হাদীস নং ৩৬৭৭
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্না রহ…………আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, (বদরের দিন) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আবু জেহেল কি করল, কে তা খোঁজে নিয়ে আসতে পারে? (এ কথা শুনে) ইবনে মাসউদ রা. চলে গেলেন এবং তিনি দেখতে পেলেন, আফরার দুই পুত্র তাকে এমনিভাবে প্রহার করেছে যে, সে মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তিনি তার দাঁড়ি ধরে বললেন, তুমি কি আবু জেহেল? উত্তরে সে বলল, এক ব্যক্তিকে তার গোত্রের লোকেরা হত্যা করল অথবা (রাবীর সন্দেহ) যাকে তোমরা হত্যা করলে ! এর চাইতে বেশী আর কি? ইবনে মুসান্না রহ……….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে অনুরূপ একটি রেওয়ায়েত বর্ণিত আছে।
হাদীস নং ৩৬৭৮
আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………..ইবরাহীমের দাদা থেকে বদর তথা আফরার দুই ছেলের সম্পর্কে এক রেওয়ায়ত বর্ণনা করেছেন।
হাদীস নং ৩৬৭৯
মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ রুকাশী রহ………..আলী ইবনে আবু তালিব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমিই সর্বপ্রথম ব্যক্তি যে কিয়ামতের দিন দয়াময়ের সামনে বিবাদের (মিমাংসার) জন্য হাঁটু গেড়ে বসব। কায়েস ইবনে উবাদ রা. বলেন, এদের সম্পর্কেই কুরআন মজীদের هذان خصمان اختصموا في ربهم ‘এর দুটি বিবাদমান পক্ষ তাঁরা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে’। আয়াতটি নাযিল হয়েছে। তিনি বলেন, (মুসলিম পক্ষের) তারা হল হামযা, আলী ও উবায়দা অথবা (রাবীর সন্দেহ) আবু উবায়দা ইবনুল হারিস (কাফের পক্ষের) শায়বা ইবনে রাবীআ, উতবা এবং ওয়ালীদ ইবনে উতবা।
হাদীস নং ৩৬৮০
কাবীসা রহ……….আবু যার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, خصمان اختصموا في ربهم ‘এর দুটি বিবাদমান পক্ষ তাঁরা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে’। আয়াতটি কুরাইশ গোত্রীয় ছয়জন লোক (এদের তিনজন মুসলিম এবং তিনজন মুশরিক) সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে। তারা হলেন (মুসলিম পক্ষে) আলী, হামযা, উবায়দা ইবনুল হারিস রা. ও (কাফের পক্ষে) শায়বা ইবনে রাবীআ, উতবা ইবনে রাবীআ এবং ওয়ালীদ ইবনে উতবা।
হাদীস নং ৩৬৮১
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম সাওয়াফ রহ………..কায়েস ইবনে উবাদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আলী রা. বলেছেন, আয়াতটি আমাদের সম্পর্কেই নাযিল হয়েছে। خصمان اختصموا في ربهم ‘এর দুটি বিবাদমান পক্ষ তাঁরা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে’।
হাদীস নং ৩৬৮২
ইয়াহইয়া ইবনে জাফর রহ………..কায়েস ইবনে উবাদ রহ. থেকে বর্ণিত, (তিনি বলেছেন) আমি আবু যার রা.-কে কসম করে বলতে শুনেছি যে, উপরোক্ত আয়াতগুলো উল্লেখিত বদরের দিন ঐ ছয় ব্যক্তি সম্পর্কে নাযিল হয়েছিল।
হাদীস নং ৩৬৮৩
ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম রহ………..কায়েস রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বলেছেন, আমি আবু যার রা..-কে কসম করে বলতে শুনেছি যে, خصمان اختصموا في ربهم ‘এর দুটি বিবাদমান পক্ষ তাঁরা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে’। আয়াতটি বদরের দিন দ্বন্দ্বযুদ্ধে হামযা, আলী ও উবায়দা অথবা আবু উবায়দা ইবনুল হারিস, রাবীআর দুই ছেলে শায়বা উতবা এবং ওয়ালীদ ইবনে উতবার সম্বন্ধে নাযিল হয়েছে।
হাদীস নং ৩৬৮৪
আহমদ ইবনে সাঈদ আবু আবদুল্লাহ রহ………..আবু ইসহাক রহ. থেকে বর্ণিত যে, আমি শুনলাম, এক ব্যক্তি বারা রা.-কে জিজ্ঞাসা করল, আলী রা. কি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন? তিনি বললেন, আলী তো নিঃসন্দেহে মুকাবিলায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং দুইটি লৌহ পোশাক পরিধান করেছিলেন।
হাদীস নং ৩৬৮৫
আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ রহ………..আবদুর রাহমান ইবনে আউফ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমাইয়া ইবনে খালফের সাথে একটি চুক্তি করেছিলাম। যখন বদর দিবস উপস্থিত হল, এরপর তিনি উমাইয়া ইবনে খালফ ও তার পুত্রের নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করলেন। সেদিন বিলাল রা. বললেন, যদি উমাইয়া ইবনে খালফ প্রাণে বেঁচে যায় তাহলে আমি সফল হব না।
হাদীস নং ৩৬৮৬
আবদান ইবনে উসমান রহ………..আবদুল্লাহ রা. সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে, তিনি সূরা নাজম তিলাওয়াত করলেন এবং (সাথে সাথে) সিজদা করলেন। এক বৃদ্ধ ব্যতীত নবীজীর নিকট যারা উপস্থিত ছিলেন তারা সকলেই সিজদা করলেন। সে বৃদ্ধ এক মুষ্টি মাটি উঠিয়ে কপাল লাগিয়ে বলল, আমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। আবদুল্লাহ রা. বলেন, কিছুদিন পর আমি তাকে কাফের অবস্থায় নিহত হতে দেখেছি।
ইবরাহীম ইবনে মূসা রহ……….হিশামের পিতা (উরওয়া) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (তার পিতা) যুবাইরের শরীরে তিনটি মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান ছিল। এর একটি ছিল তার কাঁধে। উরওয়া বলেন, আমি আমার আঙ্গুলগুলো ঐ ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে দিতাম, বর্ণনাকারী উরওয়া বলেন, ঐ আঘাত তিনটির দুটি ছিল বদর যুদ্ধের এবং একটি ছিল ইয়ারমুক যুদ্ধের। উরওয়া বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর শহীদ হলেন তখন আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ান আমাকে বললেন, হে উরওয়া, যুবাইরের তরবারি খানা তুমি কি চিন? আমি বললাম, হ্যা, চিনি। আবদুল মালিক বললেন, এর কি কোন চিহ্ন (তোমার জানা) আছে? আমি বললাম, এর ধার পাশে এক জায়গায় ভাঙ্গা আছে যা বদর যুদ্ধের দিন ভেঙ্গে ছিল তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি সত্য বলেছ, (তারপর তিনি একটি কবিতাংশ আবৃত্তি করলেন) بهن فلول من قراع الكتائب সে তরবারীর ভাঙ্গন ছিল শত্রু সেনাদের আঘাত করার কারণে। এরপর আবদুল মালিক তরবারী খানা উরওয়ার নিকট ফিরিয়ে দিলেন, হিশাম বলেন, আমরা নিজেরা এর মূল্য নির্ধারণ করেছিলাম তিন হাজার দেরহাম। এরপর আমাদের এক ব্যক্তি তা (উত্তররাধিকারী সূত্রে) নিয়ে নিল। আমার মনে বাসনা জাগল যে যদি আমি তরবারীটি নিয়ে নিতাম।