এই সব নিকট-দূর স্বদেশের মানুষের জন্য ভাবনা ও ভালোবাসা থেকেই তার মনে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণার আগুন প্রচণ্ড তেজে জ্বলতে আরম্ভ করে। আর ঠিক সেই সময়েই সে সামনে দেখতে পেল সূর্য-চিহ্নিত তিনটি জাপানী বিমান। সুমের বেতারে খবর পাঠিয়ে দিল, ‘দুমিনিটের মধ্যেই জাপানী বিমানের মোকাবিলা করতে হবে।’ কথা-বলতে সময় লাগে, তার চেয়েও বেশি লাগে লিখতে কিন্তু চোখের পলক ফেলতে না ফেলতে সুমেরের মেশিনগানের কার্যকরী আওতায় চলে এল জাপানী বিমান তিনটি।
ট্ট..ট্ট..ট্ট-নিখুঁত নিশানায় সুমেরের মেশিনগানের এক ঝাক গুলী বাতাস কেটে জাপানী বিমানগুলিকে বিদ্ধ করল আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফ্যাসিষ্ট দস্যুদের বিমান তিনটি সমুদ্রের বুকে আছড়ে পড়ল।
সুমেরের নিজের নৈপুণ্য প্রকাশ করার এটাই ছিল প্রথম সুযোগ। এই সাফল্যে সে খুব খুশী হল। ফিরতি পথে অন্য এক বৈমানিক শরীফকে বলল, ‘আমার নিজের দাম উশুল করে নিয়েছি। এই ভাবে আমরা প্ৰত্যেকে যদি তিনটি করে ফ্যাসিষ্ট বিমান ধ্বংস করতে পারি তা হলে আর কোনো ভাবনা নেই। এর পর যদি আমি মারাও যাই তবু সান্ত্বনা থাকবে যে, মৃত্যুর আগে আমার কর্তব্য কিছুটা পালন করতে পেরেছি।’
সুমের আরও ২০০ বার বিমান-যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল এবং প্রায় ১০০ জাপানী বিমান তার হাতে ধ্বংস হয়েছিল। জীবনের শেষ দিনে একটি বিরাট জাপানী বোমারু বিমান ধ্বংস করে সে বিরল কৃতিত্ব অর্জন করে। বোমারু বিমানটির পাহারাদার জঙ্গী বিমানগুলিকে ফাঁকি দিয়ে সে বোমারু বিমানটিকে ধ্বংস করে দেয়। সেই সঙ্গে সুমের ও তার–সঙ্গী বিমানচালকটিও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়