আহার দিবেন তিনি, রে মন
আহার দিবেন তিনি, রে মন,
জীব দিয়েছেন যিনি।
তোরে সৃষ্টি করে তোর কাছে যে
আছেন তিনি ঋণী।
সারা জীবন চেষ্টা করে
ভিক্ষা-মুষ্টি আনলি ঘরে;
ও মন, তাঁর কাছে তুই হাত পেতে দেখ
কী দান দেন তিনি।।
না চাইতে ক্ষেতের ফসল
পায় বৃষ্টির জল;
তুই যে পেলি পুত্র-কন্যা
তোরে কে দিল তা বল।
যার করুণায় এত পেলি,
তাঁরেই কেবল ভুলে গেলি;
তোর ভাবনার ভার দিয়ে তাঁকে
ডাক রে নিশিদিনই।।
ইসলামের ঐ বাগিচাতে ফুটলো দুটি ফুল
ইসলামের ঐ বাগিচাতে ফুটলো দুটি ফুল।
শোভায় অতুল সে ফুল আমার আল্লা ও রসুল।।
যুগল কুসুম উজল রঙে
হৃদয় আমার উঠলো রেঙে,
খোশবুতে তা’র মাতোয়ারা মনের বুলবুল।।
ফুটলো যদি সে ফুল আমার খোশ-নসিবের ফলে,
জিন্দেগি ভর তা’রি মালা পরবো আমার গলে।
দুই বাজুতে তাবিজ ক’রে
খাড়া হব রোজ হাশরে,
বরকতে তার হব রে পার পুলসেরাতের পুল।।
ইয়া আল্লাহ, তুমি রক্ষা করো দুনিয়া ও দ্বীন
ইসলামী /কোরাস
ইয়া আল্লাহ, তুমি রক্ষা করো দুনিয়া ও দ্বীন।
শান-শওকতে হোক পূর্ণ আবার নিখিল মুসলেমিন।
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।।
খোদা, মুষ্টিমেয় আরববাসী যে ঈমানের জোরে
তোমার নামের ডঙ্কা বাজিয়েছিল দুনিয়াকে জয় ক’রে,
খোদা, দাও সে ঈমান, সেই তরক্কী, দাও সে একিন।
খোদা দাও সে একিন।
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।।
হায়! যে-জাতির খলিফা ওমর শাহানশাহ হয়ে
ছেঁড়া কাপড় প’রে গেলেন উপবাসী র’য়ে
আবার মোদের সেই ত্যাগ দাও, খোদা
ভোগ-বিলাসে মোদের জীবন ক’রো না মলিন।
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।।
খোদা, তুমি ছাড়া বিশ্বে কারো করতাম না ভয়
তাই এ বিশ্বে হয়নি মোদের কভু পরাজয়
দাও সেই দীক্ষা শক্তি সেই ভক্তি দ্বিধাহীন।
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন।।
ইয়া মোহাম্মদ বেহেশত হতে
ইয়া মোহাম্মদ বেহেশত হতে
খোদায় পাওয়ার পথ দেখাও।
এই দুনিয়ার দুঃখ থেকে
এবার আমার নাজাত দাও।।
পীর মুর্শিদ পাইনি আমি,
তাই তোমায় ডাকি দিবস-যামী,
তোমারই নাম হউক হযরত
আমার পর-পারের নাও।।
অর্থ-বিভব যশ- সম্নান
চেয়ে চেয়ে নিশিদিন
দুঃখ- শোকে জ্বলে মরি
প্রান কাঁদে শান্তিহীন।।
আল্লাহ ছাড়া ত্রিভূবনে
শান্তি পাওয়া যায় না মনে,
কোথায় পাবো সে আবেহায়াত–
ইয়া নবীজী, রাহ বাতাও।।
ইয়া রসুলুল্লাহ! মোরে রাহা দেখাও সেই কাবার
ইয়া রসুলুল্লাহ! মোরে রাহা দেখাও সেই কাবার–
যে কাবা মসজিদে গেলে পাব আল্লার দীদার।।
দ্বীন-দুনিয়া এক হয়ে যায় যে কাবার ফজিলতে,
যে কাবাতে হাজী হলে রাজি হন পরওয়ারদিগার।।
যে কাবার দুয়ারে জামে তৌহিদ দেন হযরত আলী,
যে কাবার কুল-মগফেরাতে কর তুমি ইন্তেজার।।
যে কাবাতে গেলে দেখি আরশ কুর্সি লওহ কালাম;
মরণে আর ভয় থাকে না, হাসিয়া হয় বেড়া পার।।
উঠুক তুফান পাপ-দরিয়ায়
উঠুক তুফান পাপ-দরিয়ায়–
ও ভাই আমি কি তাই ভয় করি।
পাক্কা ঈমান তক্তা দিয়ে
গড়া যে আমার তরী।।
লা -ইলাহা ইল্লাল্লাহুর পাল তুলে
ঘোর তুফানকে জয় করে ভাই,
যাবই কূলে ।
আমার মোহাম্মদ মোস্তফা নামের
গুনের রশি ধরি।।
খোদার রাহে সঁপে দেওয়া ডুববে না মোর এ তরি,
সওদা করে ফিরবে তীরে সওয়াব-মানিক ভরি’।
দাঁড় এ তরীর নামাজ,রোজা, হজ্জ্ব ও জাকাত,
উঠুক না মেঘ, আসুক বিপদ–যত বজ্রপাত,
আমি যাব বেহেশত বন্দরেতে রে
এই কিশতিতে চড়ি।
এ কোন মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি
এ কোন্ মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি,
নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হল আঁখি।।
তৌহিদের শিরাজি নিয়ে
ডাকলে সবায় : ‘যা রে পিয়ে!’
নিখিল জগৎ ছুটে এলো
রইল না কেউ বাকি।।
বসলো তোমার মহ্ফিল দূর মক্কা মদিনাতে,
আল্-কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে।
নরনারী বাদশা ফকির
তোমার রূপে হয়ে অধীর
যা ছিল নজ্রানা দিল
রাঙা পায়ে রাখি’।।
এল আবার ঈদ ফিরে এল আবার ঈদ
এল আবার ঈদ ফিরে এল আবার ঈদ–
চলো ঈদগাহে।
যাহার আশায় চোখে মোদের ছিল না রে নিঁদ।
চলো ঈদগাহে।।
শিয়া-সুন্নি লা-মজহাবি একই জামায়াতে
এই ঈদ মোবারক মিলিবে এক সাথে,
ভাই পাবে ভাইকে বুকে, হাত মিলাবে হাতে;
আজ এক আকাশের নীচে মোদের একই সে মসজিদ।
চলো ঈদগাহে।।
ঈদ এনেছে দুনিয়ার শিরিন বেহেশতি,
দুশমনে আজ গলায় ধরে পাতাব ভাই দোস্তি,
জাকাত দেবো ভোগ-বিলাস আজ গোম্বা বদমস্তি,
প্রাণের তশতরিতে ভরে বিলাব তৌহিদ।
চলো ঈদগাহে।।
আজিকার এ ঈদের খুশি বিলাব সকলে,
আজের মতো সবার সাথে মিলব গলে গলে,
আজের মতো জীবন পথে চলব দল দলে
প্রীতি দিয়ে বিশ্ব -নিখিল করব রে মুরিদ
চলো ঈদগাহে।।
এলে কি স্বপন-মায়া আবার আমায় গান গাওয়াতে
গজল-গান
এলে কি স্বপন-মায়া আবার আমায় গান গাওয়াতে।
নিদাঘের দগ্ধ জ্বালা করলে শীতল পুব-হাওয়াতে।।
ছিল যে পাষাণ-চাপা আমার গানের উৎস-মুখে।।
তারে আজ মুক্তি দিলে ঐ রাঙা চরণ -আঘাতে।।
এলে কি বর্ষারানী নিরশ্রু মোর নয়ন-লোকে।
বহালে আবার সুরের সুরধুনী বেদনাতে।।
এসেছ ঘূর্ণি হাওয়া হয়ত বা ভুল এক নিমিষের।
এসেছ সঙ্গে নিয়ে বজ্র ভরা ঝঞ্ঝা-রাতে।।
তবু ঐ ভুল যে প্রিয় ফুল ফুটাল শুষ্ক শাখে।
আকাশের তপ্ত নয়ন জুড়িয়ে গেল ঐ চাওয়াতে।।
তোমার ঐ সোনার হাতের সোনার চুড়ির তালে তালে
নাচে মোর গানের শিখী মনের গহন মেঘলা রাতে।।
এলে কি তারার দেশের হারিয়ে যাওয়া সুরের পরী।
শ্রান্ত এ বাণ-বেঁধা মোর গানের পাখির ঘুম ভাঙাতে।।
এলে আজ বাদলা-শেষে ইন্দ্রধনুর রঙিন মায়া।
ছোট সুর উজান স্রোতে, চোখ জুড়াল রূপ-শোভাতে।।