ফকনার চুরুট ধরাল। আর ঠিক তখনই হেলিকপ্টারের পাখার আওয়াজ পাওয়া গেল। হেলিকপ্টার থেকে ডাক্তার এবং নার্স ছাড়াও দশ জন কমান্ডোর একটি দল নামল। ফকনার চুরুট ফেলে এগিয়ে গেল। কমান্ডো দলের প্রধান উষ্ণ গলায় বলল, আশা করছি আপনি কর্নেল ফকনার।
হ্যাঁ।
ফকনারের আরো কিছু হয়তো বলার ইচ্ছা ছিল। সেই সুযোগ সে পেল না। কমান্ডো দলের সবার হাতের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র একসঙ্গে গর্জে উঠল।
সম্রাট নিশো এবং ফকনারের দলের সাত জন প্রায় সঙ্গে-সঙ্গেই মারা গেল। ডাক্তার এবং নার্সকে হত্যা করা হল তার পরপরই।
জেনারেল অ্যামিও নিশোকে রাজধানীতে আনতে চান নি। সামরিক শাসনের অবসান ঘটানো কোনো পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। তা ছাড়া আমেরিকান রাষ্ট্রদূত জেনারেল অ্যামিওকে জানিয়েছেন, মার্কিন সরকার মনে করে যে, এই দেশের জন্যে সামরিক শাসনই উত্তম। নিশোকে এই সময় হাজির করা মানেই রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা। উন্নয়নশীল দেশের জন্যে যা অশুভ।
সন্ধ্যাবেলা সমগ্র বিশ্ববাসী জানল, শেষ মুহূর্তে কুচক্রী ডোফার অনুসারীরা নিশোকে ফোর্টনকে হত্যা করেছে। জেনারেল অ্যামিও বেতার ও টিভি মারফত এই খবর দিতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন। দশ দিনের রাষ্ট্ৰীয় শোক ঘোষণা করা হল। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট গভীর সমবেদনা জানিয়ে বার্তা পাঠালেন।
নিশোর নিজের রচনার কিছু অংশই তাঁর কবরের শোকগাঁথায় ব্যবহার করা হয়েছে—
মানুষকে ঘৃণা করার অপরাধে কখনো কাউকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় নি, অথচ মানুষকে ভালবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও হয়তো হবে।