২৭। বল, ” যাদের তোমরা আল্লাহ্র সাথে শরীক করেছ, তাদেরকে আমাকে দেখাও। কোন ভাবেই [ তোমরা তা পারবে ] না। বরং আল্লাহ্ ক্ষমতায় পরাক্রমশালী , প্রজ্ঞাময় ৩৮৩১।”
৩৮৩১। সমস্ত জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং ক্ষমতার উৎস আল্লাহ্। যদি কেউ তার বিশ্বাস ও নির্ভরশীলতা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর উপরে স্থাপন করে, আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর এবাদত করে তবে তা বৃথা। কারণ আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোনও কিছুই তাঁর সমকক্ষ নয় -ক্ষমতায় ও প্রজ্ঞায়। তিনি শ্রেষ্ঠ পরাক্রমশালী , প্রজ্ঞাময়।
আয়াতঃ 034.028
আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদাতা ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা জানে না।
And We have not sent you (O Muhammad SAW) except as a giver of glad tidings and a warner to all mankind, but most of men know not.
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
Wama arsalnaka illa kaffatan lilnnasi basheeran wanatheeran walakinna akthara alnnasi la yaAAlamoona
YUSUFALI: We have not sent thee but as a universal (Messenger) to men, giving them glad tidings, and warning them (against sin), but most men understand not.
PICKTHAL: And We have not sent thee (O Muhammad) save as a bringer of good tidings and a warner unto all mankind; but most of mankind know not.
SHAKIR: And We have not sent you but to all the men as a bearer of good news and as a warner, but most men do not know.
KHALIFA: We have sent you (O Rashad) to all the people, a bearer of good news, as well as a warner, but most people do not know.
২৮। আমি তো তোমাকে বিশ্বভূবনের মানুষের জন্য [ বার্তাবহ রূপে ] প্রেরণ করেছি – তাদের জন্য সুসংবাদদাতা ও [ পাপের বিরুদ্ধে ] সর্তককারী রূপে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা বুঝতে পারে না ৩৮৩২।
৩৮৩২। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশ বসুলের [সা ] মাধ্যমে সমগ্র মানব জাতির জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এটা শুধুমাত্র কোনও পরিবার , বা কোন গোত্র বা কোন নির্দ্দিষ্ট জাতির জন্য নয়। এই প্রত্যাদেশ বিশ্বের সমগ্র মানব জতির জন্য রহমত স্বরূপ। যদি কেউ আল্লাহ্ দিকে মুখ ফেরায় , তাঁর নিকট আত্মসমর্পন করে – তাদের জন্য আছে আল্লাহ্র রহমত। আর কেউ যদি আল্লাহ্র প্রত্যাদেশকে অস্বীকার করে, তবে তাদের সর্তক করা হয়েছে তাদের পাপের জন্য যার অবশ্যম্ভবী পরিণাম আল্লাহ্র শাস্তি। এই শাস্তি তাৎক্ষণিক নয় ; কিন্তু তাই বলে সন্দেহের অবকাশ নাই। কারণ তাদের পাপের পরিণাম ঘোষণা করা হয়েছে দ্ব্যর্থহীন এবং পরিষ্কার ভাষায়। মানবাত্মার শেষ পরিণতি সম্বন্ধে কোনও সন্দেহের অবকাশ নাই। তবে কেন নির্বোধ মানুষ দেরী করে ? কেন মানুষ ছিদ্রান্বেষী হয় ? কেন মানুষ আল্লাহ্র প্রতি আত্মনিবেদন করে প্রত্যাদেশের সত্যকে জীবনে গ্রহণ করে না ; এবং অনুতাপের মাধ্যমে পূণ্যাত্মা হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করে না ?
আয়াতঃ 034.029
তারা বলে, তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে বল, এ ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে?
And they say: ”When is this promise (i.e. the Day of Resurrection will be fulfilled) if you are truthful?”
وَيَقُولُونَ مَتَى هَذَا الْوَعْدُ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
Wayaqooloona mata hatha alwaAAdu in kuntum sadiqeena
YUSUFALI: They say: “When will this promise (come to pass) if ye are telling the truth?”
PICKTHAL: And they say: When is this promise (to be fulfilled) if ye are truthful?
SHAKIR: And they say: When will this promise be (fulfilled) if you are truthful?
KHALIFA: They challenge, “When will this promise come to pass, if you are truthful?”
২৯। তারা জিজ্ঞাসা করে, ” যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে বল কবে তোমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে?”
৩০। বল, ” তোমাদের [সাক্ষাতের ] জন্য রয়েছে এক নির্দ্দিষ্ট দিন , যা তোমরা মূহুর্তকাল বিলম্বিত অথবা ত্বরান্বিত করতে পারবে না।” ৩৮৩৩
৩৮৩৩। প্রতিটি মানব আত্মাকে পৃথিবীতে এক নির্দ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হবে। সেটাই হচ্ছে তার জন্য “শিক্ষানবীশকাল ” – পৃথিবীর জীবনের মাধ্যমে আত্মাকে বিকশিত ও উন্নত করার জন্য। সেই সময়ের পরে আর কেউ অনুতাপ করার সুযোগ লাভ করবে না। সুতারাং সৎ কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়।
আয়াতঃ 034.030
বলুন, তোমাদের জন্যে একটি দিনের ওয়াদা রয়েছে যাকে তোমরা এক মহূর্তও বিলম্বিত করতে পারবে না এবং ত্বরান্বিত ও করতে পারবে না।
Say (O Muhammad SAW): ”The appointment to you is for a Day, which you cannot put back for an hour (or a moment) nor put forward.”
قُل لَّكُم مِّيعَادُ يَوْمٍ لَّا تَسْتَأْخِرُونَ عَنْهُ سَاعَةً وَلَا تَسْتَقْدِمُونَ
Qul lakum meeAAadu yawmin la tasta/khiroona AAanhu saAAatan wala tastaqdimoona