২২। অবশ্যই ইহা তোমাদের [ কর্মচেষ্টার ] পুরষ্কার এবং তোমাদের পরিশ্রমকে [আল্লাহ্ ] গ্রহণ করেছেন এবং স্বীকৃতি দিয়েছেন।
আয়াতঃ 076.023
আমি আপনার প্রতি পর্যায়ক্রমে কোরআন নাযিল করেছি।
Verily! It is We Who have sent down the Qur’ân to you (O Muhammad SAW) by stages.
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ تَنزِيلًا
Inna nahnu nazzalna AAalayka alqur-ana tanzeelan
YUSUFALI: It is We Who have sent down the Qur’an to thee by stages.
PICKTHAL: Lo! We, even We, have revealed unto thee the Qur’an, a revelation;
SHAKIR: Surely We Ourselves have revealed the Quran to you revealing (it) in portions.
KHALIFA: We have revealed to you this Quran; a special revelation from us.
রুকু – ২
২৩। তিনিই তোমার প্রতি কুর-আন অবতীর্ণ করেছেন ধাপে ধাপে। ৫৮৫৫
২৪। সুতারাং তোমার প্রভুর আদেশের প্রতি দৃঢ়তার সাথে ধৈর্য্যশীল হও, এবং তাদের মধ্যে যারা পাপিষ্ঠ অথবা অকৃতজ্ঞ তাদের আনুগত্য করো না।
৫৮৫৫। কোরাণ ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর ব্যপী সময়ে পৃথিবীতে অবতীর্ণ করা হয়, সময়, পরিবেশ এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। এই সূরাটি যখন অবতীর্ণ হয়, তখন ছিলো ইসলামের প্রথম অবস্থা। সে সময়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীর উপরে অত্যাচার, নির্যাতন, মিথ্যা দোষারোপের ঝড় বয়ে যায়; কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে তাঁর প্রতি আরোপিত আল্লাহ্র কর্তব্য অবিচলিতভাবে পালন করে যান। পরের আয়াতে দেখুন নবীর প্রতি আল্লাহ্র নির্দ্দেশ হচ্ছে ধৈর্য্যের সাথে দৃঢ় ও অবিচলিতভাবে আল্লাহ্র আদেশের প্রতীক্ষ করা এবং পাপিষ্ঠদের আনুগত্য না করা। নবীর (সা) প্রতি আল্লাহ্র এই আদেশ আমাদের মত সাধারণ মানুষেরও জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়, সেটাই এই আয়াতের উপদেশ।
আয়াতঃ 076.024
অতএব, আপনি আপনার পালনকর্তার আদেশের জন্যে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন এবং ওদের মধ্যকার কোন পাপিষ্ঠ কাফেরের আনুগত্য করবেন না।
Therefore be patient (O Muhammad SAW) and submit to the Command of your Lord (Allâh, by doing your duty to Him and by conveying His Message to mankind), and obey neither a sinner nor a disbeliever among them.
فَاصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ وَلَا تُطِعْ مِنْهُمْ آثِمًا أَوْ كَفُورًا
Faisbir lihukmi rabbika wala tutiAA minhum athiman aw kafooran
YUSUFALI: Therefore be patient with constancy to the Command of thy Lord, and hearken not to the sinner or the ingrate among them.
PICKTHAL: So submit patiently to thy Lord’s command, and obey not of them any guilty one or disbeliever.
SHAKIR: Therefore wait patiently for the command of your Lord, and obey not from among them a sinner or an ungrateful one.
KHALIFA: You shall steadfastly carry out your Lord’s commandments, and do not obey any sinful disbeliever among them.
রুকু – ২
২৩। তিনিই তোমার প্রতি কুর-আন অবতীর্ণ করেছেন ধাপে ধাপে। ৫৮৫৫
২৪। সুতারাং তোমার প্রভুর আদেশের প্রতি দৃঢ়তার সাথে ধৈর্য্যশীল হও, এবং তাদের মধ্যে যারা পাপিষ্ঠ অথবা অকৃতজ্ঞ তাদের আনুগত্য করো না।
৫৮৫৫। কোরাণ ধীরে ধীরে সুদীর্ঘ ২৩ বৎসর ব্যপী সময়ে পৃথিবীতে অবতীর্ণ করা হয়, সময়, পরিবেশ এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। এই সূরাটি যখন অবতীর্ণ হয়, তখন ছিলো ইসলামের প্রথম অবস্থা। সে সময়ে আমাদের প্রাণপ্রিয় নবীর উপরে অত্যাচার, নির্যাতন, মিথ্যা দোষারোপের ঝড় বয়ে যায়; কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে তাঁর প্রতি আরোপিত আল্লাহ্র কর্তব্য অবিচলিতভাবে পালন করে যান। পরের আয়াতে দেখুন নবীর প্রতি আল্লাহ্র নির্দ্দেশ হচ্ছে ধৈর্য্যের সাথে দৃঢ় ও অবিচলিতভাবে আল্লাহ্র আদেশের প্রতীক্ষ করা এবং পাপিষ্ঠদের আনুগত্য না করা। নবীর (সা) প্রতি আল্লাহ্র এই আদেশ আমাদের মত সাধারণ মানুষেরও জীবনের সর্বক্ষেত্রে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়, সেটাই এই আয়াতের উপদেশ।
আয়াতঃ 076.025
এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপন পালনকর্তার নাম স্মরণ করুন।
And remember the Name of your Lord every morning and afternoon [i.e. offering of the Morning (Fajr), Zuhr, and ’Asr prayers].
وَاذْكُرِ اسْمَ رَبِّكَ بُكْرَةً وَأَصِيلًا
Waothkuri isma rabbika bukratan waaseelan
YUSUFALI: And celebrate the name or thy Lord morning and evening,
PICKTHAL: Remember the name of thy Lord at morn and evening.
SHAKIR: And glorify the name of your Lord morning and evening.
KHALIFA: And commemorate the name of your Lord day and night.
২৫। এবং তোমার প্রতিপালকের নাম স্মরণ কর সকালে ও সন্ধ্যায়। ৫৮৫৬
৫৮৫৬। আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা ও আনুগত্য প্রকাশ করার তিনটি উপায় এখানে বর্ণনা করা হয়েছে : ১) সর্বদা একান্তভাবে আল্লাহ্র পবিত্র নাম স্মরণ করা। ২ ) রাত্রির কিয়দংশ আল্লাহ্র এবাদতে সিজ্দাতে নিমগ্ন থাকা ; ৩) রাত্রির দীর্ঘ সময় আল্লাহ্র মাহাত্ম্য প্রকাশ করা। ১) এই আয়াতের ‘সকাল-সন্ধ্যায় ” বাক্যটির দ্বারা সর্বদা অর্থাৎ শয়নে স্বপনে জাগরণে সর্বদা বোঝানো হয়েছে। বিশেষ ভাবে ঊষাকালে এবং গোধূলী লগ্নে পৃথিবীর আলো – আঁধারের সন্ধিক্ষণে প্রকৃতির মাঝে আসে পরিবর্তন যার প্রভাব পরিলক্ষিত হয় মানুষের আধ্যাত্মিক জগতের উপরে, মানুষের মনের উপরে। সে কারণে সকাল -সন্ধ্যার উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ্র নিরানব্বইটি নাম মানুষের প্রতি আল্লাহ্র বিশেষ রহমতের প্রকাশ। এ সবই হচ্ছে আল্লাহ্র রহমতের প্রতীক। আল্লাহ্র আরোপিত নাম সমূহের উপমা হচ্ছে একটি তালাবদ্ধ স্বর্ণ ঝাঁপি যার মাঝে আছে আল্লাহ্ নামের অমুল্য রত্ন সমূহ। সকলের জন্য এই ঝাঁপিকে করা হয়েছে সহজলভ্য কিন্তু এর তালা খুলে আল্লাহ্র নামের রত্ন আহরণ করা সকলের পক্ষে সমান সহজ নাও হতে পারে। সকলেই এই রত্নের যোগ্য নাও হতে পারে। যদি সে আল্লাহ্ নামের রত্নরাজি থেকে লাভবান নাও হতে পারে,তবুও সে এই রত্নের ঝাঁপি বহন করার অধিকার লাভ করবে। এমনও তো হতে পারে যে তাঁর অযোগ্যতা সত্বেও ঝাঁপির চাবি সে জীবনের কোন এক শুভ মূহুর্তে লাভ করতে পারে। ফলে তাঁর সম্মূখে আল্লাহ্র রহমতের নাম সমূহের গুঢ় অর্থ উম্মোচন হয়ে পড়বে এবং তার বিশ্বচরাচর ডুবে যাবে স্বর্গীয় রহমতের সমুদ্রে। সুতারাং যে শিক্ষানবীশ বা কেবলমাত্র ধর্মের পথে অগ্রসরমান হয়তো কোন শুভ মূহুর্তে সে আল্লাহ্র আশীর্বাদে ধন্য হতেও পারে। আল্লাহ্র রহমতের ধারায় আপ্লুত হয়ে, হঠাৎ আলোর বন্যার ন্যায় আধ্যাত্মিক জীবনের গুঢ় রহস্য আল্লাহ্ তাঁর সম্মুখে উম্মোচন করে দেবেন ফলে আল্লাহ্র সান্নিধ্য সে আত্মার মাঝে অনুভবে সক্ষম হবে। সে হবে ধন্য, ( ২ ) এবং ( ৩ ) এর জন্য দেখুন পরবর্তী টিকা।