লাটু আনন্দে উদ্ভাসিত মুখে মাথা নাড়ল। “আচ্ছা।”
রামরাহা সেই অদ্ভুত বিষণ্ণ সুরে শিস দিতে দিতে ধীর পায়ে বেরিয়ে গেল ঘর থেকে।
.
ঘড়ি দেখে হারানচন্দ্ৰ আঁতকে উঠে বললেন, “ও বাবা! আর ঘড়ি নয়। এ জন্মে আর ঘড়ি পরবো না আমি। ওটা তুই-ই পর! আর ঘড়ি হারাতে আমি পারব না।”
অগত্যা ঘড়িটা লাটুই পরতে থাকে।
জটাই তান্ত্রিক আর গর্ডন আবার স্বাভাবিক হয়েছেন। জটাই এসে হারানচন্দ্রকে প্রায়ই বলেন, “হুঁ হুঁ বাবা, ভূত ব্যাটার কাণ্ডটা দেখলে! সেদিন কেমন তুলকালাম ঝড়টা বইয়ে দিয়ে গেল। ওঃ, গর্ডনের কারখানাটার আর কিছু রাখেনি।”
.
হারানচন্দ্ৰ খেঁকিয়ে উঠে বলেন, “ভুতুড়ে কাণ্ডটা কী রকম?”
জটাই মৃদু হেসে বলেন, “আরে চটো কেন? ভূতের স্বভাবই ওই। যখনই কিছু ছাড়তে হয়, তখনই রেগেমেগে ভাঙচুর করে যায়। তোমার ঘড়িটার ভূত হে। যেই তাড়িয়েছি, অমনি সব লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেছে। তেজ ছিল খুব ব্যাটার।”
“কিন্তু ঘড়িটাও তো গায়েব! সেটার কী হল?”
হরি ডোমের করোটিতে চা খেতে খেতে জটাই গম্ভীর মুখে বলেন, “ঈশ্বরে মন দাও হারান, ঈশ্বরে মন দাও। ‘কালী কালী’ বলে দিনরাত ডাকো। বিষয়-চিন্তা করে করে যে একেবারে হয়রান হয়ে গেলে!