قُلْ إِن ضَلَلْتُ فَإِنَّمَا أَضِلُّ عَلَى نَفْسِي وَإِنِ اهْتَدَيْتُ فَبِمَا يُوحِي إِلَيَّ رَبِّي إِنَّهُ سَمِيعٌ قَرِيبٌ
Qul in dalaltu fa-innama adillu AAala nafsee wa-ini ihtadaytu fabima yoohee ilayya rabbee innahu sameeAAun qareebun
YUSUFALI: Say: “If I am astray, I only stray to the loss of my own soul: but if I receive guidance, it is because of the inspiration of my Lord to me: it is He Who hears all things, and is (ever) near.”
PICKTHAL: Say: If I err, I err only to my own loss, and if I am rightly guided it is because of that which my Lord hath revealed unto me. Lo! He is Hearer, Nigh.
SHAKIR: Say: If I err, I err only against my own soul, and if I follow a right direction, it ?s because of what my Lord reveals to me; surely He is Hearing, Nigh.
KHALIFA: Say, “If I go astray, I go astray because of my own shortcomings. And if I am guided, it is because of my Lord’s inspiration. He is Hearer, Near.”
৫০। বল, ” যদি আমি পথভ্রষ্ট হই তবে বিপথগামীতা হবে আমার [ আত্মার ] ক্ষতির কারণ। কিন্তু যদি আমি পথ নির্দ্দেশ গ্রহণ করি , তবে তার কারণ হচ্ছে আমার প্রতি আমার প্রভুর ওহীর প্রেরণ ৩৮৬২।তিনিই সব কিছু শোনেন এবং [ সবচেয়ে ] সন্নিকটে। ”
৩৮৬২। পঞ্চম যুক্তি হচ্ছে নিম্নরূপ : যদি নবী আল্লাহ্র নামে আত্মপ্রতারণা করতেন , তবে তা তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্যে পরিণত হতো। যার ফলে তাঁর কার্যের পরিণাম শুধু তাকেই ভোগ করতে হতো। কিন্তু তিনি ছিলেন তাঁর বিশ্বাসে দৃঢ় ,অবিচল এবং সকল মিথ্যা ও বিভ্রান্তির উর্দ্ধে। তাঁর জীবনী বিশ্লেষনে দেখা যায় তিনি ধীরে ধীরে মিথ্যার উপরে সত্যকে শক্তিশালী করেছেন। শুধু তাই-ই নয়, তিনি তাঁর অনুসারীদের প্রাণ প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। যারাই তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরা তাঁর বিশ্বাস , ব্যক্তিত্ব ও দৃঢ়তায় অভিভূত হয়ে পড়তেন এবং ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করতেন। কি ভাবে তা সম্ভব ছিলো ? যদি না আল্লাহ্ তাঁকে ওহী বা প্রত্যাদেশ প্রেরণ করতেন ? এই আয়াতটি-ই ছিলো শেষ যুক্তি।
আয়াতঃ 034.051
যদি আপনি দেখতেন, যখন তারা ভীতসস্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, অতঃপর পালিয়েও বাঁচতে পারবে না এবং নিকটবর্তী স্থান থেকে ধরা পড়বে।
And if you could but see, when they will be terrified with no escape (for them), and they will be seized from a near place.
وَلَوْ تَرَى إِذْ فَزِعُوا فَلَا فَوْتَ وَأُخِذُوا مِن مَّكَانٍ قَرِيبٍ
Walaw tara ith faziAAoo fala fawta waokhithoo min makanin qareebin
YUSUFALI: If thou couldst but see when they will quake with terror; but then there will be no escape (for them), and they will be seized from a position (quite) near.
PICKTHAL: Couldst thou but see when they are terrified with no escape, and are seized from near at hand,
SHAKIR: And could you see when they shall become terrified, but (then) there shall be no escape and they shall be seized upon from a near place
KHALIFA: If you could only see them when the great terror strikes them; they cannot escape then, and they will be taken away forcibly.
৫১। যদি তুমি দেখতে পেতে , [ কেয়ামতের দিনে ] যখন তারা ভয়ে কাঁপতে থাকবে; কিন্তু তখন তাদের পালানোর কোন পথ থাকবে না ৩৮৬৩, এবং [ খুব] নিকটবর্তী স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
৩৮৬৩। সত্যের বাস্তবতা এবং সত্যের বিজয় সম্বন্ধে যুক্তি উপস্থাপন পূর্বক এই আয়াতে যারা সত্যের বিরোধিতা করেছিলো , তাদের অবস্থা সম্বন্ধে চিন্তা করতে বলা হয়েছে। শেষ বিচারের দিনে প্রকৃত সত্য প্রতিষ্ঠিত হবে। সকলের সব ভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে। সেদিন সত্যের আলোর ঔজ্জ্বলে মিথ্যা দূরীভূত হয়ে যাবে। যারা মিথ্যাশ্রয়ে পৃথিবীর জীবনকে অতিবাহিত করেছে , তারা ভয়ে আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়বে। এ সব লোক তখন প্রাণপণে চেষ্টা করবে সেই অবস্থা থেকে পলায়ন করতে এবং অব্যহতি পেতে। কিন্তু তখন তা করা সম্ভব হবে না। তাদের পূর্বের অবস্থান পরিবর্তন করা হবে এক অসম্ভব ব্যাপার। তাদের পূর্ব জীবনের কৃতকর্ম-ই তাদের শক্তভাবে আটকে রাখবে তাদের অবস্থানে। কেউ পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে না।
পৃথিবীতে মানুষ যে জীবন যাপন করে – তার মনোজগত ও চিন্তাজগত সেই অনুযায়ী গড়ে ওঠে। তার মূল্যবোধ , আগ্রহ , চেষ্টা , কর্ম, সবই সেই মনোজগত ঘিরে আবর্তিত হয়। এর বাইরে বের হয়ে আসা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। যে মিথ্যার কলুষতায় জীবনকে অতিবাহিত করে – পৃথিবীতে সে মিথ্যা ও কলুষতার মাঝেই সৌন্দর্য ও আনন্দ খুঁজে পায়। মৃত্যুর পরেও সে এই কলুষতা ও বিকৃত আনন্দ অনুভূতি থেকে মুক্তি পায় না। বরং তা আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে তারা নিকটস্থ স্থান থেকেই ধৃত হয়।
আয়াতঃ 034.052