হেসে ওঠে সোনালী।
রাগ হচ্ছে না তোর?
সোনালী তেমনি শান্ত হাসি হেসে বলে, কই, টের পাচ্ছি না তো?
.
না, সত্যিই টের পাচ্ছে না সোনালী।
অনুভব করতে পারছে না কোথাও কোনোখানে কোনো ক্ষোভ আছে কিনা তার। বুঝতে পারছে না কোথায় হারিয়ে গেল তার সেই সদাবিক্ষুব্ধ হৃদয়ের উত্তাল অভিযোগ, যে উত্তাল অভিযোগের উত্তাপ গতকালও তাকে রাগে অন্ধ করে তুলেছে, ছুটিয়ে নিয়ে গেছে দিশাহীন বেপরোয়া পথে।
কোন মন্ত্রে সহসা বদলে গেল মনের সেই অন্ধকার রং? সহসা সমগ্র পৃথিবীটা সোনালীর করায়ত্ত হয়ে গেল কি করে?
তাই সোনালীর আর অভাব নেই অভিযোগ নেই ক্ষোভ নেই। তাই কিছুই এসে যাবে না তার আগ্রহে কি ওদাসীন্যে।
যে জিনিসটা প্রতিমুহূর্তে যন্ত্রণা দিয়েছে সোনালীকে, করে তুলেছে উগ্ৰ অসহিষ্ণু হিংস্র, সে জিনিসটা সহসা এত তুচ্ছ এত মূল্যহীন হয়ে গেল কি করে ভেবে পায় না সোনালী।
অথচ ভাবেও না! শুধু অপূর্ব এক পূর্ণতার প্রশান্তিতে ভরে থাকে মন, যেন বাকী সমস্তটা জীবনে রয়ে যাবে এই পূর্ণতার স্পর্শ। অবোধ শশাঙ্কর কোনও ত্রুটিই সেখানে বিদারণরেখা আঁকতে পারবে না।