৪৬১৮। দেখুন পূর্বের টিকা। বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তিরা এ কথা অনুধাবন করে যে, প্রকৃত মঙ্গল ও মানব সভ্যতার বিভিন্ন উপকরণ সর্বশক্তিমান আল্লাহ্র দান যা মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
আয়াতঃ 043.014
আমরা অবশ্যই আমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে যাব।
And verily, to Our Lord we indeed are to return!
وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنقَلِبُونَ
Wa-inna ila rabbina lamunqaliboona
YUSUFALI: “And to our Lord, surely, must we turn back!”
PICKTHAL: And lo! unto our Lord we surely are returning.
SHAKIR: And surely to our Lord we must return.
KHALIFA: “We ultimately return to our Lord.”
১৪। ” এবং আমরা আমাদের প্রভুর দিকে অবশ্যই ফিরে যাবো , ৪৬১৯।”
৪৬১৯। পৃথিবীতে যানবাহন যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম। যন্ত্র ও পশু উভয়েই যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পশুকে পোষ মানিয়ে এবং যান্ত্রিক শক্তিকে উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমে স্ববশে এনে মানুষ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে চলাচল করে। দূরদূরান্তের এই জাগতিক ভ্রমণকে উপামা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, পৃথিবী থেকে পারলৌকিক যাত্রাকে উপলব্ধিতে ধারণ করার জন্য। মৃত্যুর সিংহদুয়ার অতিক্রম করে পরলোকে প্রবেশ করে মানুষ। পৃথিবীর ফেলে আসা সময়ের কার্যপ্রণালী তাকে অনন্ত সময়ের রাজ্যে নিয়ে যায়। পৃথিবীতে অতিবাহিত সময়কে সেকি সঠিক ভাবে পোষ মানাতে পেরেছে অর্থাৎ আল্লাহ্র দেখানো রাস্তাকে ব্যবহার করতে পেরেছে ?না কি পৃথিবীর সময়কে সে বুনো জন্তুর মত যা খুশী যেমন খুশী ভাবে অতিবাহিত হতে দিয়েছে ? যার উদ্দেশ্য তারা জানে না ? বোধশক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি যখনই কোন যান বাহনে আরোহণ করে তার মনে এই চিন্তা উদয় হওয়া উচিত যে যানবাহন যেরূপ নির্দ্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়ে দেয়, সেরূপ আমাদের পার্থিব কর্মময় জীবনের শেষ প্রত্যাবর্তন প্রতিপালকের নিকট। পার্থিব সফরের সময় পরকালের কঠিন সফরের কথা স্মরণ করা , যে সফর অতিক্রম করার জন্য সৎকর্ম ব্যতীত অন্য কোন সওয়ারী কাজে আসবে না।
আয়াতঃ 043.015
তারা আল্লাহর বান্দাদের মধ্য থেকে আল্লাহর অংশ স্থির করেছে। বাস্তবিক মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ।
Yet they assign to some of His slaves a share with Him (by pretending that He has children, and considering them as equals or co-partners in worship with Him). Verily, man is indeed a manifest ingrate!
وَجَعَلُوا لَهُ مِنْ عِبَادِهِ جُزْءًا إِنَّ الْإِنسَانَ لَكَفُورٌ مُّبِينٌ
WajaAAaloo lahu min AAibadihi juz-an inna al-insana lakafoorun mubeenun
YUSUFALI: Yet they attribute to some of His servants a share with Him (in his godhead)! truly is man a blasphemous ingrate avowed!
PICKTHAL: And they allot to Him a portion of His bondmen! Lo! man is verily a mere ingrate.
SHAKIR: And they assign to Him a part of His servants; man, to be sure, is clearly ungrateful.
KHALIFA: They even assigned for Him a share from His own creation! Surely, the human being is profoundly unappreciative.
১৫। তথাপি তারা আল্লাহ্র বান্দাদের মধ্য থেকে কাউকে কাউকে অংশীদারিত্ব আরোপ করে [আল্লাহ্র সাথে ]। নিশ্চয়ই মানুষ স্পষ্ট অকৃতজ্ঞ ৪৬২০।
৪৬২০। এই আয়াতে প্রকৃত বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষের বিপরীতে অকৃতজ্ঞ ও আল্লাহ্ বিদ্রোহীদের আচরণ তুলে ধরা হয়েছে। এ সব লোক আল্লাহ্র সাথে অংশীদারিত্ব করে থাকে। তারা আল্লাহ্র পুত্র ও কন্যার কল্পনা করে থাকে।এ ভাবেই তারা আল্লাহ্র প্রকৃত শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়। জীবন সৃষ্টির প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ্রএকত্বে বিশ্বাস। এই বিশ্বাসে যে অংশীদার স্থাপন করে তার থেকে অকৃতজ্ঞ আর কে আছে। এই বিবরণ আরও বিশদ করা হয়েছে পরের অধ্যায় বা রুকুতে।
আয়াতঃ 043.016
তিনি কি তাঁর সৃষ্টি থেকে কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের জন্য মনোনীত করেছেন পুত্র সন্তান?
Or has He taken daughters out of what He has created, and He has selected for you sons?
أَمِ اتَّخَذَ مِمَّا يَخْلُقُ بَنَاتٍ وَأَصْفَاكُم بِالْبَنِينَ
Ami ittakhatha mimma yakhluqu banatin waasfakum bialbaneena
YUSUFALI: What! has He taken daughters out of what He himself creates, and granted to you sons for choice?
PICKTHAL: Or chooseth He daughters of all that He hath created, and honoureth He you with sons?
SHAKIR: What! has He taken daughters to Himself of what He Himself creates and chosen you to have sons?
KHALIFA: Has He chosen from among His creations daughters for Himself, while blessing you with sons?
রুকু – ২
১৬। সে কি ! তিনি নিজে যা সৃষ্টি করেছেন তা থেকে কি তিনি নিজের জন্য কন্যা সন্তান গ্রহণ করেছেন এবং তোমাদের মনোনীত করেছেন পুত্রের জন্য ? ৪৬২১