ক্লডিয়া! চাঁদের আলোতে চিনতে কষ্ট হলো না ওকে।
পিস্তল হাতে খাদের কাছে এসে দাঁড়াল তিনজন পুলিশ অফিসার। তাদের মধ্যে একজন ক্লডিয়ার বাবা মিস্টার নিউরোন।
*
ফেরার পথে রবিনের গাড়িতে করে চলেছে কিশোর, মুসা আর ক্লডিয়া। ওদের সামনে একটা পুলিশের গাড়ি, পেছনে আরেকটা। সামনেরটাতে ভোলা হয়েছে হাতকড়া লাগানো ক্রিসিকে। মুসার জেলপিটা স্টার্ট নিচ্ছিল না, যেটাতে করে সে আর ক্রিসি এসেছে। রাস্তার ধারে ঝোপের ধারেই ওটা ফেলে রবিনের গাড়িতে করে ফিরে চলেছে চারজনে।
গাড়ি চালাচ্ছে রবিন। পাশে মুসা।
পেছনের সীটে কিশোর আর ক্লডিয়া।
একটা কথার জবাব দাও তো, কিশোর বলল, তুমি জানলে কি করে। আমরা এখানে আছি?
মুসাকে ব্যাগটা দিয়ে বাড়ি ফিরতেই পাকড়াও করল আমাকে আব্বা, ক্লডিয়া জানাল। দুই ধমক দিয়েই জেনে নিল কোথায় গিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে থানায় ফোন করে পেট্রল কার আনাল। আমাকে নিয়ে ছুটল মুসাদের বাড়িতে। দরজায় মুসার নোটটা দেখে কারোরই বুঝতে অসুবিধে হলো না। কোথায় তোমাদেরকে পাওয়া যাবে।
হু, তিক্তকণ্ঠে বলল কিশোর, আজকাল আর গোয়েন্দাগিরি নিয়ে গর্ব করার উপায় নেই। সবাই খুব সহজেই সব কিছু বুঝে ফেলে।
তাতে কি কোন ক্ষতি হয়েছে? হাসল ক্লডিয়া। ক্রিসি ডাইনীটার বোঝা বওয়া থেকে তো রেহাই পেলে।
তা পেয়েছি, সামনের সীট থেকে বলে উঠল মুসা। তবে সবচেয়ে আনন্দ লাগছে ওর ভয়ঙ্কর মায়াজাল কেটে যে বেরোতে পেরেছি সেজন্যে। মাথা থেকে একটা পাহাড় নেমে গেছে মনে হচ্ছে। উফ, কি ভয়াবহ দুঃস্বপ্নের মাঝেই না কেটেছে পনেরো-ষোলোটা দিন!
ডাকে আসা উড়োটিকেট পেলে কনসার্ট দেখতে যাবে আর? পেছন থেকে হেসে জিজ্ঞেস করল কিশোর।
আরও! তওবা! তওবা! দুই গালে চটাস চটাস চাটি মারতে শুরু করল মুসা।