [ ৬ : ১ ] আয়াতের টিকা ৮৩৪। আল্লাহ্ মানুষকে সীমিত স্বাধীন ইচছাশক্তি দান করেছেন। আরও দান করেছেন বুদ্ধি,বিবেক, জ্ঞান ও প্রজ্ঞা। একমাত্র মানুষই পারে ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে, সত্য ও মিথ্যার মধ্যে এবং ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করতে। মানুষের এই বিশেষ ক্ষমতার জন্যই মানুষ সুসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাণী। যদি আমরা ভুল করি তবে তা হবে আমাদেরই কৃতকর্ম বা আমাদেরই দোষ।
আয়াতঃ 082.007
যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাকে সুবিন্যস্ত করেছেন এবং সুষম করেছেন।
Who created you, fashioned you perfectly, and gave you due proportion;
الَّذِي خَلَقَكَ فَسَوَّاكَ فَعَدَلَكَ
Allathee khalaqaka fasawwaka faAAadalaka