হাদীস নং ৩৭১৪
মুহাম্মদ ইবনে আব্বাদ রহ………..ইবনে মাকিল রা. থেকে বর্ণিত যে, (তিনি বলেছেন) আলী রা. সাহল ইবনে হুনাইফের (জানাযার সালাতে) তাকবীর উচ্চারণ করলেন এবং বললেন, তিনি (সাহল ইবনে হুনাইফ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
হাদীস নং ৩৭১৫
আবুল ইয়ামান রহ……….আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত যে, (উমর রা. তাকে বলেছেন) উমর ইবনে খাত্তাবের কন্যা হাফসা স্বামী খুনায়স ইবনে হুযাফা সাহামী রা. যিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবী ছিলেন এবং বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন, মদীনায় ইন্তিকাল করলে হাফসা রা. বিধবা হয়ে পড়লেন। উমর রা. বলেন, তখন আমি উসমান ইবনে আফফানের সাথে সাক্ষাৎ করলাম এবং তাঁর নিকট হাফসার কথা আলোচনা করে তাকে বললাম, আপনি চাইলে আমি আপনার সাথে উমরের মেয়ে হাফসাকে বিয়ে দিয়ে দেব। উসমান রা. বললেন, ব্যাপরটি আমি একটু চিন্তা করে দেখি। (উমর রা. বলেন, এ কথা শুনে) আমি কয়েকদিন অপেক্ষা করলাম। পরে উসমান রা. বললেন, আমার সুস্পষ্ট অভিমত এই যে, এ সময় আমি বিয়ে করব না। উমর রা. বলেন, এরপর আমি আবু বকরের সাথে সাক্ষাত করলাম এবং তাকে বললাম, আপনি ইচ্ছা করলে উমরের কন্যা হাফসাকে আমি আপনার নিকট বিয়ে দিয়ে দেব।(এ কথা শুনে) আবু বকর রা. চুপ করে রইলেন এবং আমাকে কোন জবাব দিলেন না। এতে আমি উসমানের (অস্বীকৃতির) চেয়েও অধিক দুঃখ পেলাম। এরপর আমি কয়েকদিন চুপ করে রইলাম, এমতাবস্থায় হাফসার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই প্রস্তাব দিলেন। আমি তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বিয়ে দিয়ে দিলাম।এরপর আবু বকর রা. আমার সাথে সাক্ষাত করে বললেন, আমার সাথে হাফসার বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর আমি আপনাকে কোন উত্তর না দেওয়ার ফলে সম্ভবত আপনি মনে কষ্ট পেয়েছেন। (উমর রা. বলেন) আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন আবু বকর রা. বললেন, আপনার প্রস্তাবের জবাব দিতে একটি জিনিসই আমাকে বাঁধা দিয়েছে, আর তাহল এই যে, আমি জানতাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই হাফসা রা. সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন, তাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর গোপনীয় বিষয়টি প্রকাশ করার আমার ইচ্ছা ছিল না। (এ কারণেই তখন আমি আপনাকে কোন উত্তর দেই নি। যদি তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে গ্রহণ না করতেন, অবশ্যই আমি তাকে গ্রহণ করতাম।
হাদীস নং ৩৭১৬
মুসলিম রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ রহ. বদরী সাহাবী আবু মাসউদ রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, স্বীয় আহলের (পরিবার পরিজনের) জন্য ব্যয় করাও সাদকা।
হাদীস নং ৩৭১৭
আবুল ইয়ামান রহ………উরওয়া ইবনে যুবাইর রহ. থেকে বর্ণিত, উমর ইবনুল আবদুল আযীয রহ. তাঁর খিলাফত কালের (একটি ঘটনা) বর্ণনা করেছেন যে, মুগীরা ইবনে শুবা রা. কুফার আমীর থাকা কালে তিনি (একদা) আসরের সালাত আদায় করতে বিলম্ব করে ফেললে যায়েদ ইবনে হাসানের দাদা বদরী সাহাবী আবু মাসউদ উতবা ইবনে আমর আনসারী রা. তাঁর নিকট গিয়ে বললেন, আপনি তো জানেন যে, জিবরাঈল আ. এসে সালাত আদায় করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাঁর সাথে) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করলেন। জিবরাঈল আ. বললেন, আপনি এভাবেই সালাত আদায় করানোর জন্য আদিষ্ট হয়েছেন। (উরওয়া বলেন) বশীর ইবনে আবু মাসউদ তার পিতার নিকট থেকে হাদীসটি এভাবেই বর্ণনা করতেন।
হাদীস নং ৩৭১৮
মূসা রহ………বদরী সাহাবী আবু মাসউদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সূরা বাকারার শেষে এমন দুটি আয়াত রয়েছে যে ব্যক্তি রাতের বেলা আয়াদ দুটো তিলাওয়াত করবে তার জন্য এ আয়াত দুটোই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাত্রে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করার যে হক রয়েছে কমপক্ষে সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত তিলাওয়াত করলে তার জন্য তা যথেষ্ট। আবদুর রাহমান রহ. বলেন, পরে আমি আবু মাসউদের সাথে সাক্ষাত করলাম। তখন তিনি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করছিলেন। (সেখানে) এ হাদীসটি সম্পর্কে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা আমার নিকট বর্ণনা করলেন।
হাদীস নং ৩৭১৯
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ……….ইবনে শিহাব রহ. থেকে বর্ণিত যে, মাহমূদ ইবনে রবী রহ. আমাকে জানিয়েছেন যে, ইতবান ইবনে মালিক রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আনসারী সাহাবী ছিলেন এবং তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গেলেন।
হাদীস নং ৩৭২০
আহমদ রহ………ইবনে শিহাব রহ. থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, আমি বনী সালিম গোত্রের অন্যতম নেতা হুসাইন ইবনে মুহাম্মদকে রহ. ইতবান ইবনে মালিক থেকে মাহমূদ ইবনে রাবী এর বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর তিনি উহার স্বীকৃতি দিলেন।
হাদীস নং ৩৭২১
আবুল ইয়ামান রহ…………যুহরী রহ. থেকে বর্ণিত, বনী আদী গোত্রের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি আবদুল্লাহ ইবনে আমির ইবনে রাবীআ যার পিতা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আমাকে বর্ণনা করেন যে, উমর রা. কুদামা ইবনে মাযউনকে রা. বাহরাইনের শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন। তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. এবং হাফসা রা.-এর মামা।