قُلْ إِنَّمَا أَعِظُكُم بِوَاحِدَةٍ أَن تَقُومُوا لِلَّهِ مَثْنَى وَفُرَادَى ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا مَا بِصَاحِبِكُم مِّن جِنَّةٍ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ لَّكُم بَيْنَ يَدَيْ عَذَابٍ شَدِيدٍ
Qul innama aAAithukum biwahidatin an taqoomoo lillahi mathna wafurada thumma tatafakkaroo ma bisahibikum min jinnatin in huwa illa natheerun lakum bayna yaday AAathabin shadeedin
YUSUFALI: Say: “I do admonish you on one point: that ye do stand up before Allah,- (It may be) in pairs, or (it may be) singly,- and reflect (within yourselves): your Companion is not possessed: he is no less than a warner to you, in face of a terrible Penalty.”
PICKTHAL: Say (unto them, O Muhammad): I exhort you unto one thing only: that ye awake, for Allah’s sake, by twos and singly, and then reflect: There is no madness in your comrade. He is naught else than a warner unto you in face of a terrific doom.
SHAKIR: Say: I exhort you only to one thing, that rise up for Allah’s sake in twos and singly, then ponder: there is no madness in your fellow-citizen; he is only a warner to you before a severe chastisement.
KHALIFA: Say, “I ask you to do one thing: Devote yourselves to GOD, in pairs or as individuals, then reflect. Your friend (Rashad) is not crazy. He is a manifest warner to you, just before the advent of a terrible retribution.”
রুকু – ৬
৪৬। বল, ” আমি তোমাদের একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি যে, তোমরা আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে জোড়ায় জোড়ায় ৩৮৫৭ অথবা একা একা দাঁড়াও এবং [ নিজের মনের মাঝে ] চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সংগী পাগল নয় ৩৮৫৮। এক আসন্ন কঠিন শাস্তি আসার পূর্বে সে তোমাদের জন্য একজন সর্তককারী মাত্র।
৩৮৫৭। এই আয়াতে সত্যকে অনুসন্ধানের জন্য রসুলের [ সা ] মাধ্যমে একটি সংক্ষিপ্ত পথ বলে দেয়া হয়েছে। সদলবলে ও সমবেত ভাবে সত্যের অনুসন্ধান সম্ভব নয়। আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে দাঁড়ানোর অর্থ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য দাঁড়ানো নয় যে, বসা , শোয়া অথবা দাঁড়ানো। আল্লাহ্ উদ্দেশ্যে শব্দটি যোগ করার উদ্দেশ্য এই যে, একান্তভাবে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য বিগত ধ্যান ধারণা ও বিশ্বাস মুক্ত হয়ে সত্যান্বেষণে প্রবৃত্ত হও। যাতে অতীত ধারণা ও কর্ম সত্য গ্রহণের পথে প্রতিবন্ধক না হয়। দু’দু’জন এবং এক একজন বলার মধ্যে কোনও নির্দ্দিষ্ট সংখ্যা উদ্দেশ্য নয় , বরং এর অর্থ এই যে :
১) একান্তে নির্জনতায় প্রতিটি আত্মা আল্লাহ্র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করবে। আর এই চেষ্টা হবে একান্ত আন্তরিক ও বিশ্বস্ত ভাবে।
২) যদি তার পক্ষে সম্পূর্ণ একা এই পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব না হয় তাহলে একজন শিক্ষকের সাহায্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। অথবা তার অন্তরের বিশ্বাসের ভিত্তিকে দৃঢ় করার জন্য বন্ধু বা সহানুভূতিশীল , চিন্তাশীল মুরুব্বীর সাহায্য গ্রহণ করতে পারে। সত্যকে অনুসন্ধান একাই করা বা অন্যান্যদের সাথে পরামর্শক্রমেই কর, একটা বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে – চিন্তা করতে হবে মুক্তমনে , পূর্বোক্ত সকল সংস্কার মুক্ত হয়ে সত্যানুসন্ধান করতে হবে। কারণ একমাত্র স্বচ্ছ ও মুক্ত আত্মাতেই সত্যের প্রকৃত রূপ ধরা পড়ে।
৩৮৫৮। লক্ষ্য করুণ আয়াত ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯ এবং ৫০ এ রসুলের [ সা ] বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে যে যুক্তির অবতারণা করা হয়েছে, তা যে কোন স্বচ্ছ বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন ব্যক্তিকে সত্য সম্পর্কে সঠিক চিন্তাধারাতে অনুপ্রাণীত করতে বাধ্য। এখানে যুক্তি উত্থাপন করা হয়েছে যে, মুহম্মদ [ সা ] কোনও পাগল বা উম্মাদ ছিলেন না। তাঁর জ্ঞান-বুদ্ধি , বিবেচনা ও আচার আচরণ সম্পর্কে সমগ্র মক্কা ও গোটা কোরাইশ সম্প্রদায় সম্যক অবগত। তাঁর জীবনের চল্লিশটি বছর স্বজাতির মাঝেই অতিবাহিত হয়েছে। শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত কার্যকলাপ তাদের সামনে সংঘটিত হয়েছে। কখনও কেউ তাঁর কথা ও কর্মকে জ্ঞানবুদ্ধি , গাম্ভীর্য ও শালীনতা পরিপন্থি পায়নি। এখন তিনি অন্যদের থেকে আলাদা ভাবে আচরণ করছেন , কারণ তাঁকে আল্লাহ্ মানুষের আধ্যাত্মিক বিপদের মহাসংকেত প্রেরণ করেছেন। তাঁর ভালোবাসার জনদের মহাবিপদের থেকে উদ্ধারের উপায় তিনি প্রচার করছেন – যা আল্লাহ্র বাণী বা শ্বাসত সত্য।
আয়াতঃ 034.047
বলুন, আমি তোমাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাই না বরং তা তোমরাই রাখ। আমার পুরস্কার তো আল্লাহর কাছে রয়েছে। প্রত্যেক বস্তুই তাঁর সামনে।
Say (O Muhammad SAW): ”Whatever wage I might have asked of you is yours. My wage is from Allâh only. and He is Witness over all things.”
قُلْ مَا سَأَلْتُكُم مِّنْ أَجْرٍ فَهُوَ لَكُمْ إِنْ أَجْرِيَ إِلَّا عَلَى اللَّهِ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ
Qul ma saaltukum min ajrin fahuwa lakum in ajriya illa AAala Allahi wahuwa AAala kulli shay-in shaheedun