“তোমার কাছে কে এসেছিল?”
মহেন্দ্র অবাক হয়ে বললেন, “কেউ আসেনি তো! ওঃ হোঃ বোধ হয় একটা গোর ঢুকে পড়েছিল কোনও ফাঁকে।”
“গোরু! ছাদের ওপর গোরু কী করে আসবে?”
মহেন্দ্র ভারী অবাক হয়ে চারদিকে চেয়ে বললেন, “ছাদ! এটা ছাদ নাকি? এই দ্যাখো, বুড়ো বয়সের ভিমরতি আর কাকে বলে, উঠোনে গিয়ে রোদে বসব বলে বেরিয়ে ভুল করে ছাদে এসে পড়েছি বোধ হয়।”
রাজপুত্র নবেন্দ্র তার স্যাঙাতদের দিকে ফিরে বলল, “এখন থেকে তোমরা আরও সতর্ক থাকবে। ফের যদি গাফিলতি দেখি তা হলে কিন্তু চাবকে ঠান্ডা করে দেব।”
সনাতনকে ধরাধরি করে তোলা হল। সে এখনও কাতরাচ্ছে। নবেন্দ্র তার দিকে চেয়ে বলল, “তোমার বাহাদুরি দেখলাম। শরীরটাই বাগিয়েছ, যোগ্যতা বলে কিছু নেই। দূর হয়ে যাও আমার সুমুখ থেকে।”
মহেন্দ্রর দিকে ফিরে নবেন্দ্র গম্ভীর গলায় বলল, “এখন থেকে বাইরের লোকজনের সঙ্গে মেলামেশা করার কোনও দরকার নেই বাবা। আমি যখন এসে গেছি তখন আমিই সবদিক সামলাব।”
মহেন্দ্ৰ খুশি হয়ে বললেন, “বেঁচে থাকো বাবা, বেঁচে থাকো, আমিও তো তাই চাই।” নবেন্দ্রকে খুবই চিন্তিত দেখাল, কী যেন বিড়বিড় করে বলতে বলতে নীচে নেমে গেল।