স্কুলের মেয়েরা আজকাল ছবি আঁকে, আবৃত্তি করে, গান গায়, নাচে। কয়দিন আগে শহরের সিনেমা হলে বাচ্চাদের জন্যে একটা সিনেমা এসেছিল সবাই মিলে সিনেমা হলে গিয়ে সেই সিনেমা দেখে এসেছে।
গল্প বই পড়ার জন্যে বিশাল একটা লাইব্রেরি তৈরি করা হচ্ছে। এর মাঝে কয়েক হাজার বই কেনা হয়েছে (খবর পাওয়া গেছে তার মাঝে কোনো জ্ঞানের বই নেই—সব এভভেঞ্চার, ডিটেকটিভ আর সায়েন্স ফিকশান!) কবি সুফিয়া কামালকে এনে এই লাইব্রেরি উদ্বোধন করা হবে। পরীক্ষার পর নাটক করা হবে, মুক্তিযুদ্ধের নাটক। সবাই শুধু বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযোদ্ধার অভিনয় করতে চায় কেউ রাজাকার আর গোলাম আযমের অভিনয় করতে চায় না। কেউ পরে খেপাবে না এবং সামনের বার মুক্তিযোদ্ধার পার্ট দেওয়া হবে কথা দেয়ার পর কয়েকজনকে রাজি করা হয়েছে। জোর রিহার্সাল হচ্ছে, নাটক যেদিন মঞ্চস্থ হবে সেদিন ফাটাফাটি অবস্থা হবে বলে মনে হয়।
স্কুল থেকে খোরাসানী ম্যাডামকে অবিশ্যি পুরোপুরি দূর করা যায় নি। এখনো প্রতি শুক্রবার একবার হানা দিয়ে যাচ্ছে—সেদিন প্রথম আলোর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় খোরাসানী ম্যাডামের একটা ছবি ছাপা হয়, নিচে বড় বড় করে লেখা থাকে, একে ধরিয়ে দিন। তার নিচে ছোট ছোট করে লেখা থাকে কেন তাকে ধরিয়ে দিতে হবে কি বৃত্তান্ত!
এখনো তাকে ধরা যায় নি, জোর গুজব খোরাসানী ম্যাডাম নাকি নাম পাল্টে পাকিস্তান চলে গেছে। সেটা মনে হয় ভালই হয়েছে, খোরাসানী ম্যাডামের জন্যে ভাল, পাকিস্তানের জন্যেও ভাল! খোরাসানী ম্যাডামের দরদ মনে হয় বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানের জন্যেই বেশি ছিল।
নিতু আর তার বন্ধুরা কেমন আছে? সেটা বলতে গেলে এক বিশাল ইতিহাস–
আজ থাক।
—০—