একমাত্র আনন্দে আছেন হামিদ সাহেব। তিনি ঠিক করেছেন একজীবনে তিনি যা উপার্জন করেছেন তার সবই কাকদের সেবায় ব্যয় করবেন। কারণ তার সব অর্থই অসৎ অর্থ। ভালো কোনো কাজে এই অর্থ ব্যয় করা যাবে না। বরং কাকদের জন্যে কিছু করা দরকার। তিনি তার কলাবাগানের তিনতলা বাড়ির নাম দিয়েছেন কাককুঠির। তিনি তাঁর অ্যাসিসটেন্ট রব্বানিকে ডেকে বলেছেন তার মুত্যুর পর যেন কবরে লেখা হয়—
এখানে শুয়ে আছেন
কাকদের নয়নের মণি
দেশখ্যাত কাকদরদী নেতা
হামিদুর রহমান
পরিশিষ্ট
মাসুদ স্ত্রী এবং শশুর হত্যার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েও জেলে আছে। কারণ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং ঊদিচি গ্রেনেড হত্যা মামলায় পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই যাচ্ছে। মাঝে মাঝে পত্রিকায় খবর আসছে বিদেশী নাগরিক জনাব মাসুদ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং উদিচি গ্রেনেড হামলা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। সানাউল্লাহ তাঁর বন্ধুদের নিয়ে কোথায় আছেন কেউ জানে না। একদিন শুধু জাবিন টেলিফোন পেল–মা, মহাবিপদে আছি। আগে শুধু ডমরু বাবা ডাকতো এখন হমডুও বাবা ডাকা শুরু করেছে। এবং দুই ভাইবোনই ঘোষণা দিয়েছে তাদের বাবা-মা ফিরে এলেও তার বাবা-মার কাছে যাবে না। কী যে করি কিছুই বুঝতে পারছি না। মহাবিপদে পড়েছি।