হাদীস নং ৩১২৭
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……….আবু যার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কোন মসজিদ তৈরী করা হয়েছে? তিনি বললেন, মসজিদে হারাম। আমি বললাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদে আকসা। আমি বললাম, উভয় মসজিদের (তৈরীর) মাঝে কত ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর। (তিনি আরো বললেন) এরপর তোমার যেখানেই সালাতের সময় হবে, সেখানেই সালাত আদায় করে নিবে। কেননা এর মধ্যে ফযীলত নিহিত রয়েছে।
হাদীস নং ৩১২৮
আবদুল্লাহ ইবনে মাসলামা রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, উহুদ পাহাড় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দৃষ্টিগোচর হল। তিনি বললেন, এ পাহাড় আমাদের ভালবাসে আর আমরাও তাকে ভালবাসি। হে আল্লাহ! ইবরাহীম আ. মক্কাকে হরম ঘোষণা করেছে আর আমি হরম ঘোষণা করছি এ পাহাড়ের উভয় পার্শ্বের মধ্যবর্তী স্থানকে (মদীনাকে)। এ হাদীসটি আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ রা.-ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ৩১২৯
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……….. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আয়িশা আ.-কে বলেছেন, তুমি কি জান? তোমার কওম যখন কাবা ঘর নির্মাণ করেছে, তখন তারা ইবরাহীম আ.-এর ভিত্তি থেকে তা ছোট করেছে। তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি তা ইবরাহীম আ.-এর ভিত্তির উপর পুন নির্মাণ করবেন না? তিনি বললেন, যদি তোমার কওম কুফরী থেকে সদ্য আগত না হতো। (তাহলে আমি তা করে দিতাম)। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বললেন, যদি আয়েশা রা. এ হাদীসটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনে থাকেন, তবে আমি মনে করি যে, কাবা ঘর ইবরাহীম আ.-এর ভিত্তির উপর পুরোপুরি নির্মাণ করা হয়নি। রাবী ইসমাঈল রহ. বলেন, ইবনে আবু বকর হলেন আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আবু বকর রা.।
হাদীস নং ৩১৩০
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………..আবু হুমাইদ সাঈদী রা. থেকে বর্ণিত, সাহাবাগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমরা কিভাবে আপনার উপর দরূদ পাঠ করব? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এভাবে পড়বে, হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, তাঁর স্ত্রীগণের উপর এবং তাঁর বংশধরদের উপর রহমত নাযিল করুন, যেরূপ রহমত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আ.-এর বংশধরদের উপর। আর আপনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, তাঁর স্ত্রীগণের উপর এবং তাঁর বংশধরদের উপর এমনিভাবে বরকত নাযিল করুন যেমনি আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আ.-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয় আপনি অতি প্রশংসিত এবং অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী।
হাদীস নং ৩১৩১
কায়স ইবনে হাফস ও মূসা ইবন ইসমাঈল রহ……….আবদুর রহমান ইবনে আবু লায়লা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কাব ইবনে উজরা রা. আমার সাথে দেখা করে বললেন, আমি কি আপনাকে এমন একটি হাদীয়া দেব না যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি? আমি বললাম হ্যাঁ, আপনি আমাকে সে হাদীয়াটি দিন। তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনাদের উপর অর্থাৎ আহলে বায়তের উপর কিভাবে দরূদ পাঠ করতে হবে? কেননা, আল্লাহ তো (কেবল) আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন, আমরা কিভাবে আপনার উপর সালাম করব। তিনি বললেন, তোমরা এভাবে বল, হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বংশধরদের উপর রহমত নাযিল করুন, যেরূপ রহমত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আ.-এর বংশধরদের উপর। নিশ্চয় আপনি অতি প্রশংসিত এবং অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী। হে আল্লাহ! মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর বংশধরদের উপর এমনিভাবে বরকত নাযিল করুন যেমনি আপনি বরকত নাযিল করেছেন ইবরাহীম আ.এবং তাঁর বংশধরদের উপর। নিশ্চয় আপনি অতি প্রশংসিত এবং অত্যন্ত মর্যাদার অধিকারী।
হাদীস নং ৩১৩২
উসমান ইবনে আবু শায়বা রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এবং হুসাইন রা.-এর জন্য নিম্নোক্ত দু’আ পড়ে পানাহ চাইতেন আর বলতেন, তোমাদের পিতা (ইবরাহীম আ. ইসমাঈল ও ইসহাক আ.-এর জন্য এ দু’আ পড়ে পানাহ চাইতেন। (দু’আটি হল) আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাত দ্বারা প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি।
হাদীস নং ৩১৩৩
আহমদ ইবনে সালিহ রহ…………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, (ইবরাহীম আ. তাঁর চিত্ত প্রশান্তির জন্য কিভাবে জীবিত করা হবে, এ সম্পর্কে আল্লাহর নিকট জিজ্ঞাসা করেছিলেন, একে যদি ‘শক’ বলে অভিহিত করা হয় তবে এরূপ ‘শক’ এর ব্যাপারে আমরা ইবরাহীম আ. চাইতে অধিক উপযোগী। যখন ইবরাহীম আ. বলেছিলেন, হে আমার রব! আমাকে দেখিয়ে দিন, আপনি কিভাবে মৃতকে জীবিত করেন।আল্লাহ বললেন, তুমি কি বিশ্বাস কর না? তিনি বললেন, হ্যাঁ, (অবশ্যই বিশ্বাস করি) তা সত্ত্বেও (এ জিজ্ঞাসা এজন্য যে) যাতে আমার চিত্ত প্রশান্তি লাভ করে। (২: ২৬০) এরপর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লুত আ.-এর ঘটনা উল্লেখ করে বললেন) আল্লাহ লূত আ.-এর প্রতি রহম করুন। তিনি (আল্লাহর দীন প্রচারের সহায়তার জন্য) একটি সুদৃঢ় খুঁটির (দলের) আশ্রয় চেয়েছিলেন আর আমি যদি কারাগারে এত দীর্ঘ সময় থাকতাম যত দীর্ঘ সময় ইউসুফ আ. কারাগারে ছিলেন তবে (বাদশাহর পক্ষ থেকে) তার ডাক সাড়া দিতাম।