তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করা হয়েছে… (২ : ২২১৬)।
আল্লাহর জন্য যুদ্ধ করতে থাকুন, আপনি নিজের সত্ত্বা ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ের জিম্মাদার নন! আর আপনি মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করতে থাকুন (৪ : ৪৪)।
হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদি ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না; তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ জালেমদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না (৫ : ৫১)।
যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম তালাশ করে, কস্মিনকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (কোরআন ৩ : ৮৫)।
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে। যায় (৮ : ৩৯)।
তোমরা যুদ্ধ করো আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তার রাসুল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিজিয়া প্রদান করে (৯ : ২৯)।
অতঃপর যখন তোমরা কাফেরদের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও, তখন তাদের গর্দান মারো, অবশেষে যখন তাদেরকে পূর্ণরূপে পরাভূত করো তখন তাদেরকে শক্ত করে বেঁধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ করো, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও।…. যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনোই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না(৪৭ : ৪)।
অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অত: পর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও করো এবং যেখানে পাও হত্যা করো। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না (৪ : ৪৯)।
আর তাদেরকে হত্যা করো যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে … (২: ১৯১)
আর তোমরা তাদের সাথে লড়াই করো, যে পর্যন্ত না। ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়। (২: ১৯৩)।
আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের ওপর আঘাত হানো এবং তাদেরকে কাটো জোড়ায় জোড়ায় (৮ : ১২)।
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা করো যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দি করো এবং অবরোধ করো। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁত পেতে বসে থাকো (৯ : ৫)।
যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আজাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন (৯ : ৩৯) …ইত্যাদি।
অনেক ইসলাম ধর্মবিশ্বাসীরা বলেন, কোরআন কখনও সন্ত্রাসবাদে কাউকে উৎসাহিত করে না, কাউকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় প্ররোচিত করে না, ইত্যাদি। এটা সত্যি সরাসরি হয়ত কোরআনে বুকে পেটে বোমা বেধে কারো উপরে হামলে পড়ার কথা নেই; কিন্তু এটাও তো ঠিক যে, কোরআন খুললেই পাওয়া যায়-যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, আল্লাহ কখনোই তাদের কর্ম বিনষ্ট করবেন না (৪৭ : ৪), কোরআনে বলা হয়েছে আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনও মৃত মনে করো না (৩ : ১৬৯); কিংবা বলা। হয়েছে-যদি আল্লাহর পথে কেউ যুদ্ধ করে মারা যায় তবে তার জন্য রয়েছে জান্নাত (৯ : ১১১)।
আর আল্লাহর পথে শহীদদের জন্য জান্নাতের পুরস্কার কেমন হবে? আল্লাহ কিন্তু এ ব্যাপারে খুব পরিষ্কার তথায় থাকবে আনতন্যনা রমণীগণ, কোনো জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করে নি (৫৫ : ৫৬)। তাদের কাছে থাকবে নত, আয়তলোচনা তরুণীগণ, যেন তারা সুরক্ষিত ডিম (৩৭ : ৪৮-৪৯); সুশুভ্র (wine) যা পানকারীদের জন্যে সুস্বাদু (৩৭ : ৪৬)।
আমি তাদেরকে আয়তলোচনা হুরদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব (৫২ : ২) …
তাবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ (৫৫ : ৭২); প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ (৫৫ : ৫৮)।
উদ্যান, আঙ্গুর, পূর্ণযৌবনা তরুণী এবং পূর্ণ পানপাত্র (৭৮ : ৩৩-৩৪)।
তথায় থাকবে আনতনয়না হুরিগণ, আবরণে রক্ষিত মোতির ন্যায়, (৫৬ : ২২-২৩)।
আমি জান্নাতি রমণীগণকে বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর তাদেরকে করেছি চিরকুমারী (৫৬ : ৩৫ ৩)।
শুধু আয়তলোচনা চিরকুমারীদের লোভ দেখিযেই আল্লাহ ক্ষান্ত হন নি, ব্যবস্থা রেখেছেন গেলমানদেরও—
সুরক্ষিত মোতিসদৃশ কিশোররা তাদের খেদমতে ঘোরাফেরা করবে (৫২ : ২৪)। ইত্যাদি।
বেহেস্তে সুরা-সাকি-হুর-পরীর এমন অফুরন্ত ভাণ্ডারের গ্রাফিক বর্ণনা দেখে দেখে অনেকেরই শহীদ হতে মন চাইবে! বিবর্তনবাদী মনোবিজ্ঞানী সাতোসি কানাজাওয়া তো মনেই করেন ইসলামি সমাজে বহুগামিত্ব এবং পাশাপাশি মৃত্যুর পরে উদ্ভিন্নযৌবনা এবং চিরকুমারী হুরিদের অফুরন্ত ভাণ্ডারের নিশ্চয়তার কারণেই মুসলিমদের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের এত আধিক্য চোখে পড়ে[৩১৫]।
কেবল ইসলামের জিহাদি সৈনিকেরাই ভাইরাস আক্রান্ত মননের উদাহরণ ভাবলে ভুল হবে। বিশ্বাসের ভাইরাস’ লেখাটি মুক্তমনায় প্রকাশের পর দিগন্ত সরকার ‘বিশ্বাসের ভাইরাস এবং আনুষঙ্গিক’ নামের একটি সম্পূরক প্রবন্ধে ভারতের আর. এস. এস পরিচালিত স্কুলগুলোর পাঠ্যসূচির নানা উদাহরণ হাজির করে দেখিয়েছেন কীভাবে ছেলেপিলেদের মধ্যে শৈশবেই ভাইরাসের বীজ বপন করা হয়[৩১৬]। বিদ্যাভারতী নামের এই স্কুল সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে-সংখ্যায় প্রায় ২০,০০০। প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী এতে পড়াশোনা করে-যাদের অধিকাংশই গরিব বা নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের। পড়াশোনা চলে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অবধি। তিস্তা সেতালবাদের প্রবন্ধ In the Name of History Examples from Hindutva-inspired school textbooks in India থেকে[৩১৭] অসংখ্য দৃষ্টান্ত হাজির করে দিগন্ত দেখিয়েছেন কীভাবে সত্য মিথ্যের মিশেল দেওয়া ইতিহাস পড়িযে এদের মগজ ধোলাই করা হয়–