প্রথমে রজার তা দিতে রাজী হয় না। কিন্তু তাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে ডিনসমেড। মাটির তলা থেকে একটা পুরোনো প্যাকেট থেকে কোকেন বের করে তাতে রজারের নাম ঠিকানা দেখায় ডিনসমেড, বলে পুলিশকেও জানাবে।
তারপর রজার তাকে টাকাটা দেয় আর দুজনের মধ্যে কথা হয় এই টাকার কথা কেউ জানবে না। আর রজারের ব্যাবসার কথাও গোপন থাকে। রজার যাবার পর পিটারকে ডিনসমেড বলে মাত্র চল্লিশ হাজার হয়েছে পরে আরো তিন হাজারে রফা।
দশ বছর কেটে যায়। সোফিয়া ছয় বছর মেরী দশ। আসল মেরীর নাম রাখা হয়েছিল শার্লট। তার বয়স সাড়ে আট। সে তাদেরই বাবা-মা বলে জানে।
তখন থেকেই শার্লট, জর্জ আর মেরীকে নিয়ে সে ঘুরপথে বার্জের বাড়ি যেত। মুখে বলত আমার দুই মেয়ে কিন্তু আসলে মেরী সাজিয়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে গিয়ে রবার্টের সম্পত্তি গ্রহণ করতে চাইতো।
হঠাৎ যীশুর দিকে তাকিয়ে চোখে জলে ভর্তি করে ফেলত। তাই দেখে বার্জ তাকে খুব ভালো মানুষ বলে মনে করতে লাগল। সত্যিই সে এমন দৃষ্টান্ত কম দেখেছে।
মেরীর সাথে গল্প করে বার্জ জানতে পারে সে ডিনসমেড আর তার স্ত্রীকেই বাবা-মা বলে জানে। এ দেখে সে আরো খুশী হয়। ডিনসমেড তাকে বলে সেই তো একদিন জানবেই। তাই আগে থেকে দুঃখ দেবো কেন? বড়ো হোক তখন নিজেই জানবে।
এদিকে শার্লট বড়ো হচ্ছে তাকেও পৃথিবী থেকে সরাতে হবে। না হলে সে যদি বড়ো হয়ে জানতে পারে তবে তো আর রক্ষে নেই এতে। এতদিনের পরিকল্পনা একবারে মাটি হয়ে যাবে। তাই শার্লটের জুতোর পেরেকে আর্সেনিক লাগিয়ে তাকে স্লো পয়জন করতে থাকে।
বার্টের বন্ধু ল্যাবোরেটরিতে কাজ করত তার কাছ থেকেই ভয় দেখিয়ে আর্সেনিক আনত। তাই নিস্তেজ হয়ে গেছে শার্লট। তাকে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। সে এখন ভালো আছে।
সবশেষে যখন ডিনসমেড স্বীকার করে তখন সে মুখ থুবড়ে টেবিলের উপর পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায়।
তখন পোয়ারো তরুণ অফিসার টমসনকে বলে–ডিনসমেড দোষী, তার তত শাস্তি হবেই কিন্তু শার্লট কোনো দোষ করেনি, সে কিছু টাকার উত্তরাধিকারিণী হয়েছে। আমি চাই তুমি ওকে বিয়ে কর। আর দেখ ঐ সংসার যেন ভেসে না যায়। আমার এই অনুরোধ তুমি রেখো।
–অনুরোধ না, স্যার আদেশ বলুন। আপনি না থাকলে এ কেসের সমাধান হত না।
সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চার্লস আর পোয়ারো গাড়ি করে চলে যায়। যেতে যেতে পোয়ারা বলে–এই ব্যাচেলার জীবনই ভালো। দ্যাটস লাইফ ইজ গুড।