সাধারণ সংসারীজনের মধ্যেও কি এই চেতনা আসতে পারবে না–আমিও এই নিখিল বিশ্বের একজন। আমারও কিছু করবার আছে?
ক্ষমতার সীমিত সীমায় কারও কোন বিশেষ ভাল করতে না পারলেও ভালবাসতেও তো পারা যায়? ভালবাসাও তো একটি সেবা। স্নেহ, সহানুভূতি, সান্ত্বনা, করুণা, একটুখানি হৃদয়ের স্পর্শ। হতাশ হৃদয়ের কাছে আশার কথা শোনানো, নিরুৎসাহ জীবনে উৎসাহ এনে দেবার চেষ্টা, ব্যর্থ জীবনের কাছে নতুন জীবনের প্রেরণা এনে দিতে পারার চেষ্টা, আর উত্তেজিত অশান্ত বিক্ষুব্ধ বিধ্বস্ত জীবনের কাছে শান্তির স্নিগ্ধতা নিয়ে এসে দাঁড়ানো–এগুলি তো সেবাই; যে সেবাটি বিক্ষিপ্ত চিত্তের মর্মমূলে গিয়ে পৌঁছাতে পারে। এমন সেবাটি নারীই পারে অনায়াসে অবলীলায়।
নারী কল্যাণরূপা, সেবারূপা, মাতৃরূপা। তাই নারী-হৃদয়ই সহজে পৌঁছাতে পারে জগতের যত তাপিত হৃদয়ের কাছাকাছি, যে-পৌঁছানোটা ব্যথিতজনের কাছে পরম সেবাস্বরূপ। সে-সেবা তাদের মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছেই গিয়ে পৌঁছায়! সকলু ভালবাসা, সকল সান্ত্বনা, সকল সেবা তো তার কাছ থেকেই আসে। আবার তার কাছেই গিয়ে পৌঁছায়!