ইতিমধ্যে রাত শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভোরের আলো জানালাপথে হোটেলের ঘরে এসে প্রবেশ করে। কিরীটী বলল, শরদিন্দুবাবুকে কি হোটেলে একটা ফোন করে দেব মানসী দেবী?
না। মানসী বলল।
শরদিন্দুবাবু তো নির্দোষ, মা! জগন্নাথ বললেন।
দোষী কি নির্দোষ আমি জানি না মেসোমশাই, মানসী বলল, এইটুকু জানি, সেখানে আর আমার পক্ষে ফেরা সম্ভব নয়।
কিন্তু মা–
জানি মেসোমশাই আপনি কি বলবেন, কিন্তু আমার ধারণা সুকুমার যা করেছিল, শরদিন্দুর পক্ষেও সেটা অসম্ভব ছিল না, তার চোখেও যে আমি হত্যার সংকল্প দেখেছিলাম।
সুব্রত বলল, আর একবার ভেবে দেখলে পারতেন মানসী দেবী!
ভেবেছি, ভেবেই বলছি।
কিন্তু মানসী, তুমি জগন্নাথবাবুর কথাটা শেষ হল না, তার আগেই মানসী হঠাৎ উঠে নিঃশব্দে ঘর থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে গেল।
পরের দিনের এক্সপ্রেসে কিরীটী আর সুব্রত কলকাতায় যাবার জন্য উঠে বসল।
মানসী জগন্নাথবাবুর গৃহে যায়নি, পুলিশ তার কোন সন্ধান করতে পারেনি তখন পর্যন্ত।
ট্রেন ছাড়বার পর সুব্রত বলল, মানসী কোথায় গেল বল তো?
কিরীটী মৃদু গলায় বলল, মানসীই জানে সে কথা।