নীলা বলল, “পিটার ব্ল্যাংক।”
“ও আচ্ছা, লেখো তা হলে ওয়াটার ওয়ার্ল্ড-এর জবাব আবু কায়সার এবং সহযোগী জনাব পিটার ব্ল্যাংককে”
বকুল লেখা শেষ করে বলল, “পিটার ব্লাংককে”
“তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হল। তার নিচে আমার নাম লিখে রাখো, শমসের খবর নিয়ে ফিরে এলেই সাইন করে দেব।”
আবু কায়সার নামের মানুষটার চোয়াল ঝুলে পড়ল এবং সে মাছের মতো খাবি খেতে লাগল। সে এখনও ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে পারছে না। বিদেশি সাহেবটা কি হচ্ছে বুঝতে না পেরে বৃথাই একবার ইশতিয়াক সাহেবের দিকে আরেকবার আবু কায়সারের দিকে তাকাতে লাগল। ইশতিয়াক সাহেব এবারে তাদের পুরোপুরি অগ্রাহ্য করে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলেন।
বকুল কাগজটা ইশতিয়াক সাহেবের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, “এই যে চাচা লিখেছি।”
“থ্যাংকু মা।” নীলা এগিয়ে এসে তার বাবার হাত ধরে বলল, “থ্যাংকু আব্বু।”
“ইউ আর ওয়েলকাম।”
“তুমি ওয়াটার ওয়ার্ল্ড কিনে ফেলবে জানলে আমরা একেবারে ভাংচুর করতে দিতাম না।”
“সেটা নিয়ে মাথা ঘামাসনে। নতুন ওয়াটার ওয়ার্ল্ড হবে চন্দ্রা নদীর তীরে পলাশপুর গ্রামে। সেখানে কোনো টুশকিকে বন্দি করা হবে না–তারা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াবে। সেই খেলা দেখার জন্যে কোন পয়সাও দিতে হবে কাউকে।
“সত্যি বাবা?”
“সত্যি নয়তো কি মিথ্যা নাকি?” ইশতিয়াক সাহেব বকুলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “তুমি পারবে না চালাতে?”
“পারব চাচা।”
“গুড। ভালো একটা নাম দিতে হবে। বাংলা নাম–ওয়াটার ওয়ার্ল্ড নাম হল নাকি? ছি!”
১০. শেষ খবর অনুযায়ী
শেষ খবর অনুযায়ী পলাশপুর গ্রামের চন্দ্রা নদীর তীরে শুশুক এবং নানা ধরনের জলজ প্রাণী সংরক্ষণের একটা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। কয়েকজন জীববিজ্ঞানী এবং টেকনিশিয়ান মিলে সেখানে কাজ করে যাচ্ছে। শুশুকদের সাথে মানুষের ভাববিনিময় করার জন্যেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, বকুল খুব ব্যস্ত তাই নিয়ে।
এখনও ভালো একটা বাংলা নাম খোঁজা হচ্ছে কেন্দ্রটার জন্যে, যদি পাওয়া
যায় এটাকেও”বকুলাপ্পু জলজ প্রাণী কেন্দ্র” নাম দিয়ে দেবেন বলে ইশতিয়াক সাহেব হুমকি দিয়েছেন।
বকুল প্রতি রাতে তাই বাংলা ডিকশনারি ঘাঁটাঘাঁটি করছে, খুব লাভ হচ্ছে বলে মনে হয় না।