আয়াতঃ 079.012
তবে তো এ প্রত্যাবর্তন সর্বনাশা হবে!
They say: ”It would in that case, be a return with loss!”
قَالُوا تِلْكَ إِذًا كَرَّةٌ خَاسِرَةٌ
Qaloo tilka ithan karratun khasiratun
YUSUFALI: They say: “It would, in that case, be a return with loss!”
PICKTHAL: They say: Then that would be a vain proceeding.
SHAKIR: They said: That then would be a return occasioning loss.
KHALIFA: They had said, “This is an impossible recurrence.”
১০। [ বর্তমানে ] তারা বলে, ” সে কি ! আমরা কি সত্যিই [ আমাদের ] পূর্বাবস্থায় ফিরে যাব ? ” ৫৯২৪
১১। ” সে কি ! যখন আমরা গলিত পচা হাড় হয়ে যাব [ তখনও ] ? ”
১২। তারা বলে, ” তাই-ই যদি হয়, তবে তো ইহা সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন। ”
৫৯২৪। পৃথিবীর জীবনে সত্য প্রত্যাখানকারীরা থাকে অবাধ্য, উদ্ধত এবং বিদ্রূপকারী। তাদেরই বিদ্রূপের ভাষা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মনোভাব এরূপ, ” হ্যাঁ, নিশ্চয়ই মৃত্যুই সকল কিছুর শেষ। যখন আমরা মুত্যুমুখে পতিত হব এবং কবরে নীত হব, সেখান থেকে কিভাবে আবার জীবিত অবস্থায় প্রত্যাবর্তিত হব ? ” তারা আরও বলে যে, ” যদি সত্যিই তাই ঘটে, তবে তো আমাদের প্রত্যাবর্তন হবে সর্বনাশা প্রত্যাবর্তন। কারণ আমাদের অস্থি,চর্ম-মজ্জা সব কিছুই পচনশীল অবস্থায় থাকবে।” তারা এইরূপ উক্তি করে অবিশ্বাসের কারণে বিদ্রূপাত্মক ভাবে। তাদের বিদ্রূপে কোন কিছুরই পরিবর্তন ঘটবে না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, শেষ বিচারে অবশ্যই সকলকে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। সেদিন তারা প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং দোযখই হবে তাদের শেষ পরিণতি।
আয়াতঃ 079.013
অতএব, এটা তো কেবল এক মহা-নাদ,
But only, it will be a single Zajrah [shout (i.e., the second blowing of the Trumpet)]. (See Verse 37:19).
فَإِنَّمَا هِيَ زَجْرَةٌ وَاحِدَةٌ
Fa-innama hiya zajratun wahidatun
YUSUFALI: But verily, it will be but a single (Compelling) Cry,
PICKTHAL: Surely it will need but one shout,
SHAKIR: But it shall be only a single cry,
KHALIFA: All it takes is one nudge.
১৩। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে,তা হবে একটি মাত্র আওয়াজ ৫৯২৫,
৫৯২৫। বিচার দিবস শুধুমাত্র একটি বিকট শব্দের অপেক্ষা মাত্র যার উল্লেখ আছে, সূরা [ ৩৭ : ১ ৯ ] এবং সূরা [ ৩৬ : ২৯, ৪৯ ] আয়াতে। এই বিকট শব্দ দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, হঠাৎ করেই পাপীদের ইহজীবনের লীলা খেলা শেষ করে দেয়া হবে এবং পরলোকের জীবনে নীত করা হবে যেখানে তাদের বিচার করা হবে। দেখুন সূরা [ ৩৬ : ৫৩ ] আয়াত যেখানে শেষ বিচারের নীত হওয়ার উল্লেখ আছে।
আয়াতঃ 079.014
তখনই তারা ময়দানে আবির্ভূত হবে।
When, behold, they find themselves over the earth alive after their death,
فَإِذَا هُم بِالسَّاهِرَةِ
Fa-itha hum bialssahirati
YUSUFALI: When, behold, they will be in the (full) awakening (to Judgment).
PICKTHAL: And lo! they will be awakened.
SHAKIR: When lo! they shall be wakeful.
KHALIFA: Whereupon they get up.
১৪। যখন তারা [ বিচারের ] জন্য থাকবে [ পূর্ণ ] সচেতনতায় ৫৯২৬
৫৯২৬। মৃত্যুর সময় থেকে পরবর্তী অবস্থাকে ব্যক্তির জন্য ছোট কেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা যায়। দেখুন সূরা [ ৭৮ : ৪০ ] আয়াতের টিকা ৫৯১৪ ও সূরা [ ৭৫ : ২২ ] আয়াতের টিকা ৫৮২২ এবং সূরা [ ৭ : ৩৭] আয়াত। যখন প্রকৃত কেয়ামত সংঘটিত হবে তখন পুরানো চেনাজানা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে এবং সকলের পুনরুত্থান ঘটবে। মৃত্যু পরবর্তী ছোট কেয়ামত বা বিচারকে কবর আযাব বলা হয়।
আয়াতঃ 079.015
মূসার বৃত্তান্ত আপনার কাছে পৌছেছে কি?
Has there come to you the story of Mûsa (Moses)?
هَلْ أتَاكَ حَدِيثُ مُوسَى
Hal ataka hadeethu moosa
YUSUFALI: Has the story of Moses reached thee?
PICKTHAL: Hath there come unto thee the history of Moses?
SHAKIR: Has not there come to you the story of Musa?
KHALIFA: Have you known about the history of Moses?
১৫। তোমার নিকট কি মুসার কাহিনী পৌঁছেছে ? ৫৯২৭
৫৯২৭। হযরত মুসার কাহিনী সূরা [ ২০ : ৯- ৭৬ ] আয়াতে বিশদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই আয়াতে সংক্ষেপে যে উপদেশ দান করা হয়েছে তা নিম্নরূপ :
১) আল্লাহ্ সর্বোচ্চ প্রত্যাখানকারী, নিন্দাকারী, এমনকি ফেরাউনের ন্যায় প্রত্যাখানকারীর জন্যও আল্লাহ্র করুণা ও ক্ষমার দরজা অবারিত। হযরত মুসার মাধ্যমে ফেরাউনকে আল্লাহ্র করুণার বার্তা প্রেরণ করা হয়।
২) ফেরাউনের প্রত্যাখানের ফলে এই পৃথিবীতেই তার পতন ঘটে; ঠিক সেরূপ যারা আল্লাহ্র আইনকে প্রত্যাখান করে তাদেরও পতনও এই পৃথিবীতেই ঘটতে পারে।
৩) পাপীদের লাঞ্ছনার পরিপূর্ণতা লাভ করবে পরলোকের জীবনে, শেষ বিচারের পরে।
আয়াতঃ 079.016
যখন তার পালনকর্তা তাকে পবিত্র তুয়া উপ্যকায় আহবান করেছিলেন,
When his Lord called him in the sacred valley of Tûwa,