YUSUFALI: Had We sent down this Qur’an on a mountain, verily, thou wouldst have seen it humble itself and cleave asunder for fear of Allah. Such are the similitudes which We propound to men, that they may reflect.
PICKTHAL: If We had caused this Qur’an to descend upon a mountain, thou (O Muhammad) verily hadst seen it humbled, rent asunder by the fear of Allah. Such similitudes coin We for mankind that haply they may reflect.
SHAKIR: Had We sent down this Quran on a mountain, you would certainly have seen it falling down, splitting asunder because of the fear of Allah, and We set forth these parables to men that they may reflect.
KHALIFA: If we revealed this Quran to a mountain, you would see it trembling, crumbling, out of reverence for GOD. We cite these examples for the people, that they may reflect.
২১। যদি আমি এই কুর-আন পর্বতের উপরে অবতীর্ণ করতাম ৫৩৯৮, তবে তুমি উহাকে আল্লাহ্র ভয়ে বিনীত এবং বিদীর্ণ হতে দেখতে ৫৩৯৯। এই সকল দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য বর্ণনা করছি যেনো তারা চিন্তা করে।
৫৩৯৮। সুউচ্চ পর্ব্বতমালা মানুষের হৃদয়ে যে অনুভূতির জন্ম দেয় তা দ্বিবিধ। প্রথমত : পর্বতের উচ্চতা যা মানুষের মনে সম্ভ্রম জাগায়। দ্বিতীয়ত : পর্বতের কাঠিন্য, সকল সুউচ্চ পর্বতই কঠিন শিলা দ্বারা গঠিত হয়। পর্বতের উপমার সাহায্যে কোরাণের তুলনা করা হয়েছে এই আয়াতে। কোরানের প্রত্যাদেশ সমূহ এতই মহিমান্বিত, শ্রেষ্ঠ এবং ভয় ও শ্রদ্ধা উদ্রেককারী যে, সর্বোচ্চ পর্বতও শ্রদ্ধায়, ভয়ে বিনয়াবনত হয়ে পড়বে। দ্বিতীয়ত : প্রতাদেশ সমূহ এতটাই শক্তিশালী ও প্রত্যয় উৎপাদনকারী যে পবর্তও তার কাঠিন্য হারিয়ে ফেলবে। ভয়ে ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাবে প্রত্যাদেশের ভারে। এর পরেও কি মানুষ নিজেকে আল্লাহ্র অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ মনে করে। সে কি এতটাই কঠিন হৃদয় যে এই শক্তিশালী বাণী সমূহও তার হৃদয়ে কোনও প্রভাব ফেলতে অক্ষম ? পূণ্যাত্মা হৃদয়, যে হৃদয় পাপের দ্বারা কলুষিত হয় নাই, সে ক্ষেত্রে উত্তর হবে “না”। কিন্তু যে হৃদয় পাপ দ্বারা কলুষিত হয়েছে সেক্ষেত্রে উত্তর হবে “হ্যাঁ”।
৫৩৯৯। দেখুন সূরা [ ৭ : ১৪৩ ] ও টিকা ১১০৩ ; যেখানে বর্ণনা করা হয়েছে হযরত মুসার কাহিনীর মাধ্যমে যে, আল্লাহ্র মহিমা পবর্তকে ধূলায় পরিণত করে দেয়। আরও দেখুন সূরা [ ৩৩ : ৭২ ] ও টিকা ৩৭৭৮। যেখানে পর্বতকে রূপক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পবর্ত হচ্ছে স্থায়ীত্বের প্রতীক, যা অটল ও অপরিবতর্নীয়। এই পর্বতকেই যখন আল্লাহ্ তার আমানত ধারণ করতে বললেন, ” সে বিনীতভাবে অস্বীকার করেছিলো কারণ সে নিজেকে এই বিশাল দায়িত্বের উপযোগী মনে করে নাই; সে ছিলো এ ব্যাপারে বিনয়ী এবং নম্র।
আয়াতঃ 059.022
তিনিই আল্লাহ তা’আলা, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা।
He is Allâh, than Whom there is Lâ ilâha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He) the All-Knower of the unseen and the seen (open). He is the Most Beneficent, the Most Merciful.
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ
Huwa Allahu allathee la ilaha illa huwa AAalimu alghaybi waalshshahadati huwa alrrahmanu alrraheemu
YUSUFALI: Allah is He, than Whom there is no other god;- Who knows (all things) both secret and open; He, Most Gracious, Most Merciful.
PICKTHAL: He is Allah, than Whom there is no other Allah, the Knower of the Invisible and the Visible. He is the Beneficent, Merciful.
SHAKIR: He is Allah besides Whom there is no god; the Knower of the unseen and the seen; He is the Beneficent, the Merciful
KHALIFA: He is the One GOD; there is no other god beside Him. Knower of all secrets and declarations. He is the Most Gracious, Most Merciful.
২২। তিনিই আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নাই ৫৪০০। যিনি গোপন ও প্রকাশ্য সব জানেন। তিনি মহান এবং পরম করুণাময়।
৫৪০০। আল্লাহ্র সার্বভৌমত্ব ও মহত্বের বিবরণ পেশ করে এই আয়াত ও পরবর্তী আয়াতগুলিতে আল্লাহ্র গুণসূচক উপাধিগুলিকে বর্ণনা করে সূরাটির সামাপ্তি টানা হয়েছে। এই আয়াতে প্রথমতঃ বর্ণনা করা হয়েছে আল্লাহ্র সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা দান করা হয়েছে। এগুলি হচ্ছে :
১) “তিনিই আল্লাহ্ ” এই বাক্যটির অর্থ আল্লাহ্র বর্ণনা করা কোন ভাষাবিদের পক্ষেই সম্ভব নয়। কোনও ভাষার অলংকার এত সমৃদ্ধ নয় যে আল্লাহ্র বর্ণনা করতে পারে। তাঁর বর্ণনা হচ্ছে ” তিনিই আল্লাহ্ ” – তাঁর মত আর কিছু নাই এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে।
২) তিনি এক ও অদ্বিতীয়। প্রকৃতির বিভিন্ন পরস্পর বিরোধী শক্তিসমূহ তাঁরই একক নিয়ন্ত্রনের অধীন। আল্লাহ্ সম্বন্ধে প্রকৃত ধারণা পেতে হলে আমাদের আল্লাহ্র একত্বের ধারণাকে অনুধাবন করতে হবে।