কিন্তু সীতেশ অমন করে হাসতে পারল কি?
তার কেবলই মনে হতে লাগল, ছি ছি ছি, রীণা কী ভাবল তার সম্বন্ধে? নিশ্চয়ই সে ভেবে নিল ছোট আর অনুদার হয়ে গেছে সীতেশের মনা অন্যের স্ত্রী হয়েছে বলে সীতেশ এখন তার জন্যে একটা টাকাও খরচ করতে রাজী নয়।
এই ভুলটা কেন হয়েছে তা ইতিমধ্যে ধরে ফেলেছে সীতেশা অফিসে যাওয়ার সময় সাধারণ বাসে কোন বন্ধু কি খুবই চেনা কোনো প্রতিবেশী উঠলে সীতেশ তার জন্যে টিকিট কাটে। কিন্তু মিনি বাসে তারাই যখন ফের ওঠে কেউ কারও জন্যে টিকিট কাটে না। কেউ তার প্রত্যাশাও করে না। একটা টাকাকে সবাই দাম দেয়।
এক্ষেত্রেও গোড়াতে সেই ভুল হয়েছিল।
কিন্তু রীণা কি আর সে কথা বিশ্বাস করবে? [অস্বৰ্গত নরেন্দ্রনাথ মিত্রের এই গল্পটি তাঁর সর্বশেষ লেখা। এই লেখাটি নিয়ে তিনি কথাসাহিত্য অফিসে আসেন ১৯৭৫, ১৩ই সেপ্টেম্বর অপরাহ্নে। সেই দিনই রাত্রে অকস্মাৎ তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটে। এই একান্ত নিষ্ঠাবান সাহিত্যব্রতীর কাছে আমাদের ১৩৮২ সালের শারদীয়া সংখ্যা পৌঁছে দিতে পারা যায় নি—এই পরিতাপ আমাদের চিরস্থায়ী হয়ে আছে। কথাসাহিত্য সম্পাদক]