হাদীস নং ৩১৭৬
আবুল ওয়ালীদ রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন বান্দার পক্ষেই এ কথা বলা শোভনীয় নয় যে, আমি (মুহাম্মদ) ইউনুস ইবনে মাত্তার চেয়ে উত্তম।
হাদীস নং ৩১৭৬
আবুল ওয়ালীদ রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন বান্দার পক্ষেই এ কথা বলা শোভনীয় নয় যে, আমি (মুহাম্মদ) ইউনুস ইবনে মাত্তার চেয়ে উত্তম।
হাদীস নং ৩১৭৭
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ রহ……….আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাউদ আ.-এর পক্ষে কুরআন (যাবুর) তিলাওয়াত সহজ করে দেয়া হয়েছিল। তিনি তাঁর যানবাহনের পশুর উপর গদি বাঁধার আদেশ করতেন, তখন তার উপর গদি বাঁধা হত। তারপর তার যানবাহনের পশুটির উপর গদি বাঁধার পূর্বেই তিনি যাবুর তিলাওয়াত করে শেষ করে ফেলতেন। তিনি নিজ হাতে উপার্জন করেই খেতেন। মূসা ইবনে উকবা রহ……….আবু হুরায়রা সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি রিওয়ায়েত করেছেন।
হাদীস নং ৩১৭৮
ইয়াহয়াই ইবনে বুকাইর রহ………আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জানান হল যে, আমি বলছি, আল্লাহর কসম! আমি যতদিন বেচে থাকব ততদিন অবশ্যই আমি বিরামহীনভাবে দিনে সাওম পালন করব আর রাতে ইবাদতে রত থাকব। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তুমিই কি বলেছ, আল্লাহর কসম, আমি যতদিন বাচবো, ততদিন দিনে সাওম পালন করবো এবং রাতে ইবাদতে রত থাকব। আমি আরয করলাম, আমিই তা বলছি। তিনি বললেন, সেই শক্তি তোমার নেই । কাজেই সাওম পালন কর, ইফতারও কর অর্থাৎ বিরতি দাও। রাতে ইবাদতেও দশগুণ সাওয়াব পাওয়া যায় আর এটা সারা বছর সাওম পালন করার সমান। তখন আমি আরয করলাম। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও বেশী সাওম পালন ক্ষমতা রাখি। তখন তিনি বললেন, তাহলে তুমি একদিন সাওম পালন কর আর দু’দিন ইফতার কর অর্থাৎ বিরতি দাও। তখন আমি আরয করালাম। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও অধিক পালন করার শক্তি রাখি। তখন তিনি বললেন, তাহলে একদিন সাওম পালন কর আর একদিন বিরতি দাও। এটা দাউদ আ.-এর সাওম পালনের পদ্ধতি। আর এটাই সাওম পালনের উত্তম পদ্ধতি। আমি আরয করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি এর চেয়েও বেশী শক্তি রাখি। তিনি বললেন, এর চেয়ে অধিক কিচু নেই।
হাদীস নং ৩১৭৯
খাল্লাদ ইবনে ইয়াহইয়া রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি কি অবহিত হইনি যে, তুমি রাত ভর ইবাদত কর এবং দিন ভর সাওম পালন করি! আমি বললাম হ্যাঁ। (খবর সত্য) তিনি বললেন, যদি তুমি এরূপ কর; তবে তোমার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে যাবে এবং দেহ অবসন্ন হয়ে যাবে। কাজেই প্রতি মাসে তিন দিন সাওম পালন কর। তাহলে তা সারা বছরের সাওমের সমতুল্য হয়ে যাবে। আমি বললাম, আমি আমার মধ্যে আরো বেশী পাই। মিসআর রা. বলেন, এখানে শক্তি বুঝানো হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তুমি দাউদ আ.-এর পদ্ধতিতে সাওম পালন কর। তিনি একদিন সাওম পালন করতেন আর একদিন বিরত থাকতেন। আর শত্রু র সম্মুখীন হলে তিনি কখনও পলায়ন করতেন না।
হাদীস নং ৩১৮০
কুতাবাই ইবনে সাঈদ রহ………..আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, আল্লাহর নিকট অধিক পছন্দনীয় সাওম হল দাউদ আ.-এর পদ্ধতিতে সাওম পালন করা। তিনি একদিন সাওম পালন করতেন আর একদিন বিরতি দিতেন। আল্লাহর কাছে সর্বাধিক পছন্দনীয় সালাত হল দাউদ আ.-এর পদ্ধতিতে (নফল) সালাত আদায় করা। তিনি রাতের প্রথমার্ধে ঘুমাতেন, রাতের এক তৃতীয়াংশ দাঁড়িয়ে (নফল) সালাত আদায় করতেন আর বাকী ষষ্ঠাংশ আবার ঘুমাতেন।
হাদীস নং ৩১৮১
মুহাম্মদ রহ…………মুজাহিদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আমরা কি সূরা ছোয়াদ পাঠ করে সিজদা করব? তখন তিনি ومن ذريته داود وسليمان থেকে فبهداهم اقتده পর্যন্ত আয়াত তিলাওয়াত করলেন। এরপর ইবনে আব্বাস রা. বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সব মহান ব্যক্তিদের একজন, যাদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।( ৬: ৮৪-৯০)।
হাদীস নং ৩১৮২
মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ……….ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সূরা ছোয়াদের সিজদা অত্যাশ্যকীয় নয়। কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এ সূরায় সিজদা করতে দেখেছি।
হাদীস নং ৩১৮৩
মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি অবাধ্য জ্বিন এক রাতে আমার সালাতে বিঘ্ন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসল। আল্লাহ আমাকে তার উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন।আমি তাকে পাকড়াও করলাম এবং মসজিদের একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার মনস্থ করলাম, যাতে তোমরা সবাই সচক্ষে তাকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলাইমান আ.-এর এ দুআটি আমার মনে পড়ল। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে দান করুন এমন এক রাজ্য যার অধিকারী আমার পরে আমি ছাড়া কেউ না হয়। (৩৮: ৩৫) এরপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং অপমানিত করে ছেড়ে দিলাম। জ্বিন অথবা ইনসানের অত্যন্ত পিশাচ ব্যক্তিকে ইফরীত বলা হয় ইফরীত ও ইফরীয়াতুন যিবনীয়তুন-এর ন্যায় এক বচন, যার বহুবচন যাবানিয়াতুন।