ইয়েস মাই ভাইদা! হি ইজ এভরিথিং টু মী। হি ইজ মাই ফ্রেন্ডফিলজফার অ্যান্ড গাইড। আই কান্ট প্লে উইদাউট হিম, আই কান্ট এনজয় উইদাউট হিম, আই কান্ট শিপ উইদাউট হিম, আই কান্ট এনটার একজাম হল উইদাউট সীয়িং হিজ ফেস, আই কান্ট অ্যাপিয়ার উইদাউট হিজ পেন…
তাতাই সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে দুটো পেন দেখিয়ে বলে, অন্যান্য পরীক্ষার মতো এবারও পরীক্ষা শুরু হবার দিন সকালে যথারীতি ভাইদা আমার হস্টেলে এসে হাজির ও দুটো নতুন দামী কলম দিলো।…
ও একটু হেসে বলে, ভাইদার দেওয়া কলম দিয়ে পরীক্ষা দিই বলেই আমার রেজাল্ট এত ভাল হয়।
সোনিয়া দৃষ্টি ঘুরিয়ে বলে, প্রফেসর রাও, ইউ হ্যাভ সীন মেনি মেনি গুড স্টুডেন্ট অব সার্জারি। হোয়াট ইজ দ্য স্পেশালিটি অব ডক্টর ঝন্দ্যোপাধ্যায়?…
…ইয়েস শুভ ইজ স্পেশ্যাল। অর্জুনের লক্ষ্যভেদের কথা সবাই জানে। অর্জুন ঐ মাছের চোখ ছাড়া আর কিছুই দেখতে পায়নি, ঠিক সেই রকমই হচ্ছে শুভর ডেডিকেশান টু সার্জারি।…
সোনিয়া একটু হেসে বলে, ইউ কল হিম শুভ?
ইয়েস! নো ডক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় টু মী, নট ইভন শুভব্রত।
প্রফেসর রাও মুহূর্তের জন্য থেমেই বলেন, শুভ’র ধ্যান-জ্ঞান-ভালবাসা হচ্ছে সার্জারি; সার্জারি ওর প্রেম, সার্জারি ওর স্বপ্ন, সার্জারি ওর দেবতা।
হোয়াট এ গ্রেট কমপ্লিমেন্ট ফ্রম এ লিজেন্ডারী প্রফেসর টু হিজ হিস্ট্রি-মেকিং স্টুডেন্ট!
সোনিয়া সঙ্গে সঙ্গেই বলে, এনিথিং এলস, প্রফেসর রাও?
ইয়েস!
প্রফেসর রাও চোখ দুটো বড় বড় করে বলেন, অপারেশনের সময় শুভ’র হাত আর আঙ্গুলের মুভমেন্ট দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই।…
হোয়াই?
মুভমেন্ট আর সো ডেলিকেট অ্যান্ড আর্টিটিক যা ভারত নাট্যমের বিখ্যাত ডান্সারদের মধ্যে দেখা যাবে না।…
ডিড হি লার্ন অল দিজ ফ্রম ইউ?
নো নো, ইট ইজ পিওরলি জেনেটিক। শুভ এই অসামান্য ক্ষমতা পেয়েছে তার বিখ্যাত বাবা ও অসামান্যা গর্ভধারিণীর কাছ থেকে। অভিমন্যু যেমন মাতগর্ভে থাকার সময়ই যুদ্ধবিদ্যা শিখেছিল, ঠিক সেইরকম মাতৃগর্ভে থাকার সময়ই শুভ এই অনন্য দক্ষতা অর্জন করে।
সোনিয়া মুহূর্তের জন্য থেমেই বলে, প্রফেসর রাও, হোয়াট ইউ থিংক অব ডক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ফিউচার?
সোনিয়া, তোমাকে আর তোমার মাধ্যমে সারা দেশকে আমি বলে দিচ্ছি, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে শুভ ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সার্জেন হবেই হবে।
সোনিয়া ডান দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়েই বলে, বাই দ্য ওয়ে ডক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ডু ইউ প্ল্যান টু ওয়ার্ক ইন ইউনাইটেড স্টেট হোয়ার ইউ উইল হ্যাভ বেটার ফেসিলিটিজ অ্যান্ড অ্যাট দ্য সেম টাইম আর্ন মোর?
তাতাই বেশ জোর করেই বলে, সার্টেনলি নট। আই মে গো অ্যাব্রড ফর প্রফেশন্যাল রিজন বাট আই উইল নেভার নেভার গো টু এ ফরেন কান্ট্রি টু আর্ন ইভন এ পেনি।
ও মুহূর্তের জন্য থেমে বলে, ডাক্তারী-এঞ্জিনিয়ারিং থেকে শুরু করে সমস্ত বিষয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় বা সমস্ত রাজ্য সরকার প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে। এই টাকা আসে পাহাড়ের দুর্ভেদ্য জঙ্গলের বস্ত্রহীন
আদিবাসী, সব চাইতে অনুন্নত গ্রামের দরিদ্রতম পরিবার থেকে মালাবার হিল এর সহস্র সহস্র কোটিপতির কাছ থেকে।…
ইয়েস ইউ আর রাইট।
প্রফেসর রাও হ্যাজ নট ওনলি টট আস সার্জারি, হি হ্যাজ অলসো ট আস টু লাভ দিস কান্ট্রি অ্যান্ড কান্ট্রিমেন। আমি আমার জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আমার দেশের মানুষের সেবা কর।
ভেরি গুড!
আরো একটা কথা বলতে চাই।…
ইয়েস টেল আস।
আমি শুধু বাধাধরা ডিউটি আওয়ার্সে কাজ করব না। খেয়ে দেয়ে একটু বিশ্রাম করার পর আবার হাসপাতালে যাব এবং ইমাজেন্সী ও অপারেশন থিয়েটারে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটাবো। যেখানে সে সুযোগ পাবো না, সেখানে কাজ করব না।
আর ইউ রেডি টু গো টু ভিলেজেস?
সার্টেনলি।
তাতাই দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে বলে, আমি যদি আমার গুরুর কণা মাত্র আশীর্বাদ পেয়ে থাকি তাহলে মুক্ত কণ্ঠে বলতে পারি, কোন বড় শহরের চাকচিক্য, বড় হাসপাতাল আর বেশি টাকার লোভ দেখিয়ে আমাকে কেনা যাবে না।
ও মুহূর্তের জন্য থেমেই বলে, তাছাড়া আমি কখনই অনন্তকাল চাকরি করব। কিছুকাল চাকরি করার পর আমি আমার সাধ্যমতো দেশের মানুষের সেবা করবো।
সোনিয়া খুশির হাসি হেসে বলে, থ্যাঙ্ক ইউ ভেরি মাচ ডক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ফর ইওর ইনস্পায়ারিং ইন্টারভিউ প্রফেসর রাও, উই আর রিয়েলী ভেরি হ্যাপি দ্যাট ইউ কুড ম্যানেজ টু কাম টু আওয়ার স্টুডিও।
সোনিয়া মুহূর্তের জন্য না থেমেই বলে, দেয়ার ইজ এ ফ্লাশ! প্রেসিডেন্ট ডক্টর এ-পিজে আবদুল কালাম অ্যান্ড প্রাইম মিনিষ্টার অটল বিহারী বাজপেয়ী হ্যাভ সেন্ট মেসেজেস অব কনগ্রাচুলেশনস্ টু ডক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় ফর দিজ রিমাকেবল অ্যাচিভমেন্ট। ডিটেলস্ অব দা মেসেজে আর কামিং ইন।…দ্যাটস অল ফর দ্য মোমেস্ট! গুড বাই!
.
আনন্দে খুশিতে গর্বে সবার বুক ভরে যায়। সবার চোখেই জল। সঙ্গে সঙ্গে কতজনের কত গুঞ্জন। এরই মধ্যে শিবানী আস্তে আস্তে এগিয়ে যান স্বামীর বড় ছবির সামনে। কয়েক মুহূর্ত অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন স্বামীর দিকে। তারপরই হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতেই হঠাৎ চিৎকার করে বলেন, শুনলে? শুনলে তোমার ছেলের কথা? তুমি আমাদের সবাইকে ফাঁকি দিয়েছ, সবাইকে ঠকিয়েছ কিন্তু ছেলেকে ফাঁকি দিতে পারলে না। সারাজীবন তুমি ছেলের কাছে বন্দী থাকবে; কোনদিন তুমি ওর কাছ থেকে পালাতে পারবে না।