তুমি চলে যাবার পর আমি তারাশঙ্করের ‘ধাত্রীদেবতা’, বুদ্ধদেব-প্রেমেন্দ্র-অচিন্ত্যর ‘বনশ্ৰী’, প্ৰবোধের ‘কলরব’, মণীন্দ্ৰলাল বসুর ‘রক্তকমল’ ইত্যাদি বইগুলি পড়লাম। প্ৰত্যেকখানিই লেগেছে খুব ভাল। আর অনাবশ্যক চিঠির কলেবর বৃদ্ধির কি দরকার? আশা করি তোমরা সকলে, তোমার মা-বাবা-ভাই-বোন ইত্যাদি সকলেই দেহে ও মনে সুস্থ। তুমি কি লিখলে-টিখলে? তোমার মা গল্প-সল্প কিছু লিখছেন তো? তাহলে আজকের মতো লেখনী। কিন্তু চিঠির কাগজের কাছে বিদায় নিচ্ছে।
২৪শে পৌষ, ৪৮
-সুকান্ত ভট্টাচাৰ্য
———-
১। কবিবন্ধু অরুণাচল বসু।
২। এই সময় অরুণাচল বসুর সঙ্গে অর্থহীন অথচ বেশ ভারী ভারী শব্দ বানানোর খেলা চলছিল সুকান্তর। তখন কোনো কোনো লেখক অপ্রচলিত আভিধানিক শব্দকে বাংলায় চালু করার চেষ্টা করছিলেন–তার প্ৰতি এটা ছিল দু’জনের কটাক্ষ।
৩। একটি মেয়ের ছদ্মনাম।