(II) Inter Wing Communication.
(III) Foreign Trade Should each be managed by a board consisting of an equal number of members from East and West Pakistan.
- The Supreme Court and all departments of central services including diplomatic services and autonomous bodies shall consist of an equal number of persons from East and West Pakistan. To achieve this parity future appointments should be made in a manner so that the total strength of such officers be brought at par within a period of ten years.
- It shall be the constitutional responsibility of the Government of Pakistan to bring at par the effecting fighting and fire power in the armed services in the two wings of the country and to that end to establish a Military Academy, Ordnance Factories, Cadet Colleges and School, raise recruits for the three services from East Pakistan and shift the Headquarters of the Pakistan Navy to East Pakistan to ensure implementation of the above, a Defence Council consisting of equal number of members from East and West Pakistan shall be established.
- The Constitution in this declaration means the constitution of 1956 which shall be promulgated immediately. Within six months of the promulgation of the constitution, General Election shall be held to the Central and Provincial Assemblies. The foremost business transacts by the National Parliament shall be The Incorporation of the changes as spelt out in the Preceding clauses into the constitution.
আমাদের দলের অনেক নেতা এটা গ্রহণ করেছেন; এর মধ্যে যে কত ফাঁক রেখেছে যারা একটু চিন্তা করে দেখবে তারা সহজেই বুঝতে পারবে। আমার মত জানবার চেষ্টা করেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিরোধী দলের ঐক্য চাই, কিন্তু জনগণের দাবি জলাঞ্জলি দিয়ে নয়।
পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রস্তাব দিয়েছে আমার মত নিয়ে কাজে অগ্রসর হতে। কোর্টে জহির সাহেব আমার কাছে মত জিজ্ঞাসা করেছেন আর বলেছেন অনেকদূর অগ্রসর হয়ে গেছে-পিছান কষ্টকর। আমি আমেনা, আজিজ, মোস্তফা ও জহির সাহেবকে বলে দিয়েছি ঐক্যে আমার আপত্তি নাই তবে সকল বিরোধী দলকে নিতে হবে, ন্যাপকে বাদ দেওয়া চলবে না; দ্বিতীয় পার্টির কাজ বন্ধ হবে না-৬ দফার আন্দোলন চালাইয়া যাবে পার্টি। আমি ও আমার সহকর্মী যারা জেলে আছি বিশেষ করে খোন্দকার মোশতাক, তাজউদ্দীন ও আমাকে কোনো সর্বদলীয় কমিটিতে রাখবা না। আমরা ৬ দফা দাবির জন্য জেলে এসেছি। অনেক লোক গুলি খেয়ে মারা গেছে, অনেক কর্মী জেল খাটছে তাদের ত্যাগের দাম আমাকে দিতেই হবে। তাদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা আমি করতে পারব না। তবে ঐক্য হউক, এই সমস্ত নেতারা কি করে দেখি? এরা ত্যাগ করতে প্রস্তুত আছে কিনা আমি জানি না। তবে আমার সন্দেহ আছে! আমি তোমাদের বাধা দিতে চাই না, তবে উপরে উল্লেখিত দাবি না মানলে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ যোগদান করবে না। যদি করে তাতে আমি আর কি করতে পারি! আমিতো জেলেই আছি।
২৭ তারিখে আমার একটা মামলার রায়, ১৯৬৬ সালের ২০শে মার্চ পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত সভায় বক্তৃতা দানের অভিযোগে। জনাব আফসার উদ্দিন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট জেলগেটের অভ্যন্তরে কোর্ট করে আমার বিচার করেন এবং আমাকে পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনের ৪৭ ধারা বলে ১৫ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
এই দণ্ড দেওয়ার পরেই জহিরের সাথে আমার আলাপ হয়। আমি তাকে বললাম আমাকে জেল দিয়েছে আমি বিনা বিচারে বন্দি আছি। কতকাল থাকতে হয় জানি না, আমার পক্ষে পূর্ব বাংলার মানুষের সাথে বেঈমানী করা সম্ভব নয়। যাহা ভাল বোঝ কর। আমি জানি ৬ দফা দাবি পূরণ হওয়া ছাড়া এদের বাঁচবার উপায় নাই। আজ আমি এক বৎসর দেশরক্ষা আইনে বিনা বিচারে জেলে আছি। আমার সহকর্মীরাও আছে। আমি দেখলাম আমার অবর্তমানে দুই গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে। একদল ৬ দফা ছাড়া আপোষ করবে না আর একদল নিম্নতম কর্মসূচিতেই রাজি।
আমাকে প্রথম শ্রেণীর কয়েদি করা হয়েছে। রোজ খাবার আড়াই টাকার মত এখন পাব। একলা থাকি একলাই পাক করাইয়া খাই। কি করে চলবে! যারা আমার খানা পাক করে আর যারা আমার দেখাশোনা করে তাদের রেখে তো কোনোদিন কিছু খাই না।
জামিন দিল না। আজ থেকে আমি সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। তবে দেশরক্ষা আইনে বিনা-বিচারের আদেশও থাকবে যদি জামিন পাই। জজকোর্টে আপীল করার পরে আবার দেশরক্ষা আইনে বিনাবিচারে জেলে থাকতে হবে। আমার পক্ষে সবই সমান। আর একটা মামলায়ও আমার জেল আছে আড়াই বৎসর। সেটাও বক্তৃতা মামলা, হাইকোর্টে পড়ে আছে। কনফার্ম করেছে এক বৎসর খাটতে হবে যদি হাইকোর্ট থেকে মুক্তি না পাই। বুঝতে পারলাম আরও যে ছয়-সাতটা বক্তৃতার মামলা আছে সব মামলাই নিচের কোর্টে আমাকে সাজা দিবে। শুধু মনে মনে বললাম :
‘বিপদে মোরে রক্ষা কর
এ নহে মোর প্রার্থনা।
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।‘