রেহানা বললেন, তাম ইউ নটি বয়।
মেরাজউদ্দিন বললেন, অলিম্পিকের হাইজ্যাম্পের মতো যে মেয়েটা হাইজাম্প দিচ্ছে সে মনে হয় মার্জিনা।
যুথী বলল, জি স্যার। মেরাজউদ্দিন বললেন, মনে হচ্ছে শুভ্ৰ এই দ্বীপের যুবরাজ।
যুখী বলল, স্যার, এই চরের নাম শুভ্রর চর। আপনার ছেলে কত ভাগ্যবান! তার নামে একটা জায়গার নাম হয়ে গেছে।
মেরাজউদ্দিন বললেন, তুমি কাঁদছ কেন?
চরের বালি বাতাসে উড়ে চোখে পড়ছে, এইজন্যই বারবার চোখে পানি আসছে।
চরের কিছু বালি মনে হয় মেরাজউদিনের চোখেও পড়েছে, তার চোখ ভিজে উঠেছে; তিনি দ্রুত হিসাব করছেন। শেষ কবে কেঁদেছেন। মনে করতে পারছেন। না। তিনি নিজের ওপর সামান্য বিরক্ত হচ্ছেন।
হিজলগাছে বাসা বাধা মাছরাঙা পাখিটাও খুব বিরক্ত হচ্ছে। হেলিকপ্টারের শব্দ, লোকজনের চিৎকারে সে ঠিকমতো ডিমে তা দিতে পারছে না। তার সন্তানদের ডিম থেকে বের হয়ে আসার সময় হয়ে গেছে। অদ্ভুত সুন্দর এই পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যে মা মাছরাঙা ছটফট করছে। একসময় মা পাখি ডিমের ওপর থেকে উঠে দ্বীপের ওপর দিয়ে একটা চক্কর দিল। দ্বীপে কী ঘটছে। সে দেখতে চায়। তার অনাগত সন্তানদের ক্ষতি হবে এমন কিছু ঘটছে না তো?
রেহানা মা পাখিটার দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ গলায় বললেন, দেখো দেখো! কী সুন্দর একটা মাছরাঙা।