যে-কোনো সমস্যাই আপনার বুদ্ধির দ্বারা, চিন্তার দ্বারা, মেধার দ্বারা, আন্তরিক ইচ্ছার দ্বারা সমাধানযোগ্য, এই বিশ্বাস নিজের মধ্যে আনুন। সমস্যার সমাধান পেতে হলে কি করতে হবে আপনাকে? গঠনমূলক চিন্তা-পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে আপনাকে। সব চিন্তাই ফলপ্রসূ নয়। ফল প্রসব করে যে চিন্তা তাকে বলা যেতে পারে গঠনমূলক চিন্তাধারা।
গঠনমূলক চিন্তাধারার অধিকারী হবার জন্যে ক্ষুদ্রতর-বৃহত্তর পদ্ধতি প্রয়োগ। করলে কাজ হবে। নিমোক্ত সাজেশন ব্যবহার করলে আপনার মন দুশ্চিন্তামুক্ত তো হবেই, গঠনমূলক চিন্তা করার পথও পরিষ্কার হয়ে যাবে:
‘আমি যোগ্য এবং উপযুক্ত, কোনো সমস্যাই আমাকে হাস্যকর অবস্থায় ফেলতে পারবে না। আমার মন দুশ্চিন্তা মুক্ত রাখবো কারণ, বুদ্ধিমান, যোগ্য, উপযুক্ত লোকেরা দুশ্চিন্তায় কক্ষনো ভোগে না। আমার অচেতন মন চিন্তা এবং সক্রিয়তার দ্বারা আমাকে দুশ্চিন্তার কবল থেকে মুক্ত রাখতে সরাসরি সাহায্য করবে।’
.
লেখক হবেন কিভাবে
‘লেখক হবার ইচ্ছা আছে আমার, কিন্তু আমি জানি লেখক আমি হতে পারবো না।’–এক যুবক বললো আমাকে।
তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন পারবে না? লিখতে কখন চেষ্টা করেছো?’
‘লাভ কি চেষ্টা করে! এ লাইনে আমার মেধা নেই।’ ঘোষণার ভঙ্গিতে জানালো সে।
পুরো এক ঘণ্টা ধরে যুবকটিকে আমি বোঝালাম যে তার লেখক হবার পথে সবচেয়ে বড় বাধা সে নিজেই।
লেখক হতে পারবো না, মেধা নেই-এই নেতিবাচক চিন্তা যার মধ্যে আছে সে লেখক হতে পারবে কি করে?
লেখক হতে চান? বেশ, ভালো কথা। আমার শুভেচ্ছা রইলো আপনার প্রতি। এবং সেই সাথে ভবিষ্যদ্বাণী করছি, লেখক আপনি হবেন। কিন্তু শর্ত হলো, নিয়ম। মানতে হবে। এবং পরিশ্রম করতে হবে। রাজি?
– গুড।
নিয়ম একটিই, প্রথমে বিশ্বাস করুন আপনি লেখক হতে পারবেন। লেখক হবার জন্যে যে সব গুণ দরকার তার সবগুলোই প্রচুর পরিমাণে আপনার মধ্যে আছে।
ব্যস! এই নিয়মটি পালন করুন, ফল পাবেনই। সেই সাথে এই সাজেশনটিকে ব্যবহার করুন:
‘লিখতে আমি ভালবাসি এবং লিখতে আমি পারিও। পারি, তার কারণ আমার মধ্যে কল্পনাশক্তি রয়েছে। সেই সাথে লেখার মাধ্যমে নিজেকে আমি সুন্দরভাবে, ঠিক যেমনভাবে চাই, প্রকাশ করতে পারি। আমি লিখতে পারি সহজ এবং কৌতূহলোদ্দীপক ভঙ্গিতে। আমার লিখতে ভালো লাগে, তাই লিখি। লিখে আমি নিজেকে প্রকাশ করি এবং নিজেকে প্রকাশ করার মধ্যে প্রচুর আনন্দ পাই। আমি একজন ভালো লেখক।’
সুখ:
মনের বিশেষ একটা অবস্থার নাম: সুখ। আমাদের সুখ ব্যক্তি বা বস্তুর উপর নির্ভরশীল নয়, ব্যক্তি এবং বস্তুর প্রতি আমাদের মনোভাবের উপর নির্ভরশীল।
সাজেশন:
‘আমি সুখী। আমার ভালো স্বাস্থ্যের জন্যে আমি সুখী। আমি দিনে দিনে সামনের দিকে এগুচ্ছি এবং উন্নতি করছি-তাই আমি সুখী। দুনিয়াতে কিছুকাল উপস্থিত থাকার সুযোগ পেয়েছি বলে আমি সুখী। আমি মানুষ, তাই আমি সুখী। আমি সুখী বলে মনে করি নিজেকে, তাই আমি সুখী! আমি সুখী!’
পরিশেষ
কিভাবে কি করলে কি হবে এখন তা আপনি জানেন। নতুন করে বলবার মতো কিছু নেই আর। দরকারও নেই। যা শিখেছেন, যে-কোনো ধরনের সাফল্য অর্জনের জন্যে সেটা যথেষ্ট। এই নিয়ম বাস্তবে প্রয়োগ করে ইচ্ছে করলেই এখন আপনি হতে পারেন দেশবরেণ্য নেতা, প্রখ্যাত শিল্পী, মস্ত লেখক, বিরাট বড়লোক-মোট কথা, যা খুশি। হতে পারেন সার্থক, সমৃদ্ধ, আনন্দোজ্জ্বল জীবনের অধিকারী; সুখী একজন মানুষ।
কিন্তু হবেন কি?
যদি হন, আপনার সাথে সাথে সুখী হবো আমিও।
আপনি খ্যাতিমান হোন, অঢেল ধন-সম্পদের অধিকারী হোন, সুখী হোন আপনার সুখে সুখী হবো আমিও।
বইটি লিখেছি আপনার জন্যে। এ বইয়ের মাধ্যমে অকৃত্রিম বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছি আমি আপনার দিকে। এই বাড়িয়ে দেয়া হাত যদি আপনি গ্রহণ করেন, কৃতার্থ হবো আমি। আপনার উন্নততর নতুন জীবনের প্রতি পদক্ষেপে, আপনার হাসি-খুশি-সুখ-সমৃদ্ধি ভরপুর আগামী জীবনের প্রতিটি আনন্দঘন মুহূর্তে জানবেন, আমার শুভেচ্ছা রয়েছে আপনার সাথে। ধন্যবাদ।