কিশোরের স্বপ্নও মিথ্যা নয় বা সেটা delirium–ও নয়। সে দেখছিল একজন সাদা পোশাক পরা পরী তার সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। সে তার বিকৃত স্বপ্নাতুর কল্পনায় বারীনের খানসামার সাদা পোশাককে পরীর পোশাক বলে ভুল করেছিল। কিন্তু এই প্রমাণেই তো তাকে দোষী বলে ধরা যায় না। আমি প্রথম যেদিন তাকে রসা রোডে রাত্রে দেখি, সে তাড়াতাড়ি পালাবার সময়, তার নামের আদ্যক্ষর এন লেখা রুমালটা ফেলে যায়। তাছাড়া তার আঙুলের ছাপ কায়দা করে নিয়েছি ও সেটা কলকাতায় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলাম, সেখানকার অপরাধীদের ফাইলে রক্ষিত আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে। ডাঃ চক্রবর্তীর সিরিঞ্জের গায়েও তার আঙুলের ছাপ ছিল, সেটাও নেওয়া হয়েছিল। সব হুবহু এক, মিলে গেছে। আমারই ভুল হয়েছিল তাকে অরক্ষিত অবস্থায় রেখে আলোচনা করা। তা না হলে হয়ত সে পালাবার সুযোগ পেত না।
কিরীটী চুপ করলে। অদুরে অন্ধকারে সমুদ্রের কালো কালো ঢেউগুলো সাদা ফেনার উচ্ছ্বাস বুকে নিয়ে যেন ক্রুদ্ধ গর্জনে এদিকে ছুটে আসছে।
তুমি কি সত্যই কোণারকে গিয়েছিলে কিরীটী? অমিয় জিজ্ঞাসা করল।
কিরীটী জবাব দিল, না। কলকাতায় বারীনের আসল ইতিহাসের খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বারীন যে এত তাড়াতাড়ি খুন করবে তা ভাবতে পারিনি।
–: সমাপ্ত :–