আয়াতঃ 070.015
কখনই নয়। নিশ্চয় এটা লেলিহান অগ্নি।
By no means! Verily, it will be the Fire of Hell!
كَلَّا إِنَّهَا لَظَى
Kalla innaha latha
YUSUFALI: By no means! for it would be the Fire of Hell!-
PICKTHAL: But nay! for lo! it is the fire of hell
SHAKIR: By no means! Surely it is a flaming fire
KHALIFA: No; it is aflame.
১৫। কখনই তা হবার নয় ! নিশ্চয়ই তা হবে জাহান্নামের আগুন।
১৬। যা মাথার খুলি পর্যন্ত চামড়া খসিয়ে নেবে ৫৬৮৬।
৫৬৮৬। এই আয়াতটির ইংরেজী ও বিভিন্ন বাংলা অনুবাদে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজীতে বলা হয়েছে, [ ৭০ : ১৬ ] ;Plucking out [ his being ] Rigid the skull যার ভাবার্থ করা যায় যে দোযখের সেই ভয়াবহ অগ্নি শুধু যে তাদের গায়েরf চামড়াই তুলে নেবে তাই-ই নয়, তা তাদের মস্তিষ্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। অর্থাৎ পাপীদের অনুধাবন ক্ষমতাকেও তা আক্রান্ত করবে, যেরূপ বলা হয়েছে [ ১০৪ : ৭ ] আয়াতে। ”যাহা হৃদয়কে গ্রাস করিবে।” হৃদয় অর্থাৎ অন্তরের অনুভূতি ও ভালোবাসার স্থল, এই বর্ণনাগুলিকে এক কথায় এ ভাবে প্রকাশ করা যায় যে, পাপীদের শাস্তিকে দোযখের আগুনের প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে যা তাদের অন্তরের অন্তঃস্থলকে পর্যন্ত দহন করবে।
আয়াতঃ 070.016
যা চামড়া তুলে দিবে।
Taking away (burning completely) the head skin!
نَزَّاعَةً لِّلشَّوَى
NazzaAAatan lilshshawa
YUSUFALI: Plucking out (his being) right to the skull!-
PICKTHAL: Eager to roast;
SHAKIR: Dragging by the head,
KHALIFA:Eager to burn.
১৫। কখনই তা হবার নয় ! নিশ্চয়ই তা হবে জাহান্নামের আগুন।
১৬। যা মাথার খুলি পর্যন্ত চামড়া খসিয়ে নেবে ৫৬৮৬।
৫৬৮৬। এই আয়াতটির ইংরেজী ও বিভিন্ন বাংলা অনুবাদে বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। ইংরেজীতে বলা হয়েছে, [ ৭০ : ১৬ ] ;Plucking out [ his being ] Rigid the skull যার ভাবার্থ করা যায় যে দোযখের সেই ভয়াবহ অগ্নি শুধু যে তাদের গায়েরf চামড়াই তুলে নেবে তাই-ই নয়, তা তাদের মস্তিষ্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। অর্থাৎ পাপীদের অনুধাবন ক্ষমতাকেও তা আক্রান্ত করবে, যেরূপ বলা হয়েছে [ ১০৪ : ৭ ] আয়াতে। ”যাহা হৃদয়কে গ্রাস করিবে।” হৃদয় অর্থাৎ অন্তরের অনুভূতি ও ভালোবাসার স্থল, এই বর্ণনাগুলিকে এক কথায় এ ভাবে প্রকাশ করা যায় যে, পাপীদের শাস্তিকে দোযখের আগুনের প্রতীকের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে যা তাদের অন্তরের অন্তঃস্থলকে পর্যন্ত দহন করবে।
আয়াতঃ 070.017
সে সেই ব্যক্তিকে ডাকবে যে সত্যের প্রতি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিল ও বিমুখ হয়েছিল।
Calling: ”[O Kafir (O disbeliever in Allâh, His angels, His Book, His Messengers, Day of Resurrection and in Al-Qadar (Divine Preordainments), O Mushrik (O polytheist, disbeliever in the Oneness of Allâh)] (all) such as turn their backs and turn away their faces (from Faith) [picking and swallowing them up from that great gathering of mankind (on the Day of Resurrection) just as a bird picks up a food-grain from the earth with its beak and swallows it up] [Tafsir Al-Qurtubî, Vol. 18, Page 289]
تَدْعُو مَنْ أَدْبَرَ وَتَوَلَّى
TadAAoo man adbara watawalla
YUSUFALI: Inviting (all) such as turn their backs and turn away their faces (from the Right).
PICKTHAL: It calleth him who turned and fled (from truth),
SHAKIR: It shall claim him who turned and fled (from truth),
KHALIFA: It calls on those who turned away.
১৭। যারা [ সত্যের প্রতি ] পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিলো, ৫৬৮৭, এবং মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো, তাদের [ সকলকে জাহান্নাম ] আমন্ত্রণ জানাবে।
১৮। যারা [ সম্পদ ] পুঞ্জিভূত করেছে এবং [ ব্যবহার না করে ] সংরক্ষিত রেখেছে !
৫৬৮৭। পাপের বিশ্লেষণ করা হয়েছে চারটি প্রধান ভাগে। প্রথম দুটি হচ্ছে মনঃস্তাত্বিক, দ্বিতীয় দুটি হচ্ছে ভোগবিলাসের মাধ্যমে বা কর্মে। ১) মানুষের পাপের প্রথম শুরু হয় সত্যের প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শনের মাধ্যমে। সত্যকে ন্যায়সম্মত পন্থায় স্বীকৃতি না দেওয়ার মাধ্যমে। অথবা সত্য ও ন্যায়ের প্রতি উদাসিনতা থেকে সৃষ্ট মানসিকতার জন্য অথবা অত্যাচারিত হওয়ার ভয়ে ন্যায় ও সত্য থেকে দূরে সরে থাকার কারণে। ২) মানুষ যখন মনঃস্তাত্বিকভাবে এরূপ বিভ্রান্তিতে আক্রান্ত হয়, তখন বিবেক এবং মানুষের অন্তরের মাঝে সত্যকে সনাক্ত করার যে স্বাভাবিক ক্ষমতা আছে, সেই ক্ষমতা ব্যক্তিকে সত্য পথে, ন্যায়ের পথে ধরে রাখতে প্রয়াস পায় এবং সত্য পথ তাকে সর্বদিক থেকে সৎ পথে, ন্যায়ের পথে ফিরে আসতে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু পুণঃ পুণঃ পাপের ফলে যাদের আত্মার উপরে কঠিন আবরণ পড়েছে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে “মুখ ফিরিয়ে রাখে “, অর্থাৎ ইচছাকৃত ভাবে সত্যকে প্রত্যাখান করে থাকে, সত্যকে অপমানিত করে থাকে। ৩) তাদের এই দ্বিবিধ মনঃস্তাত্বিক কারণে তাদের মনোজগতে যে পরিবর্তন সাধিত হবে তার ফলে তারা লোভ লালসার নিকট আত্মসমর্পনে বাধ্য হবে। তারা সম্পদের লোভে সম্পদের পাহাড় গড়ার কাজে আত্মনিবেদন করবে। পার্থিব যে সব সুযোগ সুবিধা, ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি তার প্রাপ্য নয় সে সব লাভ করার জন্য সে প্রাণাপাত করবে। এ সব লাভ করার জন্য সে ন্যায় অন্যায়ের সীমারেখা মান্য করবে না। সে প্রতারণা, মোনাফেকী এবং অপরাধের আশ্রয় গ্রহণে দ্বিধা বোধ করবে না। ৪) এসবের মাধ্যমে সে যখন পার্থিব সম্পদ, সুযোগ সুবিধা ও প্রভাব প্রতিপত্তি লাভ করে থাকে; তার পরবর্তী পদক্ষেপ হবে, সে এগুলি চিরদিন কুক্ষিগত করে রাখার প্রয়াস চালাবে এবং অন্যকে তা থেকে বঞ্চিত করাই হবে তার একমাত্র উদ্দেশ্য। তাঁর সঞ্চিত অর্থে যাতে অন্যের অধিকার না থাকে, অপরের বিদ্বেষ থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য সে থাকবে সদা সচেষ্ট। তার অর্ন্তজগত এ ভাবেই পার্থিব পাপের চিন্তায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়বে। যার ফলে তার আধ্যাত্মিক জগত সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে।