ছোটাচ্চু বিড়বিড় করে বলল, “আমি মহৎ উদ্দেশের খেতা পুড়ি।”
টুনি বলল, “ছোটাচ্চু, এই বাসায় তোমার যেটুকু গুরুত্ব, কুমু খালার গুরুত্ব তার থেকে অনেক বেশি। ঝুমু খালা ইচ্ছে করলে তোমাকে বাসা থেকে বের করে দিতে পারবে। তাই খামোখা ঝুমু খালার পিছনে লাগতে যেয়ো না।”
ছোটাচ্চু বলল, “সেইটাই হয়েছে মুশকিল। এই বাসায় আমার কোনো গুরুত্ব নাই!”
.
সবাই মিলে বিয়ের খাওয়া খেলো, ডাল পুরি, কাবাব আর পায়েস। সাথে ফারিহাপুর আনা মিষ্টি। তারপর ফারিহাপু বাসায় যাবার জন্যে রেডি হলো। অনেক দিন পর ভাব হয়েছে তাই ছোটাচ্চু ফারিহাপুকে এক সেকেন্ডের জন্যে চোখের আড়াল হতে দিচ্ছে না। ফারিহাপু যখন বিদায় নিয়ে বাসা থেকে বের হবে তখন ছোটাচ্চু বলল, “আমি তোমাকে পৌঁছে দেই?”
ফারিহাপু বলল, “পৌঁছে দিবে? ঠিক আছে, পৌঁছে দাও!”
ছোটাচ্চু তখন তার ঘরে গেল মানি ব্যাগ, টেলিফোন আনতে। টুনি তখন ফারিহাপুর হাত ধরে বলল, “ফারিহাপু।”
“বলো।”
“তুমি কি আমার উপর রাগ করেছ?”
“না রাগ করিনি।”
“তোমাকে একটা কথা বলি?”
“বলো।”
“ছোটাচ্চু মানুষটার বুদ্ধি খুব বেশি নাই, কিন্তু মানুষটা খুব ভালো।”
“জানি।”
“তুমি না থাকলে ছোটাচ্চুর কিন্তু কোনো বুদ্ধির সাপ্লাই থাকবে না।”
“সেটা হয়তো সত্যি নাও হতে পারে।”
“না ফারিহাপু এটা সত্যি। তাই–”
“তাই কী?”
টুনি একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলল, “ছোটাচ্চু তোমার সাথে যত ঝগড়াই করুক তুমি কখনো ছোটাচ্চুকে ছেড়ে যেও না। প্লিজ!”
ফারিহাপু মুখ টিপে বলল, “আর কিছু?”
“হ্যাঁ। আমরা কিন্তু তোমাকে সব সময়ই ফারিহাপুই ডাকব।”
ফারিহাপু একটু অবাক হয়ে বলল, “তাই তো ডাকবে!”
“মানে বলছিলাম কী–” টুনি বড় একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বলল, “তোমাকে কিন্তু ছোটাচ্চি ডাকব না!”
ফারিহাপু টুনির দিকে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে রইল, তারপর হি হি করে হাসতে থাকল।