স্যার আইজ্যাক নিউটন একজন ধর্মীয় পণ্ডিত ছিলেন এই কথা শুনে মনে হলো আমি আকাশ থেকে ধপাস করে মাটিতে এসে পড়লাম। তিনি একজন আস্তিক ছিলেন সেটি আমি জানতাম; কিন্তু তিনি যে ধর্মীয় পণ্ডিত ছিলেন, ধর্মের জন্য লেখালেখি পর্যন্ত করেছেন, সেসব কোনোদিনও শুনিনি। ডেভিডের অবস্থাও আমার মতো। স্যার আইজ্যাক নিউটনের ধর্মীয় পণ্ডিত হওয়ার ব্যাপারটি তার কাছেও বেশ আশ্চর্যের। ডেভিড় বলল, তিনি কি সত্যিই ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে। লেখাজোখা করেছেন?
সাজিদ বলল, হুম।
হুম বলার পরে সাজিদ আবার বলল, আচ্ছা ডেভিড, পদার্থের গতির অবস্থা বোঝাতে নিউটন কয়টি সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন জানো?
ডেভিডের হয়ে আমি উত্তর দিলাম, তিনটি।
আমার কথায় ডেভিড মাথা ঝাঁকালো। সাজিদ আবার বলল, রাইট। পদার্থের গতির অবস্থা বোঝাতে নিউটনকে আবিষ্কার করতে হয়েছে তিনটি সূত্র। আর ঈশ্বরের অবস্থা বোঝাতে নিউটনকে কয়টি সূত্র দিতে হয়েছিল তুমি জানো? না, জবাব দিল ডেভিড।
গুড। আমি বলছি। ঈশ্বরের অবস্থা বোঝানোর জন্য নিউটনকে আবিষ্কার করতে হয়েছে সর্বমোট বারোটি সূত্র। একটি দুটি নয়, গুনে গুনে বারোটি…।
আমাদের বিস্ময়ের পারদ যেন পালা দিয়ে বেড়েই চলেছে আজকে। বিজ্ঞানী নিউটনের বাইরে গিয়ে ধর্মীয় পণ্ডিত নিউটনের অজানা এক অধ্যায়ের আবেশ যেন আমাদের ঘিরে রেখেছে চারদিক থেকে।
ডেভিড জানতে চাইল, সেই বারোটি সূত্র কী কী?
সাজিদ গলা খাঁকারি দিল। একটু নড়েচড়ে বসে বলতে শুরু করল, সেই বারোটি সূত্র খুব সুন্দর এবং একই সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিউটনের ধর্মকেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা এবং ক্রিশ্চিয়ানিটির ব্যাপারে তার অবস্থান জানতে এই বারোটি সূত্রকে খুব ভালোভাবে জানতে হবে আমাদের। ঈশ্বরকে জানার জন্য নিউটন প্রথম যে-সূত্রটি দিয়েছিলেন of CCTThere is one God the Father (everliving), Omnipresent, Omniscient, Almighty, the maker of heaven & earth, and one Mediator between God & Man, the man Christ Jesus.
অর্থাৎ নিউটন বলেছেন, ঈশ্বর হলেন একজন। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বজ্ঞানী এবং সর্বশক্তিমান। তিনি হলেন আসমান এবং জমিনের স্রষ্টা। মানুষ এবং ঈশ্বরের মাঝে সম্পর্কস্থাপনকারী মাধ্যম হলেন যিশু।
দ্বিতীয় সূত্রে তিনি বলেছেন, The Fater is invisible God whom no eye hath seen or can see. All other things are sometimes visible.
অর্থাৎ ঈশ্বর হলেন অদৃশ্য। কোনো দৃষ্টি তাকে দেখেনি অথবা দেখতে পারে না। তিনি ব্যতীত অন্য সব দৃশ্যমান।
তৃতীয় সূত্রে বলেছেন, The Father hath life in himself & hath given the son to have life in himself.
অর্থাৎ ঈশ্বর নিজেই নিজের ভেতর জীবন্ত এবং তিনি নিজের মধ্যে থেকেই নিজ ক্ষমতাবলে বান্দাদের জীবন দান করেন।
সূত্র তিনটি শুনে আমার মাথা ওলটপালট হবার জোগাড়। সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে একজন বিজ্ঞানীর এত দূরদর্শী চিন্তা সত্যিই অবাক করার মতো। সাজিদ বলে যেতে লাগল,
চতুর্থ সূত্রে তিনি বলেছেন, The Father is omniscient & hath all knowledge originally in his own breast. And (He) communicates knowledge of future things to Jesus Christ. None in heaven or earth or under the earth is worthy to receive knowledge of future things immediately from the Father except the Lamb. (And therefore, the testimony of Jesus is the spirit of Prophey & Jesus is the word or Prophet of God)
মানে হলো, নিউটন বলতে চেয়েছেন, ঈশ্বর হচ্ছেন সর্বজ্ঞানী। তার অন্তরেই রয়েছে সকল জ্ঞান। তিনিই যিশুর কাছে ভবিষ্যৎ-বিষয়ক সকল জ্ঞান প্রেরণ করেন। ঈশ্বরের দূতগণ ব্যতীত আসমান কিংবা জমিনে এমন কেউ নেই, যারা সরাসরি ঈশ্বরের কাছ থেকে ভবিষ্যৎ বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারে। এ কারণেই যিশু হলেন ঈশ্বরের ঈশ্বর কর্তৃক প্রেরিত এবং তিনি হলেন ঈশ্বরের দূত।
পঞ্চম সূত্রে কী বলেছেন? পঞ্চম সূত্রে বলেছেন, The Father is immoveable. No place being capable of becoming emptier or fuller of him then it is by the eternal necessity of nature. All other being are moveable from place to place
অর্থাৎ ঈশ্বর হলেন অবিচল। জগতের কোনো স্থানই তার অনুপস্থিতিতে শূন্য কিংবা তার উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে উঠতে পারে না; বরং তার উপস্থিতিই হলো প্রকৃতির অনন্ত অপরিহার্যতা। তিনি ব্যতীত অন্য সবকিছু এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করে থাকে।
ষষ্ঠ সূত্রে বলেছেন, All the worship whether of prayer praise or thanks giving was due to the Father before coming of Christ is still due to him. Christ came not to diminish the worship of his Father.
অর্থ হলো, যিশুর আগমনের পূর্বেও সব ধরনের প্রার্থনার একচ্ছত্র হকদার ছিলেন কেবল ঈশ্বর, এবং এখনো তা-ই আছেন। যিশু ঈশ্বরের প্রার্থনা কমাতে দুনিয়ায় আগমন করেননি।
সপ্তম সূত্রে বলেছেন, Prayers are most prevalent when directed to the Father in the name of son