إِنَّ فِي ذَلِكَ لَعِبْرَةً لِّمَن يَخْشَى
Inna fee thalika laAAibratan liman yakhsha
YUSUFALI: Verily in this is an instructive warning for whosoever feareth (Allah).
PICKTHAL: Lo! herein is indeed a lesson for him who feareth.
SHAKIR: Most surely there is in this a lesson to him who fears.
KHALIFA: This is a lesson for the reverent.
২৬। অবশ্যই এতে রয়েছে শিক্ষণীয় সতর্কবাণী তার জন্য যে [আল্লাহকে ] ভয় করে ৫৯৩৩।
৫৯৩৩। দেখুন [ ২৪ : ৪৪ ]।
আয়াতঃ 079.027
তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন?
Are you more difficult to create, or is the heaven that He constructed?
أَأَنتُمْ أَشَدُّ خَلْقًا أَمِ السَّمَاء بَنَاهَا
Aantum ashaddu khalqan ami alssamao banaha
YUSUFALI: What! Are ye the more difficult to create or the heaven (above)? (Allah) hath constructed it:
PICKTHAL: Are ye the harder to create, or is the heaven that He built?
SHAKIR: Are you the harder to create or the heaven? He made it.
KHALIFA: Are you more difficult to create than the heaven? He constructed it.
রুকু – ২
২৭। কি ! তোমাদের সৃষ্টি করা বেশী কঠিন না [ উপরের ] আকাশ ? ৫৯৩৪ [আল্লাহ্ ] তা সৃষ্টি করেছেন।
৫৯৩৪। নগন্য মানুষ উদ্ধত অহংকারে তাঁর ক্ষুদ্রত্ব ভুলে যায়। অজ্ঞতা ও অবিমৃষ্যকারীতার জন্য সে ভুলে যায় যে, আল্লাহ্র নিকট সে ইহকালের কাজের জবাবদিহিদার জন্য আবদ্ধ। এই আয়াত সমূহে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, আল্লাহ্র সৃষ্টি বিশ্বব্রহ্মান্ডের বিশালত্বের সৃষ্টির তুলনায় মানুষ একটি ক্ষুদ্র বিন্দুর ন্যায় নগন্য। এই ক্ষুদ্র ও অসহায় মানুষ, সৃষ্টির সকল কিছুর উপরে যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছে, তা শুধুমাত্র আল্লাহ্র করুণাতেই সম্ভব হয়েছে। মানুষের বিভিন্ন মানসিক দক্ষতা সমূহ যেমন বুদ্ধিমত্তা,মেধা, সৃজনক্ষমতা প্রতিভা ইত্যাদি যার দ্বারা সে বিশ্বকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে, তা আল্লাহ্রই বিশেষ অনুগ্রহ, মানুষের জন্য। মানুষকে আল্লাহ্ সৃষ্টির সকল বস্তুর উপরে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তার প্রতিনিধিত্ব দান করেছেন [২ : ৩০ – ৩৯ ]। পরবর্তী আয়াত সমূহ লক্ষ্য করুন। যেখানে সৃষ্টির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন আকাশ ও পৃথিবীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধরা হয়েছে এবং বলা হয়েছে যে, এ সমস্তকেই মানুষের অধীন করে দেয়া হয়েছে।
আয়াতঃ 079.028
তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন।
He raised its height, and He has equally ordered it,
رَفَعَ سَمْكَهَا فَسَوَّاهَا
RafaAAa samkaha fasawwaha
YUSUFALI: On high hath He raised its canopy, and He hath given it order and perfection.
PICKTHAL: He raised the height thereof and ordered it;
SHAKIR: He raised high its height, then put it into a right good state.
KHALIFA: He raised its masses, and perfected it.
২৮। তিনি উহার ছাদকে সুউচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন ৫৯৩৫।
৫৯৩৫। দেখুন [ ২ : ২৯ ] আয়াত। বিশ্ব প্রকৃতি সৃষ্টির বর্ণনায় এই আয়াতে উম্মুক্ত অসীম নীল আকাশকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। নিঃসীম নীল আকাশের অসংখ্য তারকারাজি, গ্রহ-নক্ষত্র, পৃথিবী ও সূর্য -চন্দ্র প্রত্যেকেই স্রষ্টার প্রণীত আকাশের আইন মেনে চলে কেউ একচুল পরিমাণও স্বর্গীয় আইনের অমান্য করে না। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কক্ষপথে নির্দ্দিষ্ট গতিতে পরস্পরের মাঝে সংঘর্ষ না ঘটিয়ে অবিরাম গতিতে নির্দ্দিষ্ট কক্ষপথকে অতিক্রম করে থাকে, যার ফলে পৃথিবীর আবহাওয়া ও তাপমন্ডলকে লক্ষ লক্ষ মাইল দূরে থেকে সূর্যের আলো প্রভাবিত করে থাকে। যার ফলে পৃথিবীতে ঋতুর পরিবর্তন ঘটে জোয়ার ভাটা হয় এবং পৃথিবী ফুল ও ফলে ভরে ওঠে। এ সবই নির্দ্দেশ করে সৃষ্টির মাঝে আল্লাহ্র জ্ঞান ও প্রজ্ঞার পরিপূর্ণতার স্বাক্ষর। এ সব নিদর্শন দেখার পরেও কি কেউ বিশ্বস্রষ্টার ক্ষমতাকে অস্বীকার করতে পারে। অস্বীকার করতে পারে, ” সীমিত স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি ” – যা স্রষ্টা তাঁকে ‘ প্রতিনিধি ‘ হিসেবে দান করেছেন, তার জবাবদিহিতা ? সে কি অস্বীকার করতে পারে, ” শেষ বিচারের দিন” বা ভালোকে মন্দ থেকে আলাদা করার দিনকে?
আয়াতঃ 079.029
তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন।
Its night He covers with darkness, and its forenoon He brings out (with light).
وَأَغْطَشَ لَيْلَهَا وَأَخْرَجَ ضُحَاهَا
Waaghtasha laylaha waakhraja duhaha
YUSUFALI: Its night doth He endow with darkness, and its splendour doth He bring out (with light).
PICKTHAL: And He made dark the night thereof, and He brought forth the morn thereof.
SHAKIR: And He made dark its night and brought out its light.
KHALIFA: He made its night dark, and brightened its morn.
২৯। এর রাত্রিকে তিনি অন্ধকারে বিভূষিত করেন এবং এর [ আলোকে ] প্রকাশ করেছেন দীপ্তিময় করে। ৫৯৩৬