হাদীস নং ৩৭০১
কুতাইবা রহ………..নাফি রহ. থেকে বর্ণিত যে, সাঈদ ইবনে যায়েদ ইবনে আমর ইবনে নুফায়ল রা. ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবী। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ইবনে উমরের নিকট জুমআর দিন এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি সাওয়ারীর পিঠে আরোহণ করে তাকে দেখতে গেলেন। তখন বেলা হয়ে গিয়েছে এবং জুমুআর সালাতের সময়ও ঘনিয়ে আসছে দেখে তিনি জুমুআর সালাত আদায় করতে পারলেন না। (আর এক সনদে) লায়স রহ……….উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা উমর ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম আয যুহরী সুবায়া বিনতে হারিস আসলামিয়্যা রা. এর কাছে গিয়ে তার ঘটনা ও (গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে) তার প্রশ্নের উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে পত্র মারফত জিজ্ঞাসা করে জানতে আদেশ করলেন। এরপর উমর ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম রা. আবদুল্লাহ ইবনে উতবাকে লিখে জানালেন যে, সুবায়া বিনতুল হারিস তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বানু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের সাদ ইবনে খাওলার স্ত্রী ছিলেন, সাদ রা. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জের বছর ইন্তিকাল করেন। তখন তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। তার ইন্তিকালের কিছুদিন পরেই তিনি সন্তান প্রসব করলেন। এরপর নিফাস থেকে পবিত্র হয়েই তিনি বিবাহের পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করলেন। এ সময় আবদুদ্দার গোত্রের আবুস সানাবিল ইবনে বাকাক নামক এক ব্যক্তি তাকে গিয়ে বললেন কি হয়েছে, আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি বিবাহের আশায় পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করে দিয়েছ? আল্লাহর কসম চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তুমি বিবাহ করতে পারবে না। সুবায়া রা. বলেন, (আবুস সানাবিল আমাকে) এ কথা বলার পর আমি ঠিকঠাক মত কাপড় চোপড় পরিধান করে বিকেল বেলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম এবং এ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, যখন আমি বাচ্চা প্রসব করেছি তখন থেকেই আমি হালাল হয়ে গিয়েছি। এরপর তিনি আমাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন যদি আমার ইচ্ছা হয়। (ইমাম বুখারী রহ. বলেন, আসবাগ ………ইউনুসের সূত্রে লায়সের মতই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। লায়স রহ. বলেছেন, ইউনুস ইবনে শিহাব থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। ইবনে শিহাব রহ. বলেন, বানু আমির ইবনে লুয়্ই গোত্রের আযাদকৃত গোলাম মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান ইবনে সাওবান আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুহাম্মদ ইবনে ইয়াস ইবনে বুকাইয়ের পিতা তাকে জানিয়েছেন।
হাদীস নং ৩৭০২
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম রহ……….মুআয ইবনে রিফাআ ইবনে রাফি যুরাকী রহ. তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের একজন। তিনি বলেন, একদা জিবরাঈল আ. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, আপনারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুসলমানদেরকে কিরূপ গণ্য করেন? তিনি বললেন, তারা সর্বোত্তম মুসলমান অথবা (রাবীর সন্দেহ) এরূপ বাক্য তিনি বলেছিলেন। জিবরাঈল আ. বললেন, ফেরেশতাগণের মধ্যে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীগণও তদ্রূপ মর্যাদার অধিকারী।
হাদীস নং ৩৭০৩
সুলাইমান ইবনে হারব রহ……….মুআয ইবনে রিফাআ ইবনে রাফি রহ. থেকে বর্ণিত যে, রিফাআ রা. ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবী আর রাফি রা. ছিলেন বায়আতে আকাবায় অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবী। রাফি রা. তার পুত্র (রিফাআ.) কে বলতেন, বায়আতে আকাবায় শরীক থাকার চেয়ে বদর যুদ্ধে শরীক থাকা আমার কাছে বেশী আনন্দের বিষয় বলে মনে হয় না। কেননা জিবরাঈল আ. এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
হাদীস নং ৩৭০৪
ইসহাক ইবনে মানসুর রহ……….মুআয ইবনে রিফাআ রহ. থেকে বর্ণিত যে, একজন ফেরেশতা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। (অন্য সনদে) ইয়াহইয়া থেকে বর্ণিত যে, ইয়াযীদ ইবনুল হাদ রহ. তাকে জানিয়েছেন যে, যেদিন মুআয রা. এ হাদীসটি বর্ণনা করেছিলেন সেদিন আমি তার কাছেই ছিলাম। ইয়াযীদ বলেছেন, মুআয রা. বর্ণনা করেছেন যে, প্রশ্নকারী ফেরেশতা হলেন জিবরাঈল আ.।
হাদীস নং ৩৭০৫
ইবরাহীম রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত যে, বদর যুদ্ধের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এই তো জিবরাঈল আ. রণ-সজ্জায় সজ্জিত হয়ে ঘোড়ার মাথা (ঘোড়ার লাগাম) হাত দিয়ে ধরে আছেন।
হাদীস নং ৩৭০৬
খালীফা রহ………আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আবু যায়েদ রা. ইন্তিকাল করেন। তিনি কোন সন্তান-সন্ততি রেখে যাননি। তিনি ছিলেন বদরী সাহাবী।
হাদীস নং ৩৭০৭
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ…………ইবনে খাব্বাব রহ. থেকে বর্ণিত যে, আবু সাঈদ ইবনে মালিক খুদরী রা. সফর থেকে বাড়ী ফেরার পর তার পরিবারের লোকেরা তাকে কুরবানীর গোশত থেকে কিছু গোশত খেতে দিলেন। তিনি বললেন, আমি না জিজ্ঞাসা করে এ গোশত খেতে পারি না। তারপর তিনি তার মায়ের গর্ভজাত ভ্রাতা কাতাদা ইবনে নুমানের কাছে গিয়ে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি ছিলেন, একজন বদরী সাহাবী। তখন তিনি তাকে বললেন, তিন দিন পর কুরবানীর গোশত খাওয়ার ব্যাপারে তোমাদের প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছিল পরবর্তীতে (অনুমতি সম্বলিত হাদীসের দ্বারা) তা সম্পূর্ণভাবে রহিত করে দেয়া হয়েছে।