YUSUFALI: Those who devour usury will not stand except as stand one whom the Evil one by his touch Hath driven to madness. That is because they say: “Trade is like usury,” but Allah hath permitted trade and forbidden usury. Those who after receiving direction from their Lord, desist, shall be pardoned for the past; their case is for Allah (to judge); but those who repeat (The offence) are companions of the Fire: They will abide therein (for ever).
PICKTHAL: Those who swallow usury cannot rise up save as he ariseth whom the devil hath prostrated by (his) touch. That is because they say: Trade is just like usury; whereas Allah permitteth trading and forbiddeth usury. He unto whom an admonition from his Lord cometh, and (he) refraineth (in obedience thereto), he shall keep (the profits of) that which is past, and his affair (henceforth) is with Allah. As for him who returneth (to usury) – Such are rightful owners of the Fire. They will abide therein.
SHAKIR: Those who swallow down usury cannot arise except as one whom Shaitan has prostrated by (his) touch does rise. That is because they say, trading is only like usury; and Allah has allowed trading and forbidden usury. To whomsoever then the admonition has come from his Lord, then he desists, he shall have what has already passed, and his affair is in the hands of Allah; and whoever returns (to it)– these arc the inmates of the fire; they shall abide in it.
KHALIFA: Those who charge usury are in the same position as those controlled by the devil’s influence. This is because they claim that usury is the same as commerce. However, GOD permits commerce, and prohibits usury. Thus, whoever heeds this commandment from his Lord, and refrains from usury, he may keep his past earnings, and his judgment rests with GOD. As for those who persist in usury, they incur Hell, wherein they abide forever.
২৭৫। শয়তানের স্পর্শ মানুষকে যেরূপ পাগলামির দিকে তাড়িত করে, সুদখোরেরা ৩২৪ [পুণরুত্থানের দিনে] সেই ব্যক্তির ন্যায় হবে ৩২৫। তার কারণ, তারা বলে, “ব্যবসা-বাণিজ্য তো সুদেরই মত” ৩২৬। কিন্তু আল্লাহ্ ব্যবসাকে বৈধ ও সুদকে অবৈধ করেছেন। যারা তাদের প্রভুর নিকট থেকে নির্দেশ আসার পর [সুদ খাওয়া থেকে] বিরত থাকে, তাদের অতীতের [কাজকে] ক্ষমা করা হবে। তাদের বিষয় আল্লাহ্র [বিচারের] বিষয়। কিন্তু যারা [তা] পুণরাবৃত্তি করবে, তারা হবে আগুনের অধিবাসী। সেখানে তারা [চিরদিন] থাকেব।
৩২৪। সুদ খাওয়াকে কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমতের অবকাশ নাই। অবতরণের দিক থেকে এটি সর্বশেষ আয়াত। এরপর কোন আয়াত অবতীর্ণ হয় নাই। এর একত্রিশ দিন পর হুযুর (সাঃ) ওফাত পান। কোন কোন রেওয়ায়েতে নয় দিন পর হযরত রাসূলে করীমের (সাঃ) ওফাতের কথা বর্ণিত আছে। ইবনে খাতিবের ভাষ্য অনুযায়ী হযরত ওমর তার খেলাফতের সময়ে সুদের ব্যাপারে বেশ কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হন। কারণ এ ব্যাপারে বিশদ কিছু ব্যাখ্যার পূর্বেই হযরত (সাঃ) পরলোক গমন করেন। হযরত ওমর যে তিনটি প্রশ্নের সমাধানের জন্য আল্লাহ্র রাসূলের ব্যাখ্যার অভাব অনুভব করেছিলেন, সূদের ব্যাপারটি ছিল তার অন্যতম। কারণ ইসলাম সে সময়ে এক বিরাট শক্তি হিসাবে পৃথিবীতে আত্মপ্রকাশ করেছিল এবং বিশাল সাম্রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে ব্যাখ্যার প্রয়োজন ছিল বৈকি। আমাদের প্রাচীন ও বর্তমান ওলেমাগণ সুদের উপর বহু গবেষণা করেছেন। তাদের গবেষণার মূল ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিলো ইসলামের অভ্যুত্থানের সময়ের আর্থ-সামাজিক পটভূমি। যেহেতু বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং বিতর্কমূলক, সুতরাং ইউসুফ আলী সাহেব বিষয়বস্তুটি অন্য সময়ে যথাযোগ্য পরিবেশে উপস্থাপন করতে মনস্ত করেন। ইউসুফ আলী সাহেবের মতে এর সংজ্ঞা হওয়া উচিত নিম্নরূপ : সোনা, রূপা, প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী [যথা : গম, যব, বার্লি, খেজুর, ধান ইত্যাদি] ধার দেয়ার পরিবর্তে যে মুনাফা অর্জন করা হয় তাই সুদের আওতায় পরে। ইউসুফ আলী সাহেবের সংজ্ঞা অনুযায়ী যে কোনও প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ধারের বিনিময়ে মুনাফা অর্জনই সুদ। এ ক্ষেত্রে বর্তমান যুগের ব্যাংকের হিসাব নিকাশ অন্তর্ভূক্ত কি না তা গবেষণার বিষয়।
৩২৫। সুদখোরেরা অনেকে এই প্রশ্ন তুলেছিল যে, ক্রয়-বিক্রয় তো সুদেরই অনুরূপ এবং সুদের মাধ্যমে যেমন মুনাফা অর্জিত হয়, তেমনি ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমেও মুনাফা অর্জনই উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। এই উক্তির জবাবে আল্লাহ্ বলেছেন যে, এরা ক্রয়-বিক্রয়কে সুদের অনুরূপ বা সমতুল্য বলেছে, কিন্তু আল্লাহ্র নির্দেশের ফলে এ দুয়ের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য বিরাজমান। সৎ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প কারখানার প্রসার ব্যক্তিগত এবং জাতিগত উন্নতির চাবিকাঠি। অন্যদিকে মহাজনি সুদখোর টাকা পয়সার লালসায় এমন বিভোর হয়ে পড়ে যে, কোন দরিদ্রের প্রতি তার সামান্য দয়ারও উদ্রেক হয় না। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানার প্রসারের ফলে বহু বেকারের কর্মসংস্থান হয় একদিকে, অন্যদিকে জাতীয় আয় এবং মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধি ঘটে। অন্যদিকে মহাজনি সুদখোরের ব্যবসাতে গরীব আরও গরীবে পরিণত হয় এবং জাতীয় জীবনে এর কোন সু-প্রভাব নাই। সুদখোর রক্তচোষা ছারপোকার ন্যায়। এখানেই ব্যাংকের সুদ ও মহাজনি সুদের মধ্যে পার্থক্য।