মানে আমি আর ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়-সম্পত্তির ঝামেলায় নেই। এবার থেকে কাশী আর পুরীতেই বেশি সময় থাকব ঠিক করেছি।
সত্যি?
হ্যাঁ, সত্যি।
নরোত্তম একটু থেমে বলেন, আমি কালই কাশী যাচ্ছি। কবে ফিরব ঠিক নেই। তাই তোকে একটা জিনিস দিতে এলাম।
কী দিতে এসেছ?
নরোত্তম সাবিত্রীর দুটো হাত ধরে বলেন, তুই আমাকে যে আনন্দ, যে শান্তি দিয়েছিস, তা আমি জীবনে ভুলব না। তাই কাশী যাবার আগে তোকে কিছু টাকা দিতে এসেছি।
সাবিত্রী চাপা হাসি হেসে বলে, কত টাকা?
মাত্র কুড়ি হাজার।
দাও।
সাবিত্রী টাকাটা হাতে নিয়েই বলে, এই টাকাটা করুণাকে দিয়ে বলবে, তার এক মাসি বিয়েতে আসতে পারেনি বলে আশীর্বাদী পাঠিয়েছে।
টাকাটা নবরাত্তমের হাতে দিয়ে ও বলে, আমাকে সত্যিই যদি কিছু দিতে চাও, তাহলে একটা কথা দাও।
বল, কী কথা দিতে হবে।
তুমি জীবনে আর কোনদিন আমার কাছে আসবে না। কেউ যেন বলতে না পারে, করুণার ঐ বুড়ো শ্বশুর বেশ্যাবাড়ি যায়। সাবিত্রী চোখের জল ফেলতে ফেলতেই নরোত্তমকে প্রণাম করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।